logo
আপডেট : ১৬ অক্টোবর, ২০২৪ ১৪:০৪
ডিএনএ পরীক্ষার জন্য তোলা হচ্ছে হারিছ চৌধুরীর মরদেহ  
সাভার (ঢাকা ) প্রতিনিধি

ডিএনএ পরীক্ষার জন্য তোলা হচ্ছে হারিছ চৌধুরীর মরদেহ  

পরিচয় নিশ্চিতে ডিএনএ পরীক্ষার জন্য বিএনপির সাবেক যুগ্ম মহাসচিব হারিছ চৌধুরীর মরদেহ কবর থেকে তোলা হচ্ছে।তিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব ছিলেন। সাভারের বিরুলিয়া ইউনিয়নের    কমলাপুরের জালালাবাদ এলাকায় জামিয়া খাতামুন্নাবিয়্যীন ঢাকা মাদ্রাসার কবরস্থানে থেকে বুধবার সকাল ১০টা থেকে শুরু হয়েছে এ কার্যক্রম।

বিষয়টির তত্ত্বাবধানে থাকবেন সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক, ম্যাজিস্ট্রেটসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত রয়েছেন। এর আগে গত ৫ সেপ্টেম্বর হারিছ চৌধুরীর মরদেহ কবর থেকে তুলে ডিএনএ পরীক্ষার নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। পরে ৮ অক্টোবর কবর থেকে মরদেহ উত্তোলনের বিষয়ে ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেওয়া হয়। ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার অন্যতম আসামি হারিছ চৌধুরী। ২০০৭ সালে জরুরি অবস্থা ঘোষণার পর সিলেটের কানাইঘাটে তাঁর নিজ বাড়িতে অবস্থান করছিলেন। যৌথবাহিনীর অভিযান চলাকালে ওই বছরের ২৯ জানুয়ারি সিলেটের জকিগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে ভারতে চলে যান বলে জানাজানি হয়। তারপর থেকে হারিছ চৌধুরীর অবস্থান নিশ্চিত ছিল না। ২০২২ সালের ১৫ জানুয়ারি গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, হারিছ চৌধুরী করোনায় আক্রান্ত হয়ে ঢাকায় মারা গেছেন।

প্রবাসী মেয়ে ব্যারিস্টার সামিরা চৌধুরীও তখন জানান, তাঁর বাবা ২০২১ সালের ৩ সেপ্টেম্বর করোনায় আক্রান্ত হয়ে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে মারা গেছেন। যদিও বিভিন্ন গণমাধ্যমে তাঁর চাচা আশিক চৌধুরী জানান, হারিছ ঢাকায় নয়, লন্ডনে মারা গেছেন।ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার আহম্মদ মুঈদ বলেন,  হারিচ চৌধুরীর মেয়ের করা এক রিটে প্রফেসর মাহমুদুর রহমান নামে দাফন করা সেই ব্যক্তিই হারিচ চৌধুরী, তার পরিচয় নিশ্চিত করার জন্য ডিএনএ টেস্ট করা হবে। সে জন্যই মরদেহ উদ্ধার করে ল্যাবে পাঠানো হবে বলে জানান পুলিশের ওই কর্মকর্তা।  সাভার উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) এস.এম রাসেল ইসলাম নূর ঢাকা বলেন, হারিচ চৌধুরীর মেয়ের করা একটি রীটে হাইকোট নিদেশে মরদেহ উদ্ধার করা হচ্ছে।  এরপরে পরিচয় নিশ্চিতদের জন্য ডিএনএ পরীক্ষা করা হবে।  হারিচ চৌধুরীর মরদেহের পরিচয় নিশ্চিত হলে তাকে মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে রাষ্ট্রীয় সম্মাননা জানিয়ে দাফন করা হবে ।

 

ভোরের আকাশ/মি