পোশাক শ্রমিকদের জন্য পেনশন ব্যবস্থা চালু করা হবে বলে জানিয়েছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব। তিনি বলেন, পোশাক শ্রমিকদের কোনো পেনশন নেই, আমার একটি স্বপ্ন আছে অন্যান্য পেশাজীবীদের মতো পোশাক শ্রমিকদের পেনশন ব্যবস্থা চালু করা। গতকাল বুধবার সকালে গাজীপুরের টঙ্গীর পাগাড় এলাকার জাবের অ্যান্ড জুবায়ের ফেব্রিকস লিমিটেড কারখানায় সরকার কর্তৃক পোশাক শ্রমিকদের ন্যায্য মূল্যে টিসিবি পণ্য বিক্রয় কর্মসূচির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলে তিনি।
শ্রম উপদেষ্টা বলেন, সীমাহীন দুর্নীতি ও লুটপাটের পরেও পোশাক শিল্পের ওপর নির্ভর করেই দেশের অর্থনীতি টিকে আছে। দীর্ঘ লড়াই শেষে আমরা দায়িত্বে এসেছি। আমাদের প্রতিনিয়ত নানা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হচ্ছে। শ্রম অঞ্চলে অসন্তোষের ঘটনায় বহিরাগতরা জড়িত। শ্রমিক অসন্তোষে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে। তিনি বলেন, এ ব্যাপারে কারখানা মালিকদের শতভাগ সহযোগিতা আশা করছি। আজ থেকে শ্রম অঞ্চলে ন্যায্য মূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য বিক্রি কার্যক্রম শুরু করা হলো। ধাপে ধাপে দেশের সব শ্রম অঞ্চলে এ কার্যক্রম শুরু করতে পারব বলে আশা করছি। শ্রমিকদের দাবিগুলোর মধ্যে ১৮টি যৌক্তিক দাবি মেনে নেয়া হয়েছে। দাবিগুলো বাস্তবায়নের জন্য কাজ করা হচ্ছে। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শতাধিক শ্রমিক প্রাণ দিয়েছেন। তাই শ্রমিকদের সব সময়ই অগ্রাধিকার বেশি।
বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ) সভাপতি খন্দকার রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন- বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মহা. সেলিম উদ্দিন, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব এ.এইচ.এম শফিকুজ্জামাম, ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মোস্তফা ইকবাল, গাজীপুর জেলা প্রশাসক নাফিসা আরেফিন, নোমান গ্রুপের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম নোমান প্রমুখ।
গতকাল বুধবার কারখানারটির এক হাজার শ্রমিককে টিসিবির পণ্য তুলে দেয়া হয়। পরবর্তিতে কয়েকটি ধাপে কারখানাটির ১৩ হাজার শ্রমিককে এ কর্মসূচির আওতায় আনা হবে। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যেগুলোর মধ্যে রয়েছে ৫ কেজি চাল, ২ কেজি তেল, ২ কেজি ডাল। শ্রমিকদের প্রতিমাসের পাওনা বেতন থেকে টিসিবির পণ্যের মূল্য বাবদ ৪৭০ টাকা কেটে নেয়া হবে।
ভোরের আকাশ/রন