১৯শে অক্টোবর, শনিবার সকাল ১০টায় কয়েকশ আউটসোর্সিং কর্মী রাজধানীর শাহবাগ মোড়ে জড়ো হয়ে চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে অবরোধে নেমেছেন। বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে আসা কর্মীরা আউটসোর্সিং প্রথা বাতিল এবং চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে এ আন্দোলন করছেন। তাদের অবস্থানের কারণে শাহবাগ ও আশপাশের সড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
কর্মীরা অভিযোগ করেন, আউটসোর্সিং নীতিমালা বাতিল না করলে এবং দৈনিক হাজিরাভিত্তিক ও প্রকল্পে কর্মরতদের চাকরি স্থায়ী না করলে এই অবরোধ চলবে। টেন্ডার জটিলতায় অনেক কর্মীর চাকরি চলে যায় এবং বছরের শেষে নবায়নের নামে ঘুষ দিতে বাধ্য হতে হয়। এমনকি, মাসের বেতন সময়মতো না পাওয়া বা এক থেকে দুই বছর পর্যন্ত বকেয়া বেতন থাকার অভিযোগও তুলেছেন আন্দোলনকারীরা।
আউটসোর্সিং কর্মীরা “স্বাধীন বাংলায় বৈষম্যের ঠাঁই নাই”, “দাসপ্রথা বিলুপ্ত চাই” স্লোগানে শাহবাগ মোড় অবরোধ করে রেখেছেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে উপস্থিত রয়েছে। শাহবাগ থানার ওসি মোহাম্মদ খালিদ মনসুর জানান, আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হচ্ছে।
আন্দোলনের সমন্বয়ক আব্দুর রাকিব সনেট বলেন, “সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর আউটসোর্সিং কর্মীরা সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করে আসছে, কিন্তু আউটসোর্সিং নীতিমালা ২০১৮ একটি কালো আইন। ঠিকাদাররা টেন্ডারের নামে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করছে। তাই আমরা এই প্রথা বাতিল এবং চাকরি স্থায়ীকরণের দাবি জানাচ্ছি।” আরেক সমন্বয়ক দেলোয়ার হোসেন দাবি করেন, রাজস্বকরণ করলে সরকারের অতিরিক্ত ব্যয় হবে না বরং সঞ্চয় হবে, যা কর্মীদের চাকরি স্থায়ীকরণের মাধ্যমে বাস্তবায়ন সম্ভব।
বিক্ষোভ চলাকালে কর্মচারী রাহেল রায়হান বলেন, “আমরা দৈনিক হাজিরা ভিত্তিক বেতন পাই, যা অত্যন্ত অনিশ্চিত। আউটসোর্সিং একটি বৈষম্যমূলক প্রথা, আমরা এটির বিলোপ চাই।”
শাহবাগ ও এর আশপাশের সড়কগুলো বন্ধ থাকায় অনেক যাত্রীকে বাস থেকে নেমে হেঁটে গন্তব্যে যেতে দেখা গেছে। আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন, তাদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত তারা শাহবাগ ছাড়বেন না এবং পরবর্তী কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
ভোরের আকাশ/রন