logo
আপডেট : ২১ অক্টোবর, ২০২৪ ১৮:৪৯
নাতি ও নাতি বউয়ের লাঠির আঘাতে দাদার মৃত্যু
স্বামী-স্ত্রী আটক
গাইবান্ধা প্রতিনিধি

নাতি ও নাতি বউয়ের লাঠির আঘাতে দাদার মৃত্যু

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় নাতি ও নাতি বউয়ের লাঠির আঘাতে দাদা আব্দুল খালেক ভোলার (৭০) মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। নিজ বাড়িতে কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে তাদের লাঠির আঘাতে মাটিতে পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান বৃদ্ধ আব্দুল খালেক।

এ ঘটনার পর অভিযুক্ত নাতি আলম মিয়া (৩৫) ও তার স্ত্রী রেখা বেগমকে (৩০) আটক করে পুলিশে সোর্পদ করেছে স্থানীয়রা।

রবিবার (২০ অক্টোবর) রাত ৯ টার দিকে সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের মনমথ কাঠগড়া গ্রামে ঘটনা ঘটে। নিহত আব্দুল খালেক ভোলা বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের মনমথ কাঠগড়া গ্রামের মৃত আছর প্রামাণিকের ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, দীর্ঘদিন ধরে জমিজমা নিয়ে দাদা আব্দুল খালেকের সঙ্গে নাতি আলম মিয়া বিরোধ চলছে। এ কারণে প্রায়ই তাদেব মধ্যে ঝগড়া ও উত্তেজনা বিরাজ করে। রবিবার রাতে বাড়িতে নাতি বউ রেখা বেগমের ছোট বাচ্চা পায়খানা করে। পরে সেই পায়খানা দাদা শশুরের বাড়ির উঠানে ফেলায় রেখা বেগম। এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে বাকবিতন্ডার সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে নাতি আলম ও তার বউ রেখা বেগম লাঠি দিয়ে দাদা আব্দুল খালেক ভোলার মাথায় আঘাত করেন। এতে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান আব্দুল খালেক।

এদিকে, ঘটনার পর উত্তেজিত হয়ে উঠেন পরিবারের লোকজনসহ আশপাশের মানুষ। পরে অভিযুক্ত আলম মিয়া ও তার স্ত্রী রেখা বেগমকে আটক করে পুলিশে খবর দেন। 

আব্দুল খালেকের স্বজনদের অভিযোগ, বাড়িতে যে কোন বিষয়ে কথা বললেই উত্তেজিত হয়ে উঠেন আলম ও তার স্ত্রী রেখা। এরআগেও তুচ্ছ ঘটনার জেরে আব্দুল খালেকসহ পরিবারের লোকজনকে মারধর করেন তারা। সর্বশেষ পায়খানা ফেলানোর প্রতিবাদ করায় ক্ষিপ্ত হয় আলম ও তার স্ত্রী। এক পর্যায়ে তারা লাঠি লাঠি দিয়ে আব্দুল খালেকের মাথায় আঘাত করেন। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় তাদের দৃষ্টান্ত শাস্তির দাবি জানিয়েছেন স্বজনসহ এলাকাবাসী।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সুন্দরগঞ্জ থানার ওসি মো. সেলিম রেজা বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। পরে সুরতাল রিপোর্ট তৈরী করে মরদেহ উদ্ধার করে থানা আনা হয়েছে। সোমবার সকালে ময়না তদন্তের জন্য মরদেহ গাইবান্ধা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে।

তিনি আরও বলেন, আটকের পর আলম ও তার স্ত্রী রেখাকে থানা হাজতে রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় নিহত আব্দুল খালেকের পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে। মামলা হলে আটকদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে