ছাত্র-জনতার বিজয়কে রোমান্টিক রেভ্যুলেশন হিসেবে অভিহিত করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান। শনিবার (২৬ অক্টোবর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে ভাষা আন্দোলনের সিপাহসালার ও জাতীয় নেতা অলি আহাদের ১২তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণসভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। এই স্মরণসভার আয়োজন করে ডেমোক্রেটিক লীগ (ডিএল) এবং অলি আহাদ স্মৃতি সংসদ।
ড. মঈন খান বলেন, "বাংলাদেশের ছাত্র-জনতার সংগ্রাম ও বিজয় একদিন পৃথিবীর ইতিহাসে রোমান্টিক রেভ্যুলেশন হিসেবে স্থান পাবে। ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান, ৯০-এর আন্দোলন এবং সাম্প্রতিক সময়ের ছাত্র-জনতার আন্দোলন—সবাই মিলে এই ঐতিহাসিক ধারাবাহিকতার সাক্ষ্য বহন করে চলেছে। এই বিপ্লবকে সামনে এগিয়ে নেওয়ার পথেই আমরা আছি।"
তিনি আরও বলেন, "সাম্প্রতিক আড়াই মাসে বিভিন্ন স্থানে বিভেদ ও সাম্যের সমান্তরাল সৃষ্টি হয়েছে। জনগণের মুক্তির প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখতে আমরা আজ এই রোমান্টিক রেভ্যুলেশনের ধারাবাহিকতাকে আরও শক্তিশালী করার প্রয়াস চালাচ্ছি। কিউবার মতো এই রেভ্যুলেশন বাংলাদেশে সফল হবে বলে আমি বিশ্বাস করি।"
সভায় নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না দেশের পরিস্থিতি প্রসঙ্গে বলেন, "দেশের মানুষ দীর্ঘ সংগ্রামের মাধ্যমে স্বৈরাচারের পতন ঘটিয়েছে। আজ দেশের যে অবস্থা, তাতে সংস্কার একান্ত প্রয়োজন।" বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, "বাংলাদেশের রাজনীতি আর পুরোনো প্রতিহিংসার পথে ফিরবে না। আমাদের গণঅভ্যুত্থানের বিজয়কে ধারণ করতে হবে।"
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি স্মরণসভায় বলেন, "অলি আহাদ বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে অমর। দেশের ফ্যাসিস্ট সরকার পতন ঘটলেও ফ্যাসিস্ট ব্যবস্থার পরিবর্তন এখনো বাকি। দেশের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় এই ব্যবস্থাকে ভাঙতে হবে।"
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের সমন্বয়ক ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, কবি আব্দুল হাই সিকদার, ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা, এবং জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক পার্টির (এনজিপি) সাংগঠনিক সম্পাদক মীর আমির হোসেন আমু প্রমুখ।
ভোরের আকাশ/রন