রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের অপসারণ ইস্যুতে বিএনপিকে পাশে চায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। তবে সংগঠনটি এজন্য বিএনপিকে নির্দিষ্ট সময়ক্ষণ বেঁধে দিতে চায় না। গতকাল শনিবার রাতে বিএনপির সঙ্গে বৈঠক শেষে এমন কথা জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ। রাষ্ট্রপতি ইস্যু ছাড়াও নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত, দ্বিতীয় প্রজাতন্ত্র ও জাতীয় ঐক্যের ব্যাপারে বিএনপির সঙ্গে কথা হয়েছে। বিএনপি দলীয় ফোরামে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত জানাবে।
এদিকে মো. সাহাবুদ্দিনের পদত্যাগ ইস্যুতে জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী আন্দোলন একমত পোষণ করেছে বলে জানিয়েছেন হাসনাত আব্দুল্লাহ।
জানা গেছে, রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে গতকাল শনিবার বিকেল ৫টা ১৫ মিনিটে বিএনপির সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির নেতাদের বৈঠক শুরু হয়। শেষ হয় রাত পৌনে ৮টার দিকে।
বৈঠকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ, বিএনপি যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানী উপস্থিত ছিলেন। আর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ এবং জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসিরুদ্দিন পাটোয়ারী ও সদস্য আকতার হোসেনসহ ৭ জন অংশ নেন ওই বৈঠকে। এই বৈঠকে রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। আলোচনা শেষে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন হাসনাত আব্দুল্লাহ।
এর আগে জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গেও বৈঠক করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। তবে কোথায়, কখন এই বৈঠক হয়েছে তা নিয়ে মুখ খুলছে না কেউই। এই বৈঠকের পরই জামায়াত নেতা মাওলানা আব্দুল হালিম প্রকাশ্য জনসমাবেশে নিজেদের অবস্থান প্রকাশ করেছেন।
বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে বৈঠক হলেও ইসলামী আন্দোলনের সঙ্গে প্রকাশ্য কোনো বৈঠকে বসেনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি। তবে গতকাল বিএনপির সঙ্গে বৈঠক শেষে ইসলামী আন্দোলনের মনোভাবের কথা জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ। ইসলামী আন্দোলনের নেতারা এরই মধ্যে রাষ্ট্রপতি ইস্যুতে প্রকাশ্য সমাবেশে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে।
ভোরের আকাশ/রন