logo
আপডেট : ২৮ অক্টোবর, ২০২৪ ১৭:৫৫
গাইবান্ধায় রেজিষ্টার অফিসের দালালদের দৌরাত্ন্য
অতিষ্ঠ গ্রাহক ও কর্মকর্তারা
গাইবান্ধা প্রতিনিধি

গাইবান্ধায় রেজিষ্টার অফিসের দালালদের দৌরাত্ন্য

সাধারণ গ্রাহক হয়রানি বন্ধসহ দালাল ও সিন্ডিকেট মুক্ত করতে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ায় বেকায়দায় পড়েছেন গাইবান্ধা সদর উপজেলার সাব রেজিষ্টার কার্যালয়ের কর্মকর্তা মেহেদী হাসান।

দালালদের দৌরাত্ন্যের অতিষ্ঠ সাধারণ মানুষসহ সেখানকার কর্মকর্তারা। দীর্ঘদিন থেকে দলিল সম্পাদনে দলিল লেখক সমিতির নাম করে অতিরিক্ত অর্থ আদায়, রেজিষ্টারের স্বাক্ষর জাল করে রাজস্ব ফাঁকি, দলিল জমা না করে মোটা অংকের টাকা আত্মসাতের ঘটনা উদঘাটনসহ দালালদের বিরুদ্ধে মামলা করায় এমন পরিস্থিতি বিরাজ করছে।

জানা গেছে, সাব রেজিষ্টার মেহেদী হাসান , গ্রাহক হয়রানি বন্ধ করতে ২০০২ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত বালামভুক্ত না হওয়া প্রায় দুই শতাধিক দলিল চলমান সময়ে বালামভুক্ত করতে উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। বন্ধ করেছেন সিন্ডিকেট। ফলে অবৈধভাবে অর্থ আয়ের পথ বন্ধ হওয়ায় সাব রেজিষ্ট্রারকে নানা ভাবে বেকায়দায় ফেলার চেষ্টা করছে সংঘবদ্ধ একটি চক্র। দালালরা একটা শক্তিশালী সিন্ডিকেট গড়ে তুলেছেন এখানে। তাদের বিরুদ্ধ মামলাও দায়ের করা হয়েছে।  

সোমবার (২৮ অক্টোবর) এক প্রেস বিজ্ঞাপ্তিতে সাব রেজিষ্ট্রির কার্যালয়ের বর্তমান পরিস্থিতি তুলে ধরা হয়। বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, গাইবান্ধা সদর সাব রেজিষ্ট্রি অফিস দেশের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর সকল সিন্ডিকেট ও দালালদের নিমূর্ল করাসহ দফতরে সকল ধরণের অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের নোটিশ বিভিন্ন মাধ্যমে ও দেওয়ালে টানিয়ে দেওয়া হয়। এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে দালাল চক্র।

এ বিষয়ে গাইবান্ধা জেলা রেজিষ্ট্রার জহুরুল ইসলাম বলেন, সাব রেজিষ্টার মেহেদী হাসান দীর্ঘদিনের একটি সিন্ডিকেট ভেঙে দিয়েছেন। এতে দালালরা নানা ভাবে সাব রেজিষ্টার কর্মকর্তাদের হয়রানি করছে।

ভোরে আকাশ/ সু