রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ছাত্র-জনতার ওপর হামলা ও গুলিবর্ষণের মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে গোয়ালন্দ উপজেলা আ.লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি শহিদুল ইসলাম খানকে। সোমবার বিকেলে গোয়ালন্দ পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের কুমড়াকান্দি এলাকার তার নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি মোহাম্মদ রাকিবুল ইসলাম প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থী রাজিব মোল্লা বাদী হয়ে গত ৩০ আগস্ট রাজবাড়ী সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় রাজবাড়ী-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য কাজী কেরামত আলী, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী ইরাদত আলী, জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি মো. শাহিন শেখসহ মোট ১৭০ জনের নাম উল্লেখসহ আরও ৩০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়।
এজাহারে বলা হয়, গত ১৮ জুলাই কোটা সংস্কার আন্দোলনের অংশ হিসেবে আন্দোলনকারীরা রাজবাড়ী শহরের বড়পুল মোড়ে অবস্থান নিলে পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী আক্রমণ করা হয়। দেশীয় অস্ত্র, আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদ নিয়ে আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা চালানো হয়, বোমা নিক্ষেপ এবং গুলি বর্ষণ করা হয়। হামলায় সোনিয়া আক্তার স্মৃতি, নুরুন্নবী, আশিক ইসলাম অভি, রাজিব মোল্লা, মেহেরাব, আলতাফ মাহমুদ সাগর, উৎস সরকার ও রিয়াজসহ বহু আন্দোলনকারী আহত হন।
গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি মোহাম্মদ রাকিবুল ইসলাম বলেন, মামলার তদন্তে শহিদুল ইসলাম খানকে অভিযুক্ত পাওয়া গেছে। তাকে রাজবাড়ীর আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
ভোরের আকাশ/ সু