logo
আপডেট : ৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১০:১২
মার্কিন নির্বাচনের দিকে তীক্ষ্ম দৃষ্টি ঢাকার
নিখিল মানখিন

মার্কিন নির্বাচনের দিকে তীক্ষ্ম দৃষ্টি ঢাকার

বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী ও গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আর মাত্র দুদিন বাকি। আগামী ৫ নভেম্বর মার্কিন ভোটাররা বাছাই করবেন তাদের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট। আর সেই প্রেসিডেন্টের কর্মকাণ্ডের প্রভাব পড়বে গোটা বিশ্বজুড়ে। তাই মারিজুয়ানার ব্যবহার থেকে শুরু করে অভিবাসী কিংবা পররাষ্ট্র ইস্যুতে প্রার্থীদের দৃষ্টিভঙ্গির দিকে যুক্তরাষ্ট্র তো বটেই বাইরের পৃথিবীরও চোখ থাকে। ওই নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে আছে বাংলাদেশ। মার্কিন নির্বাচন নিয়ে বাংলাদেশের রাজনৈতিক দল থেকে শুরু করে সাধারণ জনগণের হিসাব-নিকাশের শেষ নেই। এই হিসাব-নিকেশ আরও জোড়ালো হয়ে উঠেছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের এক টুইট বার্তার পর। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব অবশ্য ট্রাম্পের টুইটের জবাব দিয়েছেন। কিন্তু এরপরও মার্কিন নির্বাচন ঘিরে তীক্ষ্ম দৃষ্টি রাখছে ঢাকা।

সংশ্লিষ্ট কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, ডেমোক্র্যাটিক নেতাদের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। বিশেষ করে মার্কিন সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন ও তার স্ত্রী সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটনের সঙ্গে ড. ইউনূসের ঘনিষ্ঠতা রয়েছে। সেই সূত্র ধরেই ডেমোক্র্যাট নেতাদের সঙ্গে তার সখ্যতা গড়ে ওঠে। বর্তমান প্রেসিডেন্ট বাইডেন প্রশাসনের সঙ্গে আওয়ামী লীগের সরকারের সম্পর্কের বৈরিতার জন্য ড. ইউনূসকে দায়ী করেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার দলের নেতারা। বিষয়টি প্রকাশ পেয়েছে বিভিন্ন সময়ে। তাই রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর মার্কিন আশীর্বাদের মাত্রা হ্রাস পেতে পারে- এমন ধারণা আওয়ামী লীগ পন্থিদের। বাংলাদেশ নিয়ে মার্কিন অবস্থানের হেরফের হতে পারে। ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রেও নতুন বাতাবরণ তৈরি হতে পারে। সুযোগ তৈরি হতে পারে আওয়ামী লীগের জন্যও। এমন আলোচনার মধ্যেই বাংলাদেশ নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্য করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। বিষয়টি নিয়ে সাংবাদিকদের ব্যাখ্যা দিতে হয়েছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিবকে। সব মিলিয়ে মার্কিন নির্বাচন নানা কারণে বাংলাদেশের জনগণের কাছে আলোচনার গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, গত ৫ আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের মুখে ভারতে পালিয়ে যান সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গত ৮ আগস্ট প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত হয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দেওয়াসহ বিভিন্ন কারণে বর্তমানে ভারতের সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের সম্পর্কে অনেকটা ফাটল ধরেছে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে শক্ত অবস্থান নিয়েছে ভারত। বিভিন্ন সময়ে অন্তর্বর্তী সরকারের অনেক উপদেষ্টার বক্তব্য ও মন্তব্যে ভারতের প্রতি অসন্তোষ ও ক্ষোভ প্রকাশ পেয়েছে। সম্প্রতি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির পক্ষে এবং অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে মার্কিন প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের বক্তব্যটি আগুনের ফুলকি আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। শুধু তাই নয়, যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনের ফলাফল কি কোনো প্রভাব ফেলবে বাংলাদেশের ওপরে- এমন প্রশ্নও উঠছে। কারণ বাংলাদেশে এখন বিশেষ একধরনের সরকারব্যবস্থা চলছে। অভ্যুত্থান-পরবর্তী দ্রুততম সময়ে বিশেষ এ সরকারের প্রয়োজন ছিল পশ্চিমা সমর্থন। সেটি শুধু পাওয়া নয়, বেশ ভালোভাবেই অর্জন করেছে ড. ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনের পর সেটিতে কোনো প্রভাব পড়বে কি না, তা নিয়ে বিশ্লেষণ চলছে বহুমাত্রায়।

সর্বশেষ সে আলোচনায় জ্বালানি সরবরাহ করেছে হঠাৎ করে সাবেক প্রেসিডেন্ট এবং রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের একটি এক্স বার্তা। যেখানে তিনি দাবি করেছেন, বাংলাদেশে এখন অরাজকতা চলছে। যে দাবিটি কয়েক মাস ধরে করে আসছে আওয়ামী লীগ। ট্রাম্প আরও দাবি করেছেন, বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর নির্যাতন চলছে। যেটি মূলত বাংলাদেশের বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে মনেপ্রাণে অপছন্দ করা ভারতের দাবি। ভারত এবং দেশটির মিডিয়া বেশ চড়া সুরে দাবিটি করলেও সেটি শেষ পর্যন্ত বৈশ্বিক দৃষ্টি আকর্ষণ করেনি। কিন্তু ট্রাম্পের মন্তব্যের পর নতুন করে আলোচনা শুরুর সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।

এর আগে বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো-বাইডেনের সঙ্গে ফোনালাপে মোদি বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতনের বিষয়টি জানিয়েছিলেন। মোদি নিজের এক্স বার্তায় সেটি প্রকাশও করেছেন। তবে এ ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ইতিবাচক কোনো সাড়া মেলেনি। যা কার্যত তাকে বেশ হতাশ করেছে। কিন্তু সেখানে ট্রাম্প নিজে থেকেই মোদির কথাকে সত্যায়িত করছেন। এটা বাংলাদেশ ইস্যুতে ভবিষ্যতে যুক্তরাষ্ট্র-ভারতের সম্পর্কে নতুন কোনো রাজনৈতিক মেরুকরণ কি না, সেটা নিয়েও কথা উঠছে।

ডেমোক্র্যাটিক নেতাদের সঙ্গে ড. ইউনূসের সখ্যতা
ড. মুহাম্মদ ইউনূসের এ সরকারের সঙ্গে ডেমোক্র্যাটিক নেতাদের সখ্যতা বহু পুরোনো। সাবেক প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটন, তার স্ত্রী হিলারি ক্লিনটনের সঙ্গে রয়েছে তার ব্যক্তিগত সম্পর্ক। বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো-বাইডেনের ওপর ডেমোক্র্যাটিক যে তিনজন শীর্ষ নেতার সবচেয়ে বেশি প্রভাব রয়েছে। তারা হলেন- বিল ক্লিনটন, হিলারি ও বারাক ওবামা। তাই ড. ইউনূস প্রশাসনের সব ধরনের সহায়তা নিশ্চিত করতে ক্লিনটন ও হিলারি ভূমিকা রাখবেন এটাই স্বাভাবিক। ট্রাম্পের নির্বাচনি ট্রান্সজিশন টিমের নেতৃত্ব দিচ্ছেন সাবেক প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডির ভাতিজা রবার্ট এফ কেনেডি জুনিয়র ও ডোমোক্র্যাটিক দল পাল্টে এবার ট্রাম্পকে সমর্থন জানানো সাবেক কংগ্রেসম্যান তুলসি গ্যাবার্ড, যিনি ডানপন্থি কট্টর হিন্দুবাদী হিসেবে পরিচিত।

বাংলাদেশকে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বড় ধরনের মাথাব্যথা নিয়ে যারা উদ্বিগ্ন, অনেকেই মনে করেন সেখানে বড় ভূমিকা রাখে দেশটির অন্যতম মিত্র ভারত। ভারতকে চটিয়ে বাংলাদেশে অনেক কিছু করতে চাইলেও করতে পারে না যুক্তরাষ্ট্র। তবে বিশ্বস্ত বন্ধু শেখ হাসিনাকে হারিয়ে এবার ভারত বাংলাদেশের বিষয়ে কঠোর অবস্থান নিতে চাইলেও সেটা আটকে আছে যুক্তরাষ্ট্রের মনোভাবের কারণে। সেখানে পরিবর্তন আসতে পারে ডোনাল্ড ট্রাম্প পুনরায় নির্বাচিত হয়ে এলে- এমনটি ধারণা করা হচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্রে বিভক্ত বাংলাদেশিরা
মার্কিন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কিছুটা বিভক্ত হতে পারেন যুক্তরাষ্ট্রের বাংলাদেশিরা। ভোটের হিসাবে বাংলাদেশিরা ডেমোক্র্যাটিক দলকে বড় মিত্র ভাবলেও অনেকে হয়তো এবার রিপাবলিকানদের ভোট দেওয়ার কথা ভাবছেন। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী এবং যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত বাংলাদেশি আওয়ামী সমর্থকদের অনেকে মনে করেন, শেখ হাসিনা সরকার পতনের জন্য বড় ভূমিকা রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের বাইডেন প্রশাসনের। এ কারণে বাইডেনের বর্তমান সরকারের ওপর তাদের ক্ষোভ বেশি। ট্রাম্পের বিভিন্ন সমাবেশে গুটিকয়েক যে বাংলাদেশিরা যোগ দেন, তাদের অনেকেই আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে বিশ্বাসী।

ট্রাম্পের বক্তব্য অভ্যন্তরীণ রাজনীতির অংশ : প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব
বাংলাদেশে হিন্দু সম্প্রদায়সহ অন্যান্য সংখ্যালঘুরা নির্যাতনের শিকার হয়েছেন- সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ও আসন্ন নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের দেওয়া এমন বক্তব্য দেশটির অভ্যন্তরীণ রাজনীতির অংশ বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। গত শনিবার রাজধানীর এফডিসিতে মার্কিন নির্বাচনের প্রভাব নিয়ে ডিবেট ফর ডেমোক্র্যাসি আয়োজিত ছায়া সংসদে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। শফিকুল আলম বলেন, ‘প্রফেসর ইউনূসের সঙ্গে ডেমোক্র্যাট এবং রিপাবলিক দুই পার্টিরই সিনিয়র লিডারদের সঙ্গে খুব ভালো সম্পর্ক। তার বন্ধু দুটি দলের মধ্যেই আছে। সম্পর্ক অনেকখানি নির্ভর করে ব্যক্তিগত অ্যাটাচমেন্টের ওপর। ড. ইউনূস একজন গ্লোবাল লিডার। তাই মার্কিন নিবার্চনে কমলা হ্যারিস বা ডোনাল্ড ট্রাম্প যে-ই জয়ী হোক না কেন, আমাদের সম্পর্কের কোনো চ্যালেঞ্জ হবে না।’

তিনি বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক ভালো। আমরা চাচ্ছি তাদের সঙ্গে আমাদের সুসম্পর্ক বজায় থাকুক। বাংলাদেশে যে অভূতপূর্ব গণঅভ্যুত্থান হয়েছে তাতে আমরা সারা বিশ্বের সাপোর্ট পেয়েছি। পতিত স্বৈরাচার সরকারের সঙ্গে ভারত থাকা সত্ত্বেও তাতে কোনো কাজে আসেনি। জনগণ জেগে উঠলে কোনো অপশক্তিই টিকে না।’

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব বলেন, ‘বাংলাদেশের সংখ্যালঘু নির্যাতন নিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বক্তব্যটি সম্পূর্ণ ডোমেস্টিক পলিটিক্যাল (অভ্যন্তরীণ রাজনীতির) ইস্যু। লবিস্টরা হয়তো এ বিষয়ে প্রভাব বিস্তার করেছে। বাংলাদেশে কোনো সংখ্যালঘু নিযার্তন হয়নি। বাংলাদেশে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ইউনিটি কাউন্সিল নয়জন সংখ্যালঘু মারা যাওয়ার বিষয়ে যে রিপোর্ট (প্রতিবেদন) দিয়েছে, তা বিশ্লেষণ করলে বুঝা যায় এখানে রিলিজিয়াস (ধর্মীয়) মোটিভেশনের (অনুপ্রেরণা) চাইতে পলিটিক্যাল (রাজনৈতিক) অ্যাফিলিয়েশন (সম্পৃক্ততা) বা অন্য কোনো কারণ ছিল।

মার্কিন নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে হাসিনা -বিবিসি
বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, টানা ১৫ বছরের বেশি সময় ধরে ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগ আর রাজনীতিতে ফিরতে পারবে? ফিরলে কীভাবে, কোন কৌশলে ফিরবে? এসব প্রশ্নের জবাব পেতে যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে আছেন শেখ হাসিনা। ওই নির্বাচন আওয়ামী লীগের কোনো সুযোগ তৈরি করে দিতে পারে। সুযোগের বিপরীতে হতাশার বার্তাও নিয়ে আসতে পারে মার্কিন মুলুকের নির্বাচন।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, বাইডেন প্রশাসনের সঙ্গে আওয়ামী লীগের সরকারের সম্পর্কের বৈরিতার বিষয়টি প্রকাশ পেয়েছে সময়ে সময়ে।

আওয়ামী লীগ মনে করছে, যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটিক শিবির জয় পেলে বাংলাদেশ নিয়ে তাদের অবস্থান পরিবর্তন হবে না এবং ভারত সরকারের সঙ্গেও যুক্তরাষ্ট্রের বিদ্যমান সম্পর্ক অপরিবর্তিত থাকবে।

অন্যদিকে রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প বিজয়ী হলে বাংলাদেশ নিয়ে মার্কিন অবস্থানের হেরফের হতে পারে। ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রেও নতুন বাতাবরণ তৈরি হতে পারে। সুযোগ তৈরি হতে পারে আওয়ামী লীগের জন্যও।

প্রবল গণ-আন্দোলনের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নেওয়া আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা অভিযোগ করেছেন, তাকে উৎখাতের পেছনে যুক্তরাষ্ট্রের মতো বিদেশি শক্তির হাত আছে। সেন্ট মার্টিন আর বঙ্গোপসাগর আমেরিকার হাতে ছেড়ে দিলে আমি ঠিকই ক্ষমতায় থাকতে পারতাম।

ভারতের সংবাদমাধ্যম দ্য প্রিন্ট লিখেছে, দেশে আওয়ামী লীগ সমর্থকদের উদ্দেশে একটি বার্তা পাঠিয়েছেন শেখ হাসিনা। সেখানেই তিনি ওই অভিযোগ করেছেন। এর আগে ১৫ বছর বাংলাদেশের ক্ষমতায় থাকাকালে একই ধরনের অভিযোগ বহুবার করেছেন শেখ হাসিনা। ২০২৩ সালের মে মাসে বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্র হয়ত তাকে ক্ষমতায় দেখতে চায় না।

এ অবস্থায় বাংলাদেশের সবার দৃষ্টি এখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দিকে।

 

ভোরের আকাশ/রন