রাজনীতিবিদরা ক্ষমতায় যেতে উসখুস করছে বলে মন্তব্য করেছেন সড়ক পরিবহন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। তিনি বলেছেন, আমাদের সরকার ক্ষমতায় যায়নি, দায়িত্ব নিয়েছে। আমরা কোনো নির্দিষ্ট গোষ্ঠীর কাছে দায়বদ্ধ নই; আমরা দায়বদ্ধ গণহত্যায় শহীদদের প্রতি। গতকাল শনিবার রাজধানীর একটি হোটেলে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ) আয়োজিত "হারমোনিজিং রিফোর্ম অ্যান্ড সাসটেইনেবল ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভলপমেন্ট ফর এ প্রস্পারাস বাংলাদেশ" শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, আমাদের হাতে সময় খুবই কম। কম সময়ে কতটুকু কাজ করতে পারব? রাজনীতিবিদরা ক্ষমতায় যেতে উসখুস করছে। আমিও আমার শিক্ষকতা পেশায় ফিরে যেতে চাই। যেই অল্প কয়দিন আছি, এই অল্প সময়ে দুর্নীতি ব্যবস্থা ভেঙে দিতে চাই। সরকার একটা আমানত। তাই জনগণের টাকা যখন খরচ করবেন, তখন তাদের কথা মাথায় রাখতে হবে। সরকার যে একটা আমানত, সে কথা তারা (আওয়ামী লীগ) ভুলে গিয়েছিল, তাই মানুষ বিক্ষুব্ধ হয়েছিল। তিনি আরো বলেন, কতটুকু সংস্কার করতে পারব, জানি না। তবে প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার শুরু হয়েছে। সাবেক সচিব দিয়ে মেট্রো চালানোর আইন বাতিল করেছি। যারাই মেট্রো চালাতে পারবে, তারা কাজ করবে। জরুরিভিত্তিতে ঠিকাদারদের কাজ পাওয়ার আইন বাতিল করেছি। কোন প্রকল্প করা হবে, কোনটা করা হবে না, সেটা জানতে আমরা মানুষের কাছে যাচ্ছি।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) অধ্যাপক শামছুল হক বলেন, “উড়াল সড়ক হলো ৬০-এর দশকের একটি দর্শন। যারা তখন উড়াল সড়ক করেছিল, তারা এখন তা ভেঙে ফেলছে। অথচ আমরা এখন উড়াল সড়ক তৈরি করছি। আমরা সে ভুলের পুনরাবৃত্তি করছি। আমাদের অনেক সম্ভাবনা ছিল। কিন্তু আমরা সে সম্ভাবনা কাজে লাগাতে পারিনি। সীমিত সম্পদ দিয়ে দেশের সকল মানুষের চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হবে না। তাই সম্পদের সঠিক ব্যবহার করা উচিত ছিল।” বাংলাদেশ রেলওয়ে মহাপরিচালক সরদার সাহাদাত আলী বলেন, রেলে অনেক অবকাঠামো হয়েছে, কিন্তু সেগুলো কাজে লাগানো যাচ্ছে না। জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী কাজের বিনিময় নিশ্চিত হচ্ছে না। নতুন রেললাইন অবকাঠামো হয়েছে, রোলিং স্টক নেই। কিছু জায়গায় স্টেশন না করে রেলের জন্য ইঞ্জিন-বগি কেনা যেত। এখন ইঞ্জিন-বগির সংকটের কারণে রেললাইনে সঠিক ব্যবহার হচ্ছে না।
ভোরের আকাশ/রন