logo
আপডেট : ৩ নভেম্বর, ২০২৪ ১৪:৩৩
কোনো রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধের পক্ষে নয় বিএনপি
-মির্জা ফখরুল
ভোরের আকাশ প্রতিবেদক

কোনো রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধের পক্ষে নয় বিএনপি

বিএনপি কোনো রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধের পক্ষে নয়, বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গতকাল শনিবার বিকেলে রাজধানী মহাখালীর ব্র্যাক সেন্টারে প্রয়াত সাবিহ উদ্দিন আহমেদের দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে স্মরণ সভা শেষে জাতীয় পার্টি ইস্যুতে এক প্রশ্নে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

মির্জা ফখরুল বলেন, যেটা কোনো ইস্যুই নয়, সেই ইস্যুকে সামনে এনে নতুন করে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। তিনি বলেন, সাবিহসহ আমরা যারা ছাত্ররাজনীতি শুরু করেছিলাম; আমাদের একটা লক্ষ্য ছিলÑ এই সমাজটাকে পরিবর্তন করব, আমরা বদলে দেব। সেটা সেই সময় সম্ভব হয়নি। সরকারি চাকরিতে গেলেও সাবিহ কখনো সেই লক্ষ্য থেকে সরে যায়নি। সাবিহ যেখানেই ছিল, সেখানেই দেশের জন্য কাজ করেছে, জনগণের জন্য কাজ করেছে। সবচেয়ে বেশি আমার মনে পড়ে যে, যখন তিনি খালেদা জিয়ার সঙ্গে কাজ করেছেন। তখন দেখেছি যে, তিনি সবচেয়ে বেশি দায়িত্বশীলতার সঙ্গে কাজ করেছেন।

শেখ হাসিনার শাসনামলে সাবিহ উদ্দিন সরকারের রোষানলে নির্যাতিত হওয়ার ঘটনা তুলে ধরে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ওই সময়ে তার ওপরে প্রচণ্ড আক্রমণও হয়েছিল; রিয়াজ রহমানের গুলি লেগেছিল, সাবিহ উদ্দিন আহমেদের গাড়িটা পুড়িয়ে দিয়েছিল, আক্রমণ হয়েছিল। এই সময়গুলো আমরা পার করেছি। বহুবারই বিভিন্ন গ্রেপ্তার হওয়ার মুহূর্ত থেকে বেরিয়ে এসেছে। সে ভিকটিম হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু হয়নি। তার চলে যাওয়াটা আমাদের জন্য কষ্টকর। আমরা যারা একসঙ্গে ছিলাম, তাদের কাছে এটা বেদনার। সাবিহর ছবিটা এখানে দেখে আতকে উঠলাম।

সভায় অর্থ উপদেষ্টা সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, সাবিহ উদ্দিন ছিলেন প্রকৃত জাতীয়তাবাদী। দেশ ও জনগণের প্রশ্নে কোনো আপস করেননি। এমন মানুষ পাওয়া দুষ্কর। আমরা হারিয়েছি সাবিহ উদ্দিন আহমেদ, সিরাজুল ইসলাম সবুজসহ আরও অনেককে। তাদের মধ্যে সাবিহ অনন্য। আমরা তার পরিবারের জন্য দোয়া করি।

অধ্যাপক মাহবুবউল্লাহ বলেন, সাবিহ শেষ দিন পর্যন্ত দেশের কথা ভেবেছেন, দশের কথা ভেবেছেন। তার মধ্যে স্বার্থপরতা ছিল না। দেশপ্রেমের প্রশ্নে কোনো আপস তিনি করেননি।

প্রয়াত সাবিহ উদ্দিনের বর্ণাঢ্য কর্মজীবনের ওপরে স্মৃতিচারণ করেন প্রবীণ সম্পাদক শফিক রেহমান, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জহির উদ্দিন স্বপন, জাতীয় পার্টির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনাম, প্রয়াত সাবিহ উদ্দিন আহমেদের ছোট ভাই সালাহ উদ্দিন আহমেদসহ অবসরপ্রাপ্ত কূটনীতিক, ব্যাংকার, অর্থনীতিবিদসহ বিভিন্ন পেশার নাগরিকরা। প্রয়াত সাবিহ উদ্দিনের সহধর্মিণী রওনক আহমেদ, ছেলে সাইয়াব আহমেদ, বিএনপি মহাসচিবের সহধর্মিণী রাহাত আরা বেগমসহ নিকট স্বজনরাও ছিলেন স্মরণ সভায়।

প্রয়াত কূটনীতিকের পরিবারের পক্ষ থেকে স্মরণ সভার আয়োজন করা হয়। ২০২২ সালের ৩১ অক্টোবর গুলশানের ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সাবিহ উদ্দিন আহমেদ। ২০০১ সালে খালেদা জিয়ার শাসনামলে সাবিহ উদ্দিন আহমেদ যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের হাইকমিশনার ছিলেন।

 

ভোরের আকাশ/রন