জাপানে সম্প্রতি ‘সেপারেশন ম্যারেজ’ নামে এক নতুন ধরণের বিবাহের ধারণা জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে, যেখানে তরুণ-তরুণীরা একসাথে না থাকার শর্তে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হচ্ছেন। এই ধরনের বিয়েতে স্বামী-স্ত্রী আলাদাভাবে বসবাস করেন এবং একে অপরের ব্যক্তিগত জীবনে হস্তক্ষেপ না করার প্রতিশ্রুতি দেন।
বিয়ের পর তারা সাধারণত সাপ্তাহিক ছুটির দিনে একসাথে সময় কাটান, আর বাকি সময়টায় নিজেদের স্বাধীনতা উপভোগ করেন। বিশেষজ্ঞরা এই বিবাহপ্রথাকে প্রেমের সম্পর্কের অনুরূপ মনে করছেন। যেমন প্রেমের সময় দম্পতিরা আলাদাভাবে থাকেন, সেপারেশন ম্যারেজেও তারা একইভাবে দূরত্ব বজায় রাখেন।
যদিও আইনগতভাবে বিয়ে হয়, তবে এই সম্পর্কের মধ্যে দুজনের জীবনযাত্রা আলাদাভাবে চলে। নিয়মিত যোগাযোগ থাকলেও, তারা একে অপরের সাথে মিলিত হন সুবিধামতো সময়ে, যা অনেকের কাছে ‘সাপ্তাহিক বিয়ে’ নামে পরিচিত হয়ে উঠেছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সেপারেশন ম্যারেজের জনপ্রিয়তার পেছনে ইতিবাচক কিছু কারণ রয়েছে। সাধারণত বিয়ের পর দায়িত্বের বোঝা বেড়ে যায়, যা নিজস্ব সময়ের ঘাটতি সৃষ্টি করে এবং সংসারের বাড়তি চাপের ফলে নানা জটিলতা দেখা দেয়। সেপারেশন ম্যারেজ এই চাপকে কমিয়ে দেয়, কারণ এতে মতের অমিল বা ঝগড়ার সম্ভাবনাও কম থাকে।
বর্তমানে এই ট্রেন্ড শুধু জাপানেই সীমাবদ্ধ নয়; অন্যান্য দেশেও এর জনপ্রিয়তা বাড়ছে। অনেকেই মনে করছেন, বিশ্বায়নের প্রভাবে ভবিষ্যতে বাংলাদেশেও এমন বিবাহের প্রচলন দেখা যেতে পারে।
ভোরের আকাশ/রন