যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ায় ডোনাল্ড ট্রাম্পকে অভিনন্দন জানিয়েছে চীন। নির্বাচনের ফলাফলের প্রতি সম্মান জানিয়ে চীন আশা প্রকাশ করেছে যে, দুই দেশের মধ্যে পারস্পরিক মতপার্থক্য নিরসনে বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ নেওয়া হবে। চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র বুধবার জানান, “মার্কিনিদের সিদ্ধান্তের প্রতি আমরা শ্রদ্ধাশীল এবং প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে আমাদের আন্তরিক অভিনন্দন জানাচ্ছি।”
চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংও ট্রাম্পকে অভিনন্দন বার্তা পাঠিয়েছেন। চীনা বার্তা সংস্থা সিনহুয়ার বরাতে জানা গেছে, ট্রাম্পের সঙ্গে ফোনেও কথা বলেছেন জিনপিং। তিনি বার্তায় উল্লেখ করেন, “স্থিতিশীল ও টেকসই চীন-মার্কিন সম্পর্ক উভয় দেশের সাধারণ স্বার্থে এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রত্যাশা অনুযায়ী প্রয়োজনীয়।” জিনপিং আশা প্রকাশ করেন যে, উভয় দেশ পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও সহযোগিতার মাধ্যমে বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে পারবে।
চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম চায়না ডেইলি তার এক কলামে ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদকে নতুন সম্ভাবনার দিগন্ত হিসেবে উল্লেখ করেছে। এতে বলা হয়, “যদি সুযোগ হাতছাড়া না করা হয়, তবে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের এক নতুন অধ্যায় শুরু হতে পারে। পারস্পরিক সমঝোতার মাধ্যমে দুই দেশ কেবল নিজেদের স্বার্থই নয়, বরং বৈশ্বিক নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতাও নিশ্চিত করতে পারবে।”
ট্রাম্পের গত মেয়াদে চীনের সঙ্গে বাণিজ্য যুদ্ধ শুরু হয়েছিল এবং বাইডেন প্রশাসনের অধীনেও সম্পর্ক খুব একটা উন্নতি হয়নি। তাইওয়ান ও দক্ষিণ চীন সাগরসহ বিভিন্ন ইস্যুতে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও জটিল হয়। এ বছরের প্রচারণায় ট্রাম্প আবারও চীনা পণ্যে ৬০ শতাংশ শুল্ক আরোপের হুমকি দেন, যা চীনা অর্থনীতির জন্য চ্যালেঞ্জ হতে পারে।
এদিকে, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিও ট্রাম্পকে ফোন করে ঐতিহাসিক জয়ের জন্য অভিনন্দন জানান এবং দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, “বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠায় শক্তিশালী মার্কিন নেতৃত্বের গুরুত্ব অপরিসীম।”
গতবারের অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে এবার চীন ও যুক্তরাষ্ট্র নতুন করে সম্পর্ক উন্নয়নের পথে এগোবে বলে আশাবাদী বিশ্লেষকরা। ট্রাম্প ক্ষমতায় থাকাকালে চীনা পণ্যে শুল্ক আরোপ এবং কোভিড-১৯ নিয়ে চীনকে দোষারোপ করলেও দুই দেশের মধ্যে আর্থিক সহযোগিতা ও কূটনৈতিক সংলাপের গুরুত্ব তুলে ধরেছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।
ভোরের আকাশ/রন