ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের ৪৭তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে পুনরায় নির্বাচিত হলেও, তার বিরুদ্ধে চলমান ফৌজদারি মামলাগুলোর ভবিষ্যৎ নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর এসব মামলা নিয়ে কী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে, সে প্রশ্নও এখন উঠে আসছে।
নিউ ইয়র্ক ঘুষ মামলা
ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ২০১৬ সালে এক পর্ন তারকাকে মুখ বন্ধ রাখতে ঘুষ দেয়ার জন্য ১ লক্ষ ৩০ হাজার ডলার প্রদান এবং সেটি আড়াল করতে ব্যবসায়িক নথি জাল করেছিলেন তিনি। এই অভিযোগে নিউ ইয়র্ক আদালতে তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। আগামী ২৬ নভেম্বর এ মামলায় ট্রাম্পের সাজা ঘোষণা করা হবে। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, তার বয়স এবং প্রথমবার অপরাধী হিসেবে তাকে বিবেচনায় নিয়ে জেল নাও দেয়া হতে পারে। যদিও সাজা হলে তার আইনজীবীরা আপিলের জন্য সময় চাইবেন।
২০২০ সালের নির্বাচনী ফল বিপর্যয় সংক্রান্ত মামলা
জ্যাক স্মিথের নেতৃত্বে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া এই মামলায় বলা হয়েছে, বাইডেনের কাছে হেরে যাওয়ার পর নির্বাচনী ফল বদলের চেষ্টা করেছিলেন ট্রাম্প। তবে ফেডারেল আইনের অধীনে ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে মামলার কার্যক্রম পরিচালনা করা যায় না। তাই বিচারাধীন থাকা অবস্থায় ট্রাম্প এ মামলা থেকে মুক্ত থাকতে পারেন। যদি মামলা অব্যাহত থাকে, তাহলে ট্রাম্প স্মিথকে বরখাস্ত করার সুযোগ পাবেন, যার ইঙ্গিত তিনি ইতিমধ্যেই দিয়েছেন।
গোপনীয় নথি সংক্রান্ত মামলা
প্রথম দফায় প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব ছেড়ে যাওয়ার পর হোয়াইট হাউজের গোপন নথি সংরক্ষণে অবহেলা করার অভিযোগ রয়েছে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে। যদিও আদালতের রায়ে এসব অভিযোগ খারিজ করা হয়েছে, তবু এই মামলা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগে আপিল চলছে।
জর্জিয়া নির্বাচনী মামলা
২০২০ সালে জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যে নির্বাচনী ফল পাল্টানোর অভিযোগে দায়ের করা মামলাটিও ট্রাম্পের বিরুদ্ধে বিচারাধীন। এই মামলায় স্থানীয় ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি ফানি উইলিসের ভূমিকা নিয়েও বিতর্ক চলছে। নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর এই মামলাটি হয়তো স্থগিত বা খারিজ হয়ে যেতে পারে।
এই পরিস্থিতিতে ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর তার বিরুদ্ধে চলমান মামলাগুলোর কী পরিণতি হবে তা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোচনা চলছে।
ভোরের আকাশ/রন