logo
আপডেট : ১০ নভেম্বর, ২০২৪ ১৬:৩০
উপসচিব থেকে ওপরের পদে কোটা বাতিল দাবি
ভোরের আকাশ প্রতিবেদক

উপসচিব থেকে ওপরের পদে কোটা বাতিল দাবি

সরকারের উপসচিব ও তার ওপরের পদে ‘কোটাপদ্ধতি’ বাতিল করে উন্মুক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে মেধার ভিত্তিতে পেশাভিত্তিক মন্ত্রণালয় গঠন অর্থাৎ ‘ক্যাডার যার মন্ত্রণালয় তার’ করাসহ বেশ কিছু দাবি ও সুপারিশ করেছে আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদ। পরিষদের উদ্যোগে গতকাল শনিবার রাজধানীর পূর্ত ভবন মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত ‘রাষ্ট্র সংস্কার : প্রেক্ষিত সিভিল সার্ভিস’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে এসব সুপারিশ ও দাবি তুলে ধরা হয়। পরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।

উল্লেখ্য, উপসচিব থেকে পদগুলো আর একক কোনো ক্যাডারের থাকে না। এই পদে ৭৫ শতাংশ পদোন্নতি হয় প্রশাসন ক্যাডার থেকে এবং ২৫ শতাংশ পদোন্নতি হয় অন্যান্য ক্যাডার ছেড়ে আসা কর্মকর্তাদের। সুপারিশের মধ্যে আরও রয়েছে, প্রশাসন ক্যাডারের ও অন্যান্য ক্যাডারের মধ্যে বিদ্যমান বৈষম্য দূর করে সব ক্যাডারের মধ্যে সমতা আনা, পদ আপগ্রেডেশন, পদোন্নতিতে সমান সুযোগ, ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্সের সংশোধন ও পুনর্বিন্যাস, বিভিন্ন ক্যাডারের তফসিলভুক্ত পদ থেকে প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের প্রত্যাহার ইত্যাদি। এ ছাড়াও দক্ষ সিভিল সার্ভিস গড়ে তোলার লক্ষ্যে বৈদেশিক প্রশিক্ষণ ও উচ্চতর শিক্ষাবৃত্তির ক্ষেত্রে সমতা আনা, গাড়ির ঋণসুবিধার বৈষম্য দূর করার দাবি তুলে ধরা হয়।

বৈঠকে বক্তারা বলেন, সংবিধানের ২৭ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, সব নাগরিক আইনের দৃষ্টিতে সমান ও আইনের সমান আশ্রয় লাভের অধিকারী। অথচ সংবিধানের এই বিধান লঙ্ঘন করে প্রশাসন ক্যাডার উপসচিব ও তদূর্ধ্ব পদে কোটাপদ্ধতি চালু করে অন্যান্য ক্যাডার সদস্যদের সাংবিধানিক অধিকার অনৈতিকভাবে হরণ করে চলেছে। মেধাবী সিভিল সার্ভিস গড়ে তুলতে সব ক্যাডারের উন্মুক্ত পরীক্ষার মাধ্যমে উপসচিব হিসেবে নিয়োগের বিধান করতে হবে। বৈঠকে বক্তারা বলেন, যারা একটি বিষয়ে বিশেষজ্ঞ, তাদের দমিয়ে রেখে প্রশাসন ক্যাডার মন্ত্রণালয়ের পদগুলো দখল করে রেখেছে। এতে অন্যান্য ক্যাডারের সদস্যরা কাজের অনুপ্রেরণা হারিয়ে ফেলছেন। এ কারণে রাষ্ট্র ও জনগণ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তাই প্রত্যেক ক্যাডারের সর্বোচ্চ পদে নিজ নিজ ক্যাডারের সদস্যদের নিয়োগ করতে হবে। এ ছাড়া প্রতিটি মন্ত্রণালয়ে সংশ্লিষ্ট ক্যাডারের কর্মকর্তাদের নিয়োগ করতে হবে। শিক্ষা ক্যাডারের সদস্য মোহাম্মদ মফিজুর রহমানের সঞ্চালনায় বৈঠকে অংশ নেন প্রথম আলোর যুগ্ম সম্পাদক সোহরাব হাসান, গণসংহতি আন্দোলন প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক মোহাম্মদ গোলাম রব্বানি, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক এম এ আজিজ, বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির সাবেক সভাপতি মো. আবদুস সামাদ, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সাবেক পরিচালক আহমেদ ইকবাল চৌধুরী ও সাবেক অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ সালেকুর রহমান, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আবদুর রহমান ও সম্মিলিত পেশাজীবী সংহতির আহ্বায়ক মির্জা নাজমুল হুদা।

 

ভোরের আকাশ/রন