logo
আপডেট : ১১ নভেম্বর, ২০২৪ ১৬:১২
যুক্তরাষ্ট্রে ছড়িয়ে পড়েছে ট্রাম্পবিরোধী বিক্ষোভ

যুক্তরাষ্ট্রে ছড়িয়ে পড়েছে ট্রাম্পবিরোধী বিক্ষোভ

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জেতার পর দেশটির বিভিন্ন শহরে শুরু হয়েছে ডোনাল্ড ট্রাম্পবিরোধী বিক্ষোভ। শিকাগো (বাঁয়ে) ও ফিলাডেলফিয়ায় বিক্ষোভের ছবি দুটি এক্স থেকে নেওয়া।যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জেতার পর দেশটির বিভিন্ন শহরে শুরু হয়েছে ডোনাল্ড ট্রাম্পবিরোধী বিক্ষোভ। শিকাগো (বাঁয়ে) ও ফিলাডেলফিয়ায় বিক্ষোভের ছবি দুটি এক্স থেকে নেওয়া। শনিবার যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শহরে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। নিউইয়র্ক থেকে সিয়াটল সব শহরেই বিক্ষোভে নামেন ট্রাম্প-বিরোধীরা।

সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয় বারের মতো দেশটির প্রেসিডেন্ট হিসেবে জয়ী হওয়ায় অনেক মার্কিন নাগরিকই বেশ হতাশ হয়েছেন। এরই মধ্যে বহু মার্কিন নাগরিক দেশ ছাড়ার ব্যাপারে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন। তারা অন্য কোনো দেশে চলে যেতে চাচ্ছেন। এছাড়া অবৈধ অভিবাসীদের অনেকেও ভয় এবং অনিশ্চয়তার কথা বলেছেন। তাদের ভয় ট্রাম্প দায়িত্ব নেওয়ার পর অনেককেই নিজ দেশে পাঠিয়ে দেওয়া হতে পারে।নারীদের প্রজনন অধিকার নিয়ে হুমকি তৈরি হওয়া ও প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই যুক্তরাষ্ট্র থেকে গণহারে অভিবাসীদের বের করে দেওয়ার ডোনাল্ড ট্রাম্পের অঙ্গীকারের প্রেক্ষাপটে এ বিক্ষোভ হয়। বিক্ষোভে অংশ নিতে নিউইয়র্ক ও সিয়াটলসহ অন্যান্য শহরের রাস্তায় নেমে আসেন শত শত মানুষ।

গত শুক্রবারও ওরেগনের পোর্টল্যান্ড শহরে ট্রাম্পবিরোধী একই রকমের বিক্ষোভ হয়েছে। এ বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারী ব্যক্তিদের কারও হাতে ছিল ‘ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করো’, ‘ভয়কে শক্তিতে পরিণত করো’ এমন নানা স্লোগান–সংবলিত প্ল্যাকার্ড।

নিউইয়র্কে অংশ নেওয়া বিক্ষোভকারীদের মধ্যে ছিলেন বিভিন্ন পরামর্শক গ্রুপের কর্মীরাও। তাঁরা কর্মীদের অধিকার ও অভিবাসীদের বিষয়ে ন্যায়বিচারের আশ্রয় নেওয়ার দাবি জানান।

ট্রাম্প ইন্টারন্যাশনাল হোটেল অ্যান্ড টাওয়ারের সামনে এ সময় বিক্ষোভকারীদের হাতে ছিল, ‘আমরা আমাদের রক্ষা করি’, ‘মি. প্রেসিডেন্ট, নারীরা তাঁদের স্বাধীনতার জন্য আর কত দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করবেন’, ‘আমরা পিছু হটব না’—এমন নানা স্লোগান–সংবলিত প্ল্যাকার্ড। কাউকে কাউকে স্লোগান দিতে শোনা যায়, ‘আমরা এখানে আছি এবং আমরা চলে যাচ্ছি না।’

বিক্ষোভ হয়েছে ওয়াশিংটন ডিসিতেও। সেখানে হেরিটেজ ফাউন্ডেশনের বাইরে বিক্ষোভে অংশ নিয়েছেন সংগঠন ‘উইমেন্স মার্চ’–এর কর্মীরা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এই বিক্ষোভ নিয়ে প্রকাশিত বিভিন্ন ছবিতে দেখা যায়, বিক্ষোভকারীদের হাতে বিভিন্ন স্লোগান–সংবলিত প্ল্যাকার্ড। এর কোনোটিতে লেখা, ‘ভালো আচরণের নারীরা ইতিহাস তৈরি করেন না’, ‘আপনারা কখনোই নিঃসঙ্গ নন’, ‘যেখানে আমার পছন্দের অধিকার নেই, সেখানে কোথায় আমার স্বাধীনতা’ ইত্যাদি। এ ছাড়া বিক্ষোভকারীরা স্লোগান দেন, ‘আমাদের বিশ্বাস, আমরা জিতব!’

বিক্ষোভকারীরা সমবেত হন সিয়াটলের স্পেস নিডলের বাইরেও। সেখানে প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল, ‘ট্রাম্প ও দুই দলের যুদ্ধংদেহী মনোভাবের বিরুদ্ধে পদযাত্রা ও বিক্ষোভ’। কিছু প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল, ‘গণ–আন্দোলন গড়ে তুলুন এবং যুদ্ধ, নিপীড়ন ও গণহত্যার বিরুদ্ধে লড়াই করুন’।সিয়াটলে বিক্ষোভকারীদের কারও কারও শরীরে ছিল ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি প্রকাশ করে, এমন পোশাক।

আগের দিন গত শুক্রবারও ওরেগনের পোর্টল্যান্ড শহরে ট্রাম্পবিরোধী একই রকমের বিক্ষোভ হয়েছে। এই বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারী ব্যক্তিদের কারও হাতে ছিল ‘ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করো’, ‘ভয়কে শক্তিতে পরিণত করো’ এমন নানা স্লোগান–সংবলিত প্ল্যাকার্ড।

নির্বাচনে ট্রাম্প জেতায় শুক্রবার পেনসিলভানিয়ার পিটসবার্গেও বিক্ষোভ করেন অনেকে। পয়েন্ট স্টার্ট পার্কে সমবেত হন তাঁরা। ‘আমরা পিছু হটছি না’ ও ‘আমার শরীর, আমার পছন্দ’—তাঁরা এমন স্লোগান লেখা প্ল্যাকার্ড বহন করেন।

বিক্ষোভের আয়োজকদের একজন স্টিভ ক্যাপরি। ডব্লিউপিএক্সআই টিভিকে তিনি বলেন, ‘সামনে যা ঘটতে যাচ্ছে, তা নিয়ে আমরা শঙ্কিত। কিন্তু আমরা পিছু হটছি না।’ তিনি আরও বলেন, ‘ট্রাম্প আমাদের সবার জন্যই হুমকি। তাই আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে, আমাদের সংগঠিত হতে হবে।’

প্রজননের অধিকার নিয়ে হুমকি তৈরি হওয়া এবং প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই যুক্তরাষ্ট্র থেকে গণহারে অভিবাসীদের বের করে দেওয়ার বিষয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্প যে অঙ্গীকার করেছিলেন তার ওপর ভিত্তি করেই হাজার হাজার মানুষ বিক্ষোভে অংশ নিয়েছেন।

শনিবার নিউইয়র্কে বিভিন্ন পরামর্শক গ্রুপের কর্মীরাও বিক্ষোভে অংশ নেন। ট্রাম্প ইন্টারন্যাশনাল হোটেল অ্যান্ড টাওয়ারের সামনে দাঁড়িয়ে তারা কর্মীদের অধিকার ও অভিবাসীদের বিষয়ে ন্যায়বিচারের আশ্রয় নেওয়ার দাবি জানান।

সে সময় তাদের হাতে থাকা প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল- ‘আমরা আমাদের রক্ষা করি’, ‘মি. প্রেসিডেন্ট, নারীরা তাদের স্বাধীনতার জন্য আর কত দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করবেন’?, ‘আমরা পিছু হটব না’। অনেকেই আবার স্লোগান দিচ্ছিলেন যে, ‘আমরা এখানে আছি এবং আমরা এখান থেকে যাব না।’

ওয়াশিংটন ডিসিতেও একই ধরনের বিক্ষোভ হয়েছে। সেখানে হেরিটেজ ফাউন্ডেশনের বাইরে বিক্ষোভে অংশ নেন ‘উইমেন্স মার্চ’-এর কর্মীরা। সে সময় তাদের হাতে থাকা প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল- ‘ভালো আচরণের নারীরা ইতিহাস তৈরি করেন না’, ‘আপনারা কখনোই নিঃসঙ্গ নন’, ‘যেখানে আমার পছন্দের অধিকার নেই, সেখানে কোথায় আমার স্বাধীনতা’?।

সিয়াটলের স্পেস নিডলের বাইরেও বিক্ষোভকারীদের জড়ো হতে দেখা যায়। সেখানে প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল, ‘ট্রাম্প ও দুই দলের যুদ্ধ করার মনোভাবের বিরুদ্ধে পদযাত্রা ও বিক্ষোভ’। বিক্ষোভকারীদের হাতের পোস্টারে আরও লেখা ছিল-‘আন্দোলন গড়ে তুলুন এবং যুদ্ধ, নিপীড়ন ও গণহত্যার বিরুদ্ধে লড়াই করুন’।

এর আগে শুক্রবার ওরেগনের পোর্টল্যান্ডেও বিক্ষোভকারীদের জড়ো হতে দেখা যায়। এছাড়া পিটসবার্গ, পেনসিলভানিয়া, পয়েন্ট স্টার্ট পার্কেও ট্রাম্প-বিরোধী বিক্ষোভ হয়েছে।

 

ভোরের আকাশ/রন