সাঈদ আনোয়ার মোবারকী বাবুর বিরুদ্ধে ভুক্তভোগীদের মানববন্দন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বেলা ১২ টার দিকে সাঈদ আনোয়ার মোবারকী বাবুর ৫ম স্ত্রী তুলি ও ৬ষ্ঠ স্ত্রী কুলসুম বেগম মানববন্দন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেন। এসময় ছাত্র সমন্নয়ক হাসিবুর রহমান সহ আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
এসময় তারা পুরান ঢাকার বকসিবাজার খানকা শরীফের ভন্ড পীর সাঈদ আনোয়ার মোবারকী বাবুর কুকর্ম জনসম্মুখে তুলে ধরেন। এই ভন্ড পীরের সহযোগী এসকে চৌধুরী ও সগিরের বিরুদ্ধেও ব্যাপক অভিযোগ তুলে ধরেন।
উল্লেখ্য সাঈদ আনোয়ার মোবারকী বাবুর পরনে থাকে ধবধবে পাঞ্জাবি-পায়জামা ও মাথায় তার লম্বা টুপি। প্রতি সপ্তাহে তার আস্তানায় জড়ো হয় মুরিদরা। তখন দেয় ধর্মীয় বয়ান, ধরে লম্বা মোনাজাত। সবাই তাকে চেনেন বড় বুজুর্গ আর পীর হিসেবে। এসবের আড়ালে প্রতারণা করে হাতিয়েছে কোটি কোটি টাকা। কথিত এই পীর একাদিক বিয়ে করেছেন বিয়ের কিছুদিন না যেতেই বেরিয়ে আসে তার আসল রূপ । জানা গেছে, নিজে এবং বিশ্বস্ত কেয়ারটেকার সগীরকে দিয়ে ফাঁসিয়েছেন একাধিক নারীদের।
এই সগিরের কোন শিক্ষাগত যোগ্যতা না থাকলেও নিজেকে কখনো পরিচয় দেয় আওয়ামী লীগের গডফাদার আবার কখনো পুলিশের সোর্স কখনো বিএনপির নেতা এভাবেই তিনি ভিন্ন সময় একাধিক রূপ ধারণ করে।
অভিযোগ রয়েছে বিড়াল পালন করা নওশিন ওরফে রিয়া ছাড়াও অনেক নারীর সাথে রয়েছে ইমো আর হোয়াটসএপ সম্পর্ক। তাদের পেমেন্ট করে দেন বিকাশেই।
আরেক ভুক্তভোগীরা জানায় : এ বিষয়ে থানায় একাধিক অভিযোগ দিয়েও কোন প্রতিকার পায়নি ভুক্তভোগীরা। আরেক ভুক্তভোগী তুলি জানান তার স্বামীর আওয়ামী লীগের বিভিন্ন প্রভাবশালী নেতাকর্মীর সাথে সম্পর্ক থাকায় কোন ন্যায়বিচার পাইনি তিনি আরো বলেন তার নিজ বাড়িতে একটি খানকা শরীফ আছে যেখানে বিভিন্ন মহলের লোকজন ও নারীদের নিয়ে জলসার আয়োজন করে। মানুষের টাকা পয়সা আত্মসাৎ করা নারীদেরকে প্রতারণার ফাঁদে ফেলাই তার আসল কাজ। তার নামে নারী ও শিশু নির্যাতনে ট্রাইবুনালে একাদিক মামলা দায় করেছন ভুক্তভোগীরা। তাদের দাবি এই ভন্ড পীরকে গ্রেফতার ও অবিলম্বে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানায়।
এসব ব্যাপারে সাইদ আনোয়ার মোবারকী পীর সাহেবের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে হলে,তাঁকে পাওয়া যায় নাই, পরে তার প্রতিনিধি ভূয়া সাংবাদিক পরিচয় দানকারী ফারুক আহম্মেদ চৌধুরী প্রতিবেদককে টাকার বিনময়ে রফাদফা চেষ্টায় ব্যর্থ হয়,তার ব্যপারে বাংলা ভিশন অফিসে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সে ভূয়া এ নামে তাদের কোন সাংবাদিক হাউজে নাই।
ভোরের আকাশ/মি