logo
আপডেট : ২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১৩:১৮
অতি প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে দ্রুত নির্বাচন
-আইন উপদেষ্টা
ভোরের আকাশ প্রতিবেদক

অতি প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে দ্রুত নির্বাচন

অতি প্রয়োজনীয় কিছু সংস্কার করে যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচন দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারে যারা আছেন, তাদের অধিকাংশই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নিজের পেশায় ফিরে যাওয়ার জন্য আগ্রহী। গতকাল মঙ্গলবার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

‘অন্তর্বর্তী সরকারের ১০০ দিন : আইন মন্ত্রণালয়ের কৈফিয়ত’ শীর্ষক এই সংবাদ সম্মেলনে আইন মন্ত্রণালয়ের বিগত ১০০ দিনের কর্মকাণ্ড তুলে ধরেন আইন উপদেষ্টা। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতাচ্যুত হয়। এরপর গত ৮ আগস্ট ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেন।

সংবাদ সম্মেলনে একজন সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, অন্তর্বর্তী সরকারের বিষয়ে সর্বত্রই একটি প্রশ্ন শোনা যায়, সেটি হলো তারা কত দিন থাকবে, তাদের মেয়াদ কত দিন হবে, নির্বাচন কবে হবে? এ বিষয়ে জবাব দিতে গিয়ে আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেন, এটি আইন মন্ত্রণালয়ের বিষয় নয়। তবে আপনাকে একটি বিষয় বলি, আমরা মোস্ট এসেনশিয়াল কিছু সংস্কার করে যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচন দেব। আমরা জাস্ট এই জিনিসটা চাই না যে, আগের মতো কোনো ভুয়া নির্বাচন হোক। আর এটা চাই না-নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে কেউ আবার ভুয়া নির্বাচন করার সুযোগ পাক। এটা ছাড়া আর কোনো স্বার্থ নাই।

আসিফ নজরুল বলেন, শেখ হাসিনা নিজে পালিয়েছে, পরিবার ও স্বজনদের তিন দিন আগে পাঠিয়েছে। অথচ ফোন কলের মাধ্যমে কর্মীদের বিপদে ফেলছে। নেতাকর্মীদের তাকে প্রশ্ন করা উচিত কেন পালিয়েছেন?

সরকার আওয়ামী লীগের মতো দমন পীড়ন চায় না উল্লেখ করে আইন উপদেষ্টা বলেন, অযৌক্তিক আন্দোলনের মাধ্যমে নানা দুর্ভোগ সৃষ্টি করা হচ্ছে। সরকার বিষয়গুলো দেখছে। কঠোর হলে সরকার ভালোভাবেই কঠোর হবে। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গণহত্যার অভিযোগে রাজনৈতিক দলের বিচারের সুপারিশ করতে পারবে, এমন প্রস্তাব দিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ আইন সংশোধন অধ্যাদেশ আগামীকাল উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে তোলা হবে। উপদেষ্টা পরিষদ সিদ্ধান্ত নেবে এই প্রস্তাব গ্রহণ করবে কী করবে না।

আইন উপদেষ্টা আরও জানান, ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে ১ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত দায়েরকৃত সব ফৌজদারি মামলা প্রত্যাহার করা হয়েছে। সাইবার সিকিউরিটি আইনে কথা বলার অধিকারের জন্য যেসব মামলা হয়েছে সব বাতিল হয়ে যাবে। তবে হ্যাকিং ও সাইবার অপরাধ সংক্রান্ত মামলা থাকবে।

আসিফ নজরুল বলেন, ৪ হাজার ৩শ জন আইন কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এত বেশি সংখ্যক নিয়োগ বাংলাদেশে এর আগে ঘটেনি। এর মধ্যে সকল উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মিথ্যা ও গায়েবি মামলা প্রত্যাহার করা সম্ভব হবে। এখন যে ঢালাও মামলা হচ্ছে, মামলা বাণিজ্য করা হচ্ছে তা প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে।

এ সময়ে অ্যাটর্নি জেনারেল অফিসে ২২৯ জন আইন কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলেও তিনি জানিয়েছেন। তিনি বলেন, আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগে বিচারক নিয়োগে নতুন আইন করা হবে। তা সপ্তাহ দুয়েকের মধ্যে করা যাবে। আইন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সম্পদের হিসাব সংগ্রহ করা হয়েছে এবং যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন আইন উপদেষ্টা।

 

ভোরের আকাশ/রন