logo
আপডেট : ২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১৫:৩০
সাইবার মামলা থেকে অব্যাহতি পেলেন মেজর হাফিজ
বরিশাল ব্যুরো

সাইবার মামলা থেকে অব্যাহতি পেলেন মেজর হাফিজ

সাইবার আইনে বিচারাধীন মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন মেজর (অবসরপ্রাপ্ত) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ (বীর বিক্রম)। সোমবার (১৮ নভেম্বর) দুপুরে বরিশাল সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক গোলাম ফারুক তাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেন।

তথ্য নিশ্চিত করেছেন সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী নাজমুল হাসান। মামলায় মেজর হাফিজের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলার চার্জ গঠনের তারিখ ধার্য ছিল সোমবার। মামলায় খালাস পেয়ে আদালত প্রাঙ্গণে উপস্থিত সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি দ্রুত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে কথা বলেন।

তিনি বলেন, নির্বাচিত সরকার ছাড়া যত জ্ঞানী গুণী লোকের সরকারই হোক সেগুলো দুর্বল সরকার। অন্তর্বর্তী সরকারের নির্বাচন সংক্রান্ত যেসব সংস্কার রয়েছে তা দ্রুত করে যুক্তিসঙ্গত সময়ে নির্বাচন দেবে বলে আশা করি।

২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় ভোলার বদরপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ফরিদুল হক বাদী হয়ে দায়ের করেন। এ মামলায় মেজর হাফিজ ছাড়াও আসামি করা হয় ভোলার লালমোহন উপজেলার বিএনপি নেতা বাবুল বিশ্বাসকে। বাবুলকেও আদালত খালাস প্রদান করেছে।

বেঞ্চ সহকারী নাজমুল হাসান বলেন, ফরেনসিক প্রতিবেদনসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না দেওয়ায়, একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে মামলার চার্জ গঠনের দিনে দুই আসামিকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। ২০১৮ সালের ২৮ ডিসেম্বর ভোলার লালমোহন থানায় মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহম্মেদসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ওই মামলা করেন লালমোহন উপজেলার বদরপুর ইউপির চেয়ারম্যান ও বদরপুর (দক্ষিণ) ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ফরিদুল হক।

মামলার বরাতে বেঞ্চ সহকারী বলেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোলা-৩ আসনের বিএনপি নেতৃত্বাধীন ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থী ছিলেন মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহম্মেদ বীর বিক্রম। ২০১৮ সালের ২৪ ডিসেম্বর লালমোহন পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসভবনে অবস্থান করে মোবাইল ফোনে বলা কথার একটি রেকর্ড ফাঁস হয়। এ ঘটনায় পরস্পর যোগসাজশে জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচাল করার উদ্দেশে ইচ্ছাকৃতভাবে ওয়েব সাইট ও ডিজিটাল বিন্যাসে ভয়ভীতি প্রদর্শনের অভিযোগে নামধারী ৭ জনসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৫ জনকে আসামি করে ওই মামলা করেন। লালমোহন থানার পরিদর্শক (তদন্ত) বশির আলম ২০১৯ সালের ৩১ আগস্ট দুইজনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র জমা দেন।

উল্লেখ্য, হাফিজ উদ্দিন আহমদ ভোলা-৩ আসন থেকে ছয়বার জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৯১ সালে স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য হয়ে পরে বিএনপিতে যোগ দেন। গত আগস্টে বিএনপির নীতিনির্ধারণী পর্ষদ মেজর হাফিজকে জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য করে।

 

ভোরের আকাশ/মি