বরিশাল সদর উপজেলার চরবাড়ীয়া ইউনিয়নের চরআবদানী গ্রামের আলোচিত আনিচুর রহমান হত্যা মামলার ১-৩ নম্বর আসামি আলভি ও তার মা–ঝুমুর বেগমকে গ্রেপ্তার করেছে কাউনিয়া থানার পুলিশ!
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপ-পুলিশ কমিশনার (উত্তর) রুনা লায়লা তিনি ভোরের আকাশকে জানান,জুলাই-আগষ্টের গণঅভ্যুত্থানকে ঘিড়ে পুলিশের প্রতি সাধারন মানুষের আস্থা উঠে যায়। তবে ধিরে ধিরে মানুষের আস্থা অর্জনে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশ পুলিশ। বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার নির্দেশনায় এরই ধারাবাহিকতায় আনিচুর রহমান হত্যা মামলার ২ নম্বর আসামি লোড সুমনকে (১৮ নভেম্বর) র্যাব ১০ এর সহায়তায় ঢাকার দক্ষিন কেরানীগঞ্জ থানা এলাকা থেকে আটক করতে সক্ষম হন কাউনিয়া থানার পুলিশ।
পরবর্তীতে তথ্য প্রযুক্তির সহয়তায় মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) এসআই হরষিৎ মন্ডলের নেতৃত্বে কাউনিয়া থানা পুলিশের একটি টিম, ১ ও ৩নং আসামী ঝুমুর বেগমকে নওগা জেলা থেকে আটক করেন।
উল্লেখ্য, মাদক ব্যবসায়ী বাবা লোড সুমনের দেয়া তালিকা ধরে কথায় কথায় ছুড়িকাঘাত করেছিলেন চিহ্নিত মাদকসেবী আলভী। বাবার দেয়া আদেশ পালন করতে গত ৩০ সেপ্টেম্বর বিকাল থেকে গভীর রাত অবধি ৫ জন কে এলোপাথারী কুপিয়ে জখম করেছিলেন আলভী।
জানা যায়, চরআবদানী এলাকার প্রকাশ্যে মাদক বেচাবিক্রিতে ব্যস্ত ছিলেন অভিযুক্ত আলভী। এ সময় একই এলাকার মোঃ মানিকের ছেলে মোঃ রাকিব বাঁধা প্রদান করলে তাকে চাইনিজ সেভেন ফায়ার ছুড়ি দিয়ে এলোপাথারী কুপিয়ে জখম করেছিলেন। এসময় রাকিবের মাথা, হাত, কোমড়, পিঠ, রান সহ শরীরের বিভিন্ন অংশ গুরুত্বর জখম হয়।
এসময় রাকিবের ডাক চিৎকার শুনে তাকে বাঁচাতে তার এক আত্মীয় এগিয়ে আসলে তাকেও বেধরক মারধর করেছিলেন আলভী। ঘটনার বিষয়ে মৃত মোসলেম ঢালীর ছেলে আরিফ ঢালী আলভীর বাসায় জানতে গেলে তার উপরেও চড়াও হয়ে তাকেও ছুড়িকাঘাত করায় আরিফের পেটে গুরুত্বর জখম হয়েছিল। এদিকে ঘন্টা খানেক পরে একই এলাকার নূর ইসলামের ছেলে মোঃ রাকিব ইসলামকে তার বাসার ছাদে ডেকে নিয়ে তাকেও একইভাবে ছুড়িকাঘাত করে জখম করেছিলেন।
মাদকসেবী আলভীর এমন কর্মকান্ডে দিশেহারা হয়ে এলাকাবাসী একত্রিত হয়ে আলভীর বাসায় গেলে পুনরায় একই এলাকার মোঃ আনিচকে এলোপাথারী কুপিয়ে জখম করেছিলেন আলভী। এতে আনিচের পেটের ভুড়ি বের হয়ে যায় এবং কিডনীতে গুরুত্বর জখম হয়। আহতদের মধ্যে আনিচ চিকিৎসাধনি অবস্থায় মৃত্যুবরন করেছিলেন।
কাউনিয়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আলম জানান,আটককৃত আসামীদের (২০নভেম্বর) বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে ।
ভোরের আকাশ/মি