logo
আপডেট : ২০ নভেম্বর, ২০২৪ ১৬:১৬
বালিয়াকান্দিতে খেয়াঘাটের ইজারাদারকে তাড়ানোর অভিযোগ
রাজবাড়ী প্রতিনিধি

বালিয়াকান্দিতে খেয়াঘাটের ইজারাদারকে তাড়ানোর অভিযোগ

রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার গড়াই নদীর নারুয়া খেয়াঘাটে ইজারাদারের দুই পার্টনারকে তাড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকাজুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ৩৬ বছর ধরে নারুয়া খেয়াঘাট ইজারা নিয়ে মনোরঞ্জন শিকদার ও তার কয়েকজন পার্টনার মিলে খেয়াপারাপারের কাজ পরিচালনা করছিলেন। এই ঘাটটি রাজবাড়ী ও মাগুরার মানুষের যাতায়াতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। চলতি মৌসুমে ইজারা নেওয়া হয় মনোরঞ্জন শিকদারের নামে। তবে, ইজারার অংশীদার শরিফুল ইসলাম ও গোলাম মোস্তফাকে গত ৫ আগস্টের পর থেকে ঘাটে যেতে বাধা দেওয়া হচ্ছে।

গত রবিবার (১৭ নভেম্বর) বিএনপির নাম ভাঙিয়ে একটি চক্র শরিফুল ইসলাম ও গোলাম মোস্তফাকে ঘাট ত্যাগে বাধ্য করে বলে অভিযোগ উঠেছে। এমনকি, ঘাটে থাকা শরিফুল ইসলামের দুটি নৌকাও নিয়ে যাওয়া হয়।

শরিফুল ইসলাম জানান, "আমরা তিনজন মিলে ঘাট পরিচালনা করছিলাম। কিন্তু একটি চক্র আমাদের ঘাটে প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছে। ঘাটের টাকা কালেকশন করতে গেলে বাধা দেওয়া হয় এবং আমাদের নৌকা নিয়ে যাওয়া হয়। স্থানীয় বিএনপি নেতাদের কাছেও এ বিষয়ে জানালেও কোনো সমাধান পাইনি।"

ইজারাদারের পার্টনার গোলাম মোস্তফা বলেন,"ঘাটে গেলে মারধরের আশঙ্কা রয়েছে। আমরা পরিস্থিতি বুঝে ঘাটে যাওয়া বন্ধ রেখেছি। এই অন্যায়ের বিচার আল্লাহর হাতে দিয়েছি।"

ইজারাদার মনোরঞ্জন শিকদার জানান, তিনি ঘাট পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছেন এবং পার্টনারদের না আসার বিষয়ে কিছু জানেন না। তার ছেলে রতন শিকদার জানান, এলাকার চাপের কারণে তার বাবাকে ঘাট চালাতে হচ্ছে। তবে কারা এই চাপ দিচ্ছে, তা বলতে তিনি অপারগ।

নারুয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আলমগীর হোসেন মোল্যা জানান, "আমাদের দলের কেউ যদি এমন ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকে, তাহলে তাদের বহিষ্কারের জন্য সুপারিশ করব। তবে বিএনপির নাম ভাঙিয়ে কিছু লোক এই কাজ করেছে বলে অভিযোগ পেয়েছি।"

এ ঘটনার পর থেকে এলাকাবাসীর মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। অনেকে এ ধরনের অনিয়মের বিরুদ্ধে দ্রুত প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

ঘাট পরিচালনা নিয়ে সৃষ্ট এই বিরোধ দ্রুত সমাধানে স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হবে কি না, তা এখনো অনিশ্চিত।

 

ভোরের আকাশ/মি