শেরপুর সদর উপজেলার ১২নং কামারিয়া ইউনিয়নে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বসত-ঘরে ব্যাপক হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। (১৭ নভেম্বর) রাত আনুমানিক সাড়ে ১০ টা দিকে এ ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন ৪ জন। এ ঘটনায় ভীমগঞ্জ বাজারের কোনাচিয়াপাড়া ও ভুইয়ারচর এলাকায় চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে।
স্থানীয় ও ভুক্তভোগীরা জানান, স্থানীয় বিএনপি নেতা লুৎফর রহমান ও আওয়ামীলীগ নেতা সাবেক চেয়ারম্যান নূরে আলম সিদ্দিকীর সরাসরি নির্দেশনায় ফল ব্যবসায়ী রমজান আলী,
ইট বালি ব্যবসায়ী মনিজুল ও আ. রশিদের বাড়িতে যুবদল নেতা বাবু, মফিজুল, লুৎফর, সৌরভ, আক্কাস, বাপ্পি, তালহা, নোমান, মেহেদীসহ ২৫/৩০ জন অস্ত্রধারী যুবক এ অতর্কিত হামলা চালায়। এতে বসতঘরে থাকা টিভি ফ্রিজ, আলমারি, খাটসহ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ভাঙচুর করে এবং সেখানে থাকা নগদ ৬ লাখ ৭৫ হাজার টাকা, গহনা, হাঁস মুরগীসহ জিনিসপত্র লুটপাট করে নিয়ে যায়। একই দিনে গোলাম মোস্তফা নামে ভীমগঞ্জ বাজারের এক ইলেকট্রিশিয়ানকে কুপিয়ে গুরুত্বর জখম করে।
ভুক্তভোগীরা আরো জানান, দীর্ঘদিন থেকে নূরে আলম সিদ্দিকীর অস্ত্রধারী বাহিনী এ ইউনিয়নে ব্যাপক তান্ডব চালিয়ে আসছে। বিগত দিনে একাধিক নিরীহ মানুষকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করেছে। তার নামে চাঁদাবাজি, ছিনতাই, হত্যাসহ একাধিক মামলা চলমান আছে। আওয়ামীলীগ সরকার পতনের পরও তার তান্ডব অব্যাহত রেখেছেন।
তারা বলেন, বিএনপি নেতা লুৎফর রহমান দীর্ঘদিন আওয়ামী লীগের সাথে আতাত করে চলেছেন। এখন কিছু আওয়ামীলীগের পোলাপানদের নিয়ে বিএনপির কার্যক্রম চালানোর চেষ্টা করছেন। নূরে আলম সিদ্দিকীর সাথে তার ঘনিষ্ঠতা রয়েছে যা এলাকার অনেকেই অবগত আছেন। আমরা সঠিক তদন্তের মাধ্যমে এর বিচার দাবি করছি।
কামারিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি লুুৎফর রহমানের সাথে একাধিক বার মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে শেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মো. জুবায়দুল আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, বিষয়টি জানা মাত্রই সেখানে অফিসার ফোর্স গিয়েছিলো। এখন পর্যন্ত কেউ কোন অভিযোগ দায়ের করেননি।
ভোরের আকাশ/মি