logo
আপডেট : ২৪ নভেম্বর, ২০২৪ ১৯:০৬
সাতকানিয়ায় চাঁদা না পেয়ে বৃদ্ধ দম্পতি কে কুপিয়ে জখম
,সাতকানিয়া(চট্টগ্রাম) প্রতিনিধিঃ

সাতকানিয়ায় চাঁদা না পেয়ে বৃদ্ধ দম্পতি কে কুপিয়ে জখম

চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার বাজালিয়া ইউনিয়নের ০৮নং ওয়ার্ড বাকর আলী বিল হারাস্যার ডেবা এলাকায় বাড়ি নির্মাণে দাবীকৃত চাঁদার টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করিলে বাড়ির মালিক হাফেজ আহাম্মদ ও তার পরিবারাকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে বান্দরবানের সুয়ালক ইউনিয়নের ০২নং ওয়ার্ডের কাইচতলী এলাকার মোঃ রুবেল, মোঃ বেলাল, মোঃ এহছান, জাহেদুল ইসলাম, শহিদুল ইসলাম সহ বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে। আহত হাফিজ আহমেদ বলেন, আমার পুরাতন ঘর ভাঙ্গিয়ে নতুন ভাবে বসত বিল্ডিং ঘর নির্মাণ করি। গত(১৬নভেম্বর) রাত সাড়ে ১১ টা দিকে উপরোক্ত ১ থেকে ৪নং বিবাদীগন আমার বাড়ীতে এসে আমার নিকট(এক লক্ষ)টাকা চাঁদা দাবী করে। তখন আমি বিবাদীদের কে দাবীকৃত টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করিলে উক্ত বিবাদীগন আমাকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি ধমকি দেন। গত (১৯ নভেম্বর) দুপুর তিনটার দিকে উপরোক্ত মোঃ রুবেল এর নেতৃত্বে প্রায় বিশ/ ত্রিশ জনে হাতে ধারালো কিরিছ, লম্বা ধারালো দা, লোহার রড, গাছের লাঠি নিয়ে আমার বাড়িতে এসে হামলা করে,আমার বাড়ি থেকে নগদ টাকা পয়সা লোট করেন। আমাকে আমার স্ত্রী ও মেয়েকে ধারালো কিরিস দিয়ে মাথায় এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে মারাত্মক ভাবে আঘাত করেন। এখনো আমার স্ত্রী চট্টগ্রাম মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এখনো তারা আমাদের কে বিভিন্ন ভাবে হুমকি দিতেছে আমি সুস্থ বিচার চাই প্রশাসনের কাছে।

এ বিষয়ে স্থানীয়দের কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন,আমরা চিৎকার আওয়াজ শুনে ঘটনাস্থলে দেখি হাফেজ আহাম্মদ এবং তার স্ত্রী দুইজনেরই রক্তাক্ত অবস্থায় পড়েছিল। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে সাতকানিয়া সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে শুনি উন্নত চিকিৎসার জন্য তার স্ত্রীকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে প্রেরণ করেন। হামলাকারীদের বিচারের জোরদাবি জানাচ্ছি।

ঘটনার বিষয়ে অভিযুক্ত জাহিদুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি এ ঘটনার সাথে কোনভাবেই জড়িত ছিলাম না,আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করতেছে তারা। বরং আমি সমাধান করার চেষ্টা করেছিলাম। আমিও চাই সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে যারা প্রকৃত ভাবে দোষী তাদের বিরুদ্ধে আইনগতভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হোক।

অভিযোগের বিষয়ে সাতকানিয়া থানার সেকেন্ড অফিসার খাইরুল হাসান বলেন, আমরা অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

ভোরের আকাশ/মি