চট্টগ্রাম হাটহাজারীর মেখল পুণ্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম ৬ষ্ঠ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কাজী শরীফুল ইসলাম এ আদেশ দেন। এর আগে বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র ও চট্টগ্রাম হাটহাজারীর মেখল পুণ্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর পক্ষে জামিন শুনানি করেন আইনজীবী শুভাশিষ শর্মা। তবে আদালত সেই আবেদন নামঞ্জুর করেন।
সরেজমিনে আদালত প্রাঙ্গণে দেখা যায়, চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে মুক্তির দাবিতে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা আদালত প্রাঙ্গণে ভীড় জমিয়েছে। এসময় তারা চিন্ময় কৃষ্ণর মুক্তির দাবিতে নানা স্লোগান দিতে থাকে। আদালত থেকে চিন্ময় কৃষ্ণকে কারাগারে নিয়ে যাওয়ার সময় তাঁর অনুসারীরা প্রিজন ভ্যানের সামনে শুয়ে থাকতেও দেখা গেছে।
উল্লেখ্য, সোমবার (২৫ নভেম্বর) বিকেলে রাজধানীর শাহ জালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এলাকা থেকে অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) সকালে তাঁকে চট্টগ্রাম আদালতে নিয়ে আসা হয়।
নগরের কোতোয়ালী থানার নিউমার্কেট মোড়ের স্বাধীনতা স্তম্ভে জাতীয় পতাকার অবমাননার অভিযোগে হওয়া মামলায় তাকে চট্টগ্রাম ৬ষ্ঠ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কাজী শরীফুল ইসলামের আদালতে হাজির করা হয়।
জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগে গত ৩০ নভেম্বর নগরের কোতোয়ালী থানায় ইসকন নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাশ ব্রহ্মচারীসহ ১৯ জনকে আসামি করে রাষ্ট্রদ্রোহ আইনে মামলা হয়েছে। ওই মামলায় আসামিরা হলেন- ইসকনের চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও পুণ্ডরীক ধাম মন্দিরের অধ্যক্ষ চন্দন কুমার ধর প্রকাশ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারী (৩৮), চট্টগ্রামের হিন্দু জাগরণ মঞ্চের সমন্বয়ক অজয় দত্ত (৩৪), নগরীর প্রবর্তক ইসকন মন্দিরের অধ্যক্ষ লীলা রাজ দাশ ব্রহ্মচারী (৪৮), গোপাল দাশ টিপু(৩৮), ডা. কথক দাশ (৪০), প্রকৌশলী অমিত ধর (৩৮), রনি দাশ (৩৮), রাজীব দাশ (৩২), কৃষ্ণ কুমার দত্ত (৫২), জিকু চৌধুরী (৪০), নিউটন দে ববি (৩৮), তুষার চক্রবর্তী রাজীব (২৮), মিথুন দে (৩৫), রুপন ধর (৩৫), রিমন দত্ত (২৮), সুকান্ত দাশ (২৮), বিশ্বজিৎ গুপ্ত (৪২), রাজেশ চৌধুরী (২৮) এবং হৃদয় দাস (২৫)।
ভোরের আকাশ/মি