logo
আপডেট : ৩ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১৩:১৩
অভিনেত্রী মুক্তির জন্মদিনে জমকালো আয়োজন
ইমরুল শাহেদ

অভিনেত্রী মুক্তির জন্মদিনে জমকালো আয়োজন

১ ডিসেম্বর ছিল আনোয়ারা তনয়া রোমানা ইসলাম মুক্তির জন্মদিন। এবারের জন্মদিনটি তিনি পালন করেন অত্যন্ত জাঁকজমকপূর্ণভাবে। অনুষ্ঠানের কোনো ব্যানার ছিল না। লোক দেখানো কোনো ভাবও ছিল না। ভেন্যুতে উপস্থিত ছিলেন তার মা, খ্যাতিমান ও এক সময়ের তুখুড় অভিনেত্রী আনোয়ারা। তিনি নবাব সিরাজউদ্দৌলার আলেয়া চরিত্রে অভিনয় করে এখনো দর্শক হৃদয়ে উজ্জ্বল হয়ে আছেন। মুক্তি বলেন, “মায়ের এখন বয়স হয়েছে। কখন কী হয়। এজন্য পরিবারের সবাই, আত্মীয়-স্বজন এবং আমার আশপাশের সবাইকে নিয়ে এই জন্মদিনটির আয়োজন করেছি।” তিনি আরও বলেন, “এবারের জন্মদিনের কেক দুটিও আমি নিজেই বানিয়েছি।” ভেন্যুর যে স্থানটিতে কেক কাটা হয়েছে, সেখানকার পেছনের দেওয়ালটিও সাজানো হয়েছে নানা ধরনের ফুল দিয়ে, যা দেখতে ছিল অনেকটা একটি শিল্পকর্মের মতো।

জন্মদিনের অনুষ্ঠানে অতিথিরা আসতে শুরু করেন সন্ধ্যা থেকেই। রাত আটটার মধ্যেই তারকা মেলা বসে যায় অনুষ্ঠানটিতে। নূতন, রুবেল, মিশা সওদাগর, আলেকজান্ডার বো, পলি, তানিন সুবাহ, কমল, রত্না, শারমিন, ডি এ তায়েব এবং শিল্পী সমিতির সদস্যরা। গত ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর ক্ষমতাসীনদের ঘেঁষা শিল্পীরা অনেকেই আত্মগোপনে চলে গেছেন। তাদের কাউকে অনুষ্ঠানে দেখা যায়নি। এছাড়াও ছিলেন গণমাধ্যমকর্মীরা। সকলে এসেই আগে দেখা করেছেন আয়োরার সঙ্গে। পরে মুক্তিকে জানিয়েছেন জন্মদিনের শুভেচ্ছা। মুক্তিকে নিয়ে কেক কেটেছেন মূলত আনোয়ারা।

এখানে আরও একটি ঘটনা উল্লেখ করা যেতে পারে। সেটি হলো জন্মদিন পালনের দুই দিন আগে একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল থেকে মুক্তি শিল্পী হিসেবে আজীবন সম্মাননা পান। সম্মাননাটি দেওয়া হয় রাজারবাগ এলাকার একটি অভিজাত হোটেলে। মুক্তির জীবনে এই হোটেলটির একটা তাৎপর্য রয়েছে। মুক্তি অভিনীত প্রথম ছবি পদ্মা নদীর মাঝি নির্মিত হয় ১৯৯৩ সালে। এই ছবিটি মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদ্মানদীর মাঝি উপন্যাস অবলম্বনে নির্মাণ করেছেন কলকাতার খ্যাতিমান নির্মাতা গৌতম ঘোষ। ছবিটির ইউনিট ছিল আলোচ্য এই হোটেলটিতে। এই হোটেলে দাঁড়িয়ে মুক্তি ঘরে তুলে নিলেন আজীবন সম্মাননা। স্মারক গ্রহণ করার সময় স্মৃতিচারণ করে বলেন, “এই হোটেলটি আমার স্মৃতি ভাস্বর হয়ে থাকবে।” মুক্তির প্রথম ছবি পদ্মা নদীর মাঝি হলেও তিনি আলোচনায় আসেন চাঁদের আলো ছবির মাধ্যমে। এরপর তিনি অভিনয় করেন লড়াই-যুদ্ধ, শ্রাবণ মেঘের দিন, হাছন রাজা, তুমি আমার স্বামী, পিতা মাতার আমানত, জগত সংসার, রিকশাওয়ালার ছেলে এবং দারোয়ানের ছেলে ছবিতে।

 

ভোরের আকাশ/রন