logo
আপডেট : ৩ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১৯:৩৫
বাংলাদেশ নিয়ে ফেসবুক পোস্ট, ডিলিট করতে বাধ্য হলেন কলকাতার গায়িকা
নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশ নিয়ে ফেসবুক পোস্ট, ডিলিট করতে বাধ্য হলেন কলকাতার গায়িকা

টলিপাড়ায় গায়িকা হিসেবে খুবই জনপ্রিয় লগ্নজিতা চক্রবর্তী। মাঝেমধ্যেই নিজের গান নিয়ে খবরের শিরোনাম হন তিনি। বিশেষ করে কলকাতার আরজি কর-কাণ্ডের সময় লগ্নজিতা সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ ট্রেন্ডিং ছিলেন।

এসব রেশ মিটতেই আরও একবার সোশ্যাল মিডিয়ায় আলোচনার মুখে পড়লেন এই গায়িকা। তবে এবার কারণটা ভিন্ন। সম্প্রতি বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে ফেসবুকে নিজের মতামত জানিয়েছিলেন লগ্নজিতা।

এরপরই নেটিজেনদের কটাক্ষের শিকার হন তিনি। গায়িকা অবশ্য সেই সমালোচনার জবাবও দিয়েছেন।

শনিবার লগ্নজিতা তার ফেসবুক পোস্টে লেখেন, ‘ভেবেছিলাম এই হিন্দু মুসলিমের ব্যাপারটা আমরা পেরিয়ে এসেছি, অনেক দিন, বছর, কাল আগেই। কোনওদিন ভাবিনি ২০২৪ সালে দাঁড়িয়ে, এই বিষয়টা নিয়ে একটা পোস্ট করতে হবে। এটা অতীত হয়ে গেছে, এমনটাই আমার ভাবনা ও চিন্তা ছিল।’

ফেসবুকে এই পোস্ট করতেই গায়িকাকে নিয়ে ট্রোল-সমালোচনা শুরু হয়ে যায়। অনেকেই লেখেন লগ্নজিতা কিছুই জানেন না এই সম্পর্কে। আবার অনেকে লেখেন, গায়িকাকে তো বাংলাদেশের শ্রোতা ধরে রাখতে হবে।

এসব ট্রোল যদিও চুপ করে হজম করেননি গায়িকা। তিনিও পাল্টা জবাব দিয়েছেন। গায়িকা লেখেন, ‘অনেকে বলছেন, এই যে আমার হিন্দু মুসলিম নিয়ে ভাগ করতে ইচ্ছে করে না, করছে না। এটার কারণ নাকি সিপিএমের ৩৪ বছরের শাসন, আমি নাকি কলকাতা এবং পশ্চিমবঙ্গ এবং ভারতে কী হয় কিছুই জানি না, আমি নাকি খুবই অশিক্ষিত, আমার আরও শিক্ষিত হওয়া উচিত ছিল ইত্যাদি ইত্যাদি।’

‘সে তো বুঝলাম।  কিন্তু আমি তো হিন্দু-মুসলিম যে ভাই-ভাই, এটা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, কাজী নজরুল ইসলাম, এনাদের থেকে শিখেছিলাম। তো রবীন্দ্রনাথ আর নজরুলও কি সিপিএম ছিলেন? জাস্ট জানতে চাইছি।’

এরপর গায়িকা একাধিক ট্রোল প্রসঙ্গে পাল্টা লেখেন, ‘শুনুন, থ্রেট শুনে আজকাল হুমকিরও বিরক্ত লাগে। যেকোনও জিনিস একঘেয়ে হয়ে গেলে যা হয় আরকি। আমি তো আপনার অফিস যাওয়া নিয়ে কিছু বলছি না। আমার গান গাওয়া নিয়ে আপনার এত সমস্যা কোথায়?’

এরপর মহাত্মা গান্ধীর মন্তব্যও শেয়ার করে লগ্নজিতা লেখেন, ‘তাহলে এখন থেকে আমি কংগ্রেস হয়ে গেলাম ।

তবে রোববার এই পোস্ট করার কিছুক্ষণের মধ্যেই গায়িকা তার পুরোনো সব পোস্ট ডিলিট করে দেন। এরপরই আরও একটি পোস্ট করেন লগ্নজিতা।

ভোরের আকাশ/ সু