গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার রিনা বেগম (৩৮) নামের এক নারী তার নামীয় জমি বেহাতের ৩০ বছর পর অবশেষে দখল বুঝে পেয়েছেন। দীর্ঘ আইনি লড়াই এবং স্থানীয় ব্যক্তিদের সহযোগিতায় জমি উদ্ধার করতে পেরে রিনা বেগম অনেকটা স্বস্তি ফিরে পেয়েছেন।
গতকাল বুধবার উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের এনায়েতপুর বাজারের পশ্চিম পাশে পাকা রাস্তা সংলগ্ন বড় জামালপুর মৌজাস্থ ৬ শতক জমি উদ্ধার পূর্বক রিনা বেগম ও তার স্বামী আইয়ুব আলীকে বুঝিয়ে দেন এলাকাবাসী।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বড় জামালপুর গ্রামের মৃত শরিয়ত উল্যা মণ্ডলের ছেলে হাবিজার রহমান ৩১০৮/৯৪ নম্বর হেবাবিল এওয়াজ দলিলমূলে তার ছেলে ফারুক মণ্ডল, শাহ আলম এবং মেয়ে রিনা বেগমকে ৩৬ শতক জমি লিখে দেন। এর তফসিল অনুযায়ী, বড় জামালপুর মৌজার জে.এল ৭৫, খতিয়ান ১৪, ১৬, ২৫৯ এবং এস.এ দাগ ১২৭১, ১২৭২, ১২৭৪, ১২৭৫ এর মোট ৩৬ শতকের মধ্যে ৬ শতক জমি রিনা বেগমের নামে রয়েছে।
তবে দলিল থাকা সত্ত্বেও হাবিজার রহমান বিভিন্ন টালবাহানা এবং ভুয়া কারসাজির মাধ্যমে রিনা বেগমের নামীয় এই জমি বুঝিয়ে দিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে আসছিলেন। এমন পরিস্থিতিতে গয়েশপুর গ্রামের রিনা বেগমের স্বামী আইয়ুব আলী আইনগত প্রক্রিয়া ও স্থানীয় সালিশের মাধ্যমে জমি উদ্ধারের চেষ্টা চালান। কিন্তু হাবিজার রহমান সালিশ উপেক্ষা করেন, যা উভয়পক্ষের বিরোধকে চরমে পৌঁছে দেয়।
এর ধারাবাহিকতায় গত ১২ নভেম্বর, রিনা বেগম আবারও তার জমি বুঝে চাওয়ার জন্য হাবিজার রহমানের কাছে গেলে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন এবং জমি দিতে অস্বীকৃতি জানান। পরবর্তীতে গত ৪ ডিসেম্বর, বুধবার সকালের দিকে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় রিনা বেগমের নামে থাকা ৬ শতক জমি উদ্ধার করা হয় এবং দখল বুঝিয়ে দেওয়া হয়।
এ দীর্ঘদিনের জটিলতা নিরসন হওয়ায় রিনা বেগম, তার স্বামী আইয়ুব আলী এবং স্থানীয় বাসিন্দারা স্বস্তি প্রকাশ করেছেন।
ভোরের আকাশ/রন