logo
আপডেট : ৬ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১৫:০৪
প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে সমন্বয় সভা
জামালপুর প্রতিনিধি

প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে সমন্বয় সভা

প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের ওয়েজআর্নার্স কল্যাণ বোর্ড, ময়মনসিংহ ওয়েলফেয়ার সেন্টারের উদ্যোগে বৃহস্পতিবার জামালপুর জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে ক্ষুদ্রঋণ প্রদানকারী এনজিও প্রতিনিধিদের সঙ্গে এক সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

জামালপুর জেলার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ইফতেখার ইউনুসের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জামালপুর জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিসের সহকারী পরিচালক ইকরামুন্নাহার, জামালপুর কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের অধ্যক্ষ হারুন আল মামুন, ময়মনসিংহ ওয়েলফেয়ার সেন্টারের কাউন্সিলর আব্দুল্লাহ আল নোমান এবং ডেপুটি কাউন্সিলর মো. মোয়াজ্জেম হোসেন প্রমুখ।

সভায় উন্নয়নের সহযোগী সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ময়মনসিংহ ওয়েলফেয়ার সেন্টারের কাউন্সিলর নূর মোহাম্মদ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ময়মনসিংহ ওয়েলফেয়ার সেন্টারের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ মাহবুবুল হাসান তাহেরী। তিনি তার বক্তব্যে ওয়েজআর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের মাধ্যমে বাস্তবায়িত রেইস প্রকল্পের কার্যক্রম তুলে ধরেন। সেই সঙ্গে কল্যাণ বোর্ডের মাধ্যমে প্রবাসীদের সন্তানদের শিক্ষাবৃত্তি, প্রতিবন্ধী ভাতা এবং বোর্ডের অন্যান্য কল্যাণমূলক সহযোগিতামূলক কার্যক্রমের বিস্তারিত তুলে ধরেন।

তিনি অংশগ্রহণকারী ক্ষুদ্রঋণ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের অনুরোধ করেন, প্রত্যাবর্তনকারী প্রবাসীদের আর্থ-সামাজিকভাবে প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সহজ শর্তে ঋণ প্রদান করে তাদেরকে সামাজিকভাবে প্রতিষ্ঠিত করার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে।

ময়মনসিংহ ওয়েলফেয়ার সেন্টারের কাউন্সিলর নূর মোহাম্মদের সঞ্চালনায় সভায় এনজিও প্রতিনিধিরা অংশ নেন।

উন্নয়নের সংঘের কর্মসূচি পরিচালক মুর্শেদ ইকবাল বলেন, "ওয়েলফেয়ার সেন্টারের মাধ্যমে প্রবাসীদের ডাটাবেস যদি এনজিওদের কাছে পাঠানো যায়, তাহলে তাদের সহজে চিহ্নিত করা সম্ভব হবে এবং ঋণ কার্যক্রমের আওতায় সম্পৃক্ত করা সহজ হবে।"

ব্র্যাকের জামালপুর এরিয়া ম্যানেজার হুমায়ুন কবির বলেন, "জেলা এবং উপজেলা পর্যায়ে এনজিওরা সাধারণত এমআরএ পলিসি অনুযায়ী ঋণ কার্যক্রম পরিচালনা করে। যদি মন্ত্রণালয় থেকে কেন্দ্রীয় পর্যায়ে এনজিওগুলোর সঙ্গে এমআরএ পলিসি নিয়ে নির্দেশনা দেওয়া যেত, তাহলে প্রবাসীদের ঋণ প্রদানের জন্য সুদের হার কমানো যেত এবং তারা উপকৃত হতেন।"

জামালপুর জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিসের সহকারী পরিচালক ইকরামুন্নাহার বলেন, "বিদেশ যাওয়ার ক্ষেত্রে যে প্রবাসীরা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন, আমরা তাদের বিভিন্নভাবে সহযোগিতা এবং তথ্য দিয়ে থাকি। যদি কোনো প্রবাসী প্রতারণার শিকার হন, তাহলে আমাদের অফিসে যোগাযোগ করলে আমরা তাদের আইনি সহায়তা দিতে পারব।"

জামালপুর কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের অধ্যক্ষ হারুন আল মামুন বলেন, "যেসব প্রবাসী দেশের বাইরে যাচ্ছেন, তাদের অবশ্যই প্রশিক্ষণ নিয়ে বাইরে যাওয়া উচিত এবং দালালের প্রতারণা এড়িয়ে চলা উচিত। এতে প্রতারণার সম্ভাবনা কম থাকবে।"

সভাপতি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ইফতেখার ইউনুস বলেন, "ওয়েলফেয়ার সেন্টারের মাধ্যমে রেইস প্রকল্প যে কার্যক্রম পরিচালনা করছে, তা নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। আমরা মনে করি, আজকের এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এনজিও প্রতিনিধিদের সঙ্গে যে আলোচনা হয়েছে, তার মাধ্যমে প্রবাসীরা ক্ষুদ্রঋণ গ্রহণ করে আর্থ-সামাজিকভাবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হবেন।"

 

ভোরের আকাশ/রন