logo
আপডেট : ৮ ডিসেম্বর, ২০২৪ ১০:১৯
ভারতে বাংলাদেশ নিয়ে অপপ্রচার থামছে না
সিরাজুল ইসলাম

ভারতে বাংলাদেশ নিয়ে অপপ্রচার থামছে না

শেখ হাসিনা সরকার পতনের পরপরই ভারতের বেশ কিছু মিডিয়া বাংলাদেশ নিয়ে অপপ্রচার চালিয়ে আসছে। এ ক্ষেত্রে সব চেয়ে বড় ভূমিকা পালন করছে দেশটির রিপাবলিক বাংলা টিভি ও এবিপি আনন্দসহ অন্তত ৪৯টি মিডিয়া। এছাড়া আরও কিছু মিডিয়া একই ধরনের খবর দিচ্ছে। ইসকন থেকে বহিষ্কৃত নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেপ্তারের পর তারা আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর তার নামে ভুয়া খোলা চিঠি; মুসলিম ব্যক্তির নিখোঁজের মানববন্ধনের ভিডিওকে হিন্দুর বলে প্রচার; ড. মুহাম্মদ ইউনূস আইসিইউতে ভর্তি হওয়ার ভুয়া খবর; জঙ্গি সংগঠনগুলোর ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার ভিত্তিহীন দাবি; ট্রাম্পের বিজয়ের পর ড. ইউনূস ফ্রান্সে পালিয়ে যাওয়ার ভুয়া খবর; পাকিস্তানি জাহাজের মাধ্যমে অস্ত্র আনার মিথ্যা খবর; নিহত আইনজীবী সাইফুল ইসলামকে চিন্ময় কৃষ্ণের আইনজীবী হিসেবে প্রচার; বাংলাদেশে ভারতীয় চ্যানেল বন্ধ করে দেওয়ার গুজব; ভারতের প্রতিমা বিসর্জনের ভিডিও বাংলাদেশে মন্দির ভাঙচুর বলে প্রচার; শ্যামলী পরিবহনের বাসে হামলার ঘটনাকে চিন্ময় কৃষ্ণের আইনজীবীর ওপর হামলার ভুয়া খবর প্রচার করা হয়েছে। এসব খবর প্রচারের ক্ষেত্রে ভারতীয় মিডিয়াগুলো কোনো ধরনের নিয়ম-নীতি মানছে না। এরই মধ্যে ফ্যাক্ট চেকে অনেক ভিডিও ও ছবি ভুয়া বলে প্রমাণিত হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে এর আগে ব্রিফিং করেছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রেস সচিব শফিকুল আলমও সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মীদের যাচাই-বাছাই করার আহ্বান জানিয়েছেন।

১ ডিসেম্বর অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছেন, ভারতীয় গণমাধ্যম প্রমাণ করতে চাচ্ছে বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের ওপর নিপীড়ন চালানো হচ্ছে এবং তালেবান ঘরানার সরকার আসতে যাচ্ছে। এ ধরনের অপপ্রচার দুই দেশের জন্য ভালো কিছু বয়ে আনবে না। রাজধানীর মহাখালীর ব্র্যাক সেন্টার ইন-এ সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, গণ-অভ্যুত্থানের পর বিশৃঙ্খলা-অস্থিতরতা দেখা দিয়েছিল। তবে সেটা ছিল খুবই অল্প সময়ের জন্য। খুব দ্রুতই বর্তমান সরকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে। পুলিশ ছাড়াই শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে তা সম্ভব হয়েছিল। পরে পুলিশ এলে শিক্ষার্থীরা রাজপথ ছেড়ে যায়। সেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের পর গত সাড়ে তিন মাসে সরকার অনেক কিছু করেছে। তিনি বলেন, গণঅভ্যুত্থান হওয়ায় গণমাধ্যম, বিশেষ করে ভারতীয় গণমাধ্যম খুবই অখুশি। শুধু ভারত নয়, সারা বিশ্বেই এখন সংঘবদ্ধভাবে প্রোপাগান্ডা (অপপ্রচার) চালানো হচ্ছে। তারা (ভারতীয় গণমাধ্যম) প্রমাণ করতে চাচ্ছে যে বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের ওপর নিপীড়ন চালানো হচ্ছে, তালেবান ঘরানার সরকার আসতে যাচ্ছে ইত্যাদি, যা খুবই অন্যায্য।

বাংলাদেশের মানুষ মনে করছে, কোনো ভুল না করেই তাদের ভুক্তভোগী করা হচ্ছে- উল্লেখ করে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, এর নেতিবাচক দিক হলো এসব কোনো পক্ষকেই ভালো কিছু দেবে না। এসব বাংলাদেশের জন্য ভালো কিছু বয়ে আনবে না, ভারতের জন্যও ভালো কিছু বয়ে আনবে না। দক্ষিণ এশিয়ার বাইরেও সিপিডির ভালো যোগাযোগ আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সেই যোগাযোগকে কাজে লাগিয়ে সিপিডি তুলে ধরতে পারে যে বাংলাদেশ কী করছে, বাংলাদেশের ভেতরে সত্যিকারের অবস্থা কী। পরদিন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বিদেশি কূটনীতিকদের বলেন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ‘খারাপ’ অবস্থার মধ্যে আছে, বাংলাদেশকে এমনভাবে চিত্রায়নের দেশি-বিদেশি প্রচেষ্টা চলছে। তিনি বলেন, সংখ্যালঘু নির্যাতনের কোনো ঘটনা ঘটেনি এটা বলা ঠিক হবে না। বড় কোনো ঘটনা ঘটেনি। দুর্গাপূজার সময় দুয়েকটা ঘটনা ঘটেছে, প্রতিবছরই দুয়েকটা ঘটনা ঘটে। সেটা এই সরকার হোক বা অন্য কোনো সরকার হোক। সরকারের দায়িত্ব হচ্ছে, সেটাকে নিয়ন্ত্রণে আনা এবং যারা এ ধরনের কার্যকলাপে লিপ্ত হয়; তাদের জন্য শাস্তি বিধান করা। তাদেরকে আইনের আওতায় আনা। এই সরকার সেটা পুরোপুরি করেছে।

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশ সাম্প্রতিক একটা খারাপ অবস্থার ভেতর দিয়ে যাচ্ছে, এ রকম একটা পরিস্থিতি সৃষ্টির অভ্যন্তরীণ এবং দেশের বাইরের প্রচেষ্টা আছে। আমরা সেই প্রচেষ্টা যেন সফল না হয়, সেই চেষ্টা করছি। তিনি বলেন, গত কিছুদিনের বিশেষ করে হিন্দু সমাজের পরিস্থিতি নিয়ে আমাদের মনে হয়েছিল, যাতে কোনো ভুল ধারণার সৃষ্টি না হয়। কারণ ভুল ধারণা সৃষ্টি করার মতো প্রচুর পরিবেশ আছে, বিশেষ করে গণমাধ্যমের একাংশ-কোন দেশের সেটা আমি বলছি না। তারা এটাকে যতটুকু পারা যায় একটা খারাপ পরিস্থিতির দিকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছে। কাজেই আমাদের মনে হয়েছে যে, এখানে কূটনৈতিক সম্প্রদায় যারা আছে, বিষয়টাতে ব্যাখ্যা দেওয়া প্রয়োজন, যাতে তারা প্রকৃত অবস্থাটা জানতে পারে। আমি জানি তাদের নিজেদেরও কিছু ম্যাকানিজম আছে তথ্য সংগ্রহের। কিন্তু আমাদের অবস্থানটা পরিষ্কার করার জন্য তাদের ডেকেছি। তিনি বলেন, আমরা আমাদের অবস্থান ব্যাখ্যা করেছি। আমি বলেছি, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি হচ্ছে সমাজের অংশ আর সরকার এটা বজায় রাখতে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। কোনো মানুষ তার ধর্মীয় বা সাম্প্রদায়িক পরিচয়ের কারণে নিপীড়িত হবে না, এটা আমরা অবশ্যই নিশ্চিত করব। আমরা এটাও বলেছি, যে সরকার আছে, তারা এক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য সাফল্য দেখিয়েছে প্রায় চার মাস সময়ে। যদিও মাল-মসলা ছিল অনেক বেশি গণ্ডগোল হওয়ার মত, সেটা কিন্তু আমরা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পেরেছি, সবার সহযোগিতায়। পরিস্থিতি বজায় রাখতে পেরেছি অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, সংখ্যালঘু নির্যাতনের বিষয়ে ভারতীয় গণমাধ্যমে প্রতিনিয়ত নানা রকম সংবাদ প্রচার করা হচ্ছে। পররাষ্ট্র উপদেষ্টাসহ সরকারের দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা এসব সংবাদের অনেকটাই অসত্য বলে দাবি করে আসছেন।

ভারতীয় গণমাধ্যমও জানাল হিন্দু নির্যাতনের ভিডিওটি ভুয়া: বাংলাদেশে হিন্দু নির্যাতনের ভুয়া ভিডিও প্রচার করে দুই দেশের সম্পর্কে অবাঞ্চিত জটিলতা সৃষ্টির কাজে নিয়োজিত রয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যমের একটি গ্রুপ। ভারতের ফ্যাক্ট চেকিং সংস্থা রিউমার জানিয়েছে, ভারতের অন্তত ৪৯টি গণমাধ্যমে বাংলাদেশ নিয়ে ভুয়া খবর প্রকাশ করা হয়েছে। রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে, বাংলাদেশে রাষ্ট্র ক্ষমতার পটপরিবর্তনের পর ১২ আগস্ট থেকে ৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত ভারতীয় গণমাধ্যমে প্রচারিত অন্তত ১৩টি ভুয়া খবর পাওয়া গেছে। এমন ভুয়া খবর প্রচারের তালিকায় ভারতের অন্তত ৪৯টি গণমাধ্যমের নাম উঠে এসেছে।

রিপাবলিক বাংলা সর্বাধিক পাঁচটি গুজব প্রচার করেছে। পরবর্তী অবস্থানে রয়েছে হিন্দুস্তান টাইমস, জি নিউজ এবং লাইভ মিন্ট, যারা প্রত্যেকে অন্তত তিনটি করে গুজব প্রকাশ করেছে। এছাড়া, রিপাবলিক, ইন্ডিয়া টুডে, এবিপি আনন্দ এবং আজতক অন্তত দুটি করে গুজব প্রচার করেছে। বাকি ৪১টি গণমাধ্যম অন্তত একটি করে গুজব প্রচার করেছে।

৬ ডিসেম্বর শুক্রবার ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে জানায়, ভাইরাল হওয়া এই ভিডিওটি কি বাংলাদেশের শেরপুরে হিন্দুদের বাড়ি, ফসল ও গবাদিপশুর ওপর বাংলাদেশি মুসলমানদের হামলার? বুম তাদের অনুসন্ধান শেষে জানিয়েছে, ভিডিওটি ভুয়া দাবিতে প্রচার করা হয়েছে। অনুসন্ধানে জানা গেছে, বাংলাদেশে শেরপুরে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর সহিংসতার দাবিতে প্রচারিত ফুটেজটি আসলে মুর্শিদপুর দরবার শরীফে হামলার। এটি বাংলাদেশের শেরপুরে মুসলমানদের একটি মাজার। শেখ হাসিনা বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নেওয়ার পর থেকে ভারতের বিভিন্ন গণমাধ্যমে হিন্দুসহ সংখ্যালঘুদের ওপর সাম্প্রদায়িক হামলা হচ্ছে দাবি করে গুজব ছড়ানো হচ্ছে। ওই সব গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে জুড়ে দেওয়া হচ্ছে ভুয়া ছবি, ভিডিও। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতেও বাংলাদেশের বিরুদ্ধে এমন সব অপপ্রচারে মেতে আছে ষড়যন্ত্রকারীদের অনেকে। নেট দুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়া এমনই এক ভিডিও ফুটেজে দাবি করা হয়- হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা চালানো হচ্ছে, যেটির সত্যতা পায়নি ভারতীয় ফেক্ট চেকিং সংস্থা বুম। তেমনটাই জানিয়েছে এবার খোদ ভারতীয় গণমাধ্যমই।

শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর তার নামে ভুয়া খোলা চিঠি, মুসলিম ব্যক্তির নিখোঁজ পুত্রের সন্ধানে মানববন্ধন করার ভিডিওকে হিন্দু ব্যক্তির দাবিতে প্রচার, ড. মুহাম্মদ ইউনূস আইসিইউতে ভর্তি হওয়ার ভুয়া খবর, বাংলাদেশে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠনগুলোর ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার ভিত্তিহীন দাবি, ট্রাম্পের বিজয়ের পর ড. ইউনূস ফ্রান্সে পালিয়ে যাওয়ার ভুয়া দাবি, পাকিস্তানি জাহাজের মাধ্যমে অস্ত্র আনার মিথ্যা দাবি, নিহত আইনজীবী সাইফুল ইসলামকে চিন্ময় কৃষ্ণের আইনজীবী হিসেবে প্রচার, বাংলাদেশে ভারতীয় চ্যানেল বন্ধ হওয়ার গুজব, বাংলাদেশে মুসলিমদের হামলায় হিন্দু মন্দিরে প্রতিমা ভাঙচুরের দাবিতে ভারতের প্রতিমা বিসর্জনের ভিডিও প্রচার, শ্যামলী পরিবহনের বাসে হামলার মিথ্যা তথ্য চিন্ময় কৃষ্ণের আইনজীবীর ওপর হামলার ভুয়া দাবি এবং বাংলাদেশে জঙ্গি হামলা হতে পারে জানিয়ে যুক্তরাজ্য ভ্রমণ সতর্কতা জারির বিভ্রান্তিকর সব খবর প্রচারিত হয়।

আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বাংলাদেশকে ভুলভাবে তুলে ধরা হয়েছে : বিপ্লব পরবর্তী সময়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর হামলার খবর যাচাই করতে স্বাধীন সংবাদপত্র ও মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলোকে আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তিনি বলেন, সঠিক তথ্য উদঘাটনের কাজ যদি সরকার করে, তবে তাদের প্রতিবেদনগুলো সন্দেহের চোখে দেখা আশঙ্কা খুবই বেশি।

গত শনিবার তার ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক পোস্টে তিনি এসব কথা বলেন। এটিকে ‘গুরুতর ইস্যু’ উল্লেখ করে শফিউল আলম বলেন, আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে এবং প্রভাবশালী দেশগুলোর সংসদে বাংলাদেশকে ‘ভুলভাবে তুলে ধরা হয়েছে’। কেউ কেউ এসব প্রতিবেদনের ভিত্তিতে বাংলাদেশে জাতিসঙ্ঘ শান্তিরক্ষী পাঠানো বা দেশটিতে হস্তক্ষেপের আহ্বান জানিয়েছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা এর সুষ্ঠু তদন্ত চাই।’ তিনি বলেন, সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার, রাজনৈতিক, ধর্মীয় ও সুশীল সমাজের নেতারা ধর্মীয় ঘটনাবলীর সময় জনগণকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, এসব ঘটনায় আমাদের কেউ কেউ অসাধারণ রাজনৈতিক পরিপক্কতার পরিচয় দিয়েছেন। কিন্তু বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের প্রতিবেদনে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে সংঘটিত সহিংসতাকে ‘পদ্ধতিগতভাবে অতিরঞ্জিত’ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন শফিউল আলম। তিনি বলেন, তারা আশা করেন ধর্মনিরপেক্ষ ও উদারপন্থী সংবাদপত্রগুলো পরিষদের ধর্মীয় সহিংসতার অভিযোগগুলো নিয়ে নিজস্ব তদন্ত করবে।

 

ভোরের আকাশ/রন