পিরোজপুরের নাজিরপুরে ২ জন রোহিঙ্গাকে আটক করেছে নাজিরপুর থানা পুলিশ । নাজিরপুর থানা পুলিশের এস আই সরোয়ার হোসেন এ অভিযান পরিচালনা করেন।রবিবার (২২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যার দিকে উপজেলার নাজিরপুর টু গোপালগঞ্জ মহাসড়কের চিথলিয়া এলাকা থেকে তাদের আটক করে পুলিশ।
আটককৃতরা হলেন, কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার জি-ক্যাম্প ১৪ ট্যাংকখালী হাকিম পাড়া এলাকার আনোয়ার আলীর পুত্র রোহিঙ্গা মনির আলম (৪০) এবং একই ক্যাম্পের জাহিদ হোসেনের পুত্র মোঃ শফিক (২১)।
সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) স্থানীয় এক ব্যক্তি জানান, ওই রহিঙ্গা দুই যুবক পাসপোর্ট করার উদ্দেশ্যে পিরোজপুর পাসপোর্ট অফিসে যাওয়ার পথিমধ্যে আমরা তাদেরকে আটকে রাখি। আটকের সময় একজন রহিঙ্গা দৌড়ে পালিয়ে যায় এবং তার সহযোগী ও পালিয়ে যায়। পালিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশ এক জনের মোবাইল ফোন জব্দ করে।
রহিঙ্গাদের আটক করে আবার রহিঙ্গা ক্যাম্পে ফেরত দেওয়ায় এ নিয়ে স্থানীয় সচেতন মহলদের মধ্যে চলছে নানা গুনজন। ঘটনাচক্রে জড়িতদের বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক কোন ব্যবস্থা না নিয়ে ঘটনার মূল ভিক্টিমদের ক্যাম্পে পাঠান হয়েছে। এনিয়ে নাজিরপুর থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মাহামুদ আল ফরিদ ভূঁইয়া বলেন,উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে আমরা তাদের ক্যাম্পে প্রেরণ করেছি এবং তার সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় আনার জন্য চেষ্টার করছি।
এ বিষয়ে পিরোজপুর জেলা জজ কোর্টের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) এ্যাড.আবুল কালাম আকন বলেন, পুলিশ চাইলে আইও বাদী হয়ে ৫৪ ধারায় মামলা নিয়ে আদালতে প্রেরণ করতে পারত। তাদের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ যদি ক্যাম্পে ফেরত দিতে বলেন এটা তাদের বিষয়। যদিও উচিৎ ছিল পুলিশের মামলা নেওয়া কারণ তাহলে ওই চক্রকে আইনের আওতায় আনতে সহজ হত।
এ বিষয়ে পিরোজপুর জেলা পুলিশ সুপার খাঁন মুহাম্মদ আবু নাসের বলেন, শুনেছি ১ লাখ টাকার বিনিময়ে একটি প্রতারক চক্র তাদের পাসপোর্ট করে দিবে বলে এনেছে। তাদের ৫৪ ধারায় চালান দেওয়া যেত,বার বার কোর্টে আসা-যাওয়া-স্বাক্ষী হাজির করা ঝামেলা তাই আমরা তাদের ক্যাম্পে প্রেরণ করে দিয়েছি ওখান থেকে আর বের হতে পারবে না। প্রতারক চক্রদের গ্রেফতারের জন্য অভিযান অব্যহত রয়েছে।
ভোরের আকাশ/ সু