হাজারো প্রাণহানি আর ছাত্র-জনতার পঙ্গুত্ববরণের পর জুলাই-আগস্ট বিপ্লবে পতন হয়েছে আওয়ামী লীগের। ক্ষমতা ছেড়ে পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন পতিত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ক্ষমতা রক্ষায় শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের লেলিয়ে দিয়ে তিনি বর্বর হত্যাকাণ্ড চালান। নিরীহ জনসাধারণের ওপর গুলি ও নির্যাতনের সেসময়কার চিত্র তখন দেশ-বিদেশের বিবেকবান মানুষের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হয়েছে। তবে, বিভীষিকাময় পরিস্থিতি তৈরি করেও শেষ রক্ষা হয়নি আওয়ামী লীগের।
শুধুই জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হতাহতের ঘটনা নয়, শেখ হাসিনার শাসনামলের সাড়ে ১৫ বছরের নির্যাতন, হত্যা, জঙ্গি নাটক, হেফাজতের সমাবেশে হামলা, বিএনপি, জামায়াতের সমাবেশে একের পর এক হামলা, বিরোধী মতের ব্যক্তিদের অপহরণ, হত্যা ও গুম যেখানে ছিল নিত্যনৈমিত্যিক ঘটনা।
এতো কিছুর পরেও পতিত আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মাঝে বিন্দুমাত্র অনুশোচনাবোধ নেই। ক্ষমতা ছেড়ে পালিয়ে ভারতে অবস্থান নিয়ে শেখ হাসিনার একের পর এক উস্কানিমূলক অডিও ভাইরাল হয়েছে। অপরাধের জন্য তার লেশমাত্র অনুশোচনাবোধ জন্মেনি। দলটির শীর্ষ নেতা থেকে শুরু করে কর্মী-সমর্থকদের মাঝেও অনুশোচনা বা অনুতপ্তের চিহ্ন নেই। তাদের এই নির্লিপ্ততা এখন সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে চায়ের দোকান পর্যন্ত আলোচনায়।
দেশের বড় রাজনৈতিক দলের নেতা, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ও এমনকী সাধারণ মানুষ বলছেন, আওয়ামী লীগ ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের পর ক্ষমতায় এসে গুম, খুন করে গণতন্ত্রকে রুদ্ধ করে বাকশাল প্রতিষ্ঠিত করেছিল। আর ২০০৯ সালে সরকারে এসে ফের গণতন্ত্রকে হত্যা করে একনায়কতন্ত্র চালু করে। দলটির রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার ইতিহাস উল্লেখ করে তারা বলছেন, আওয়ামী লীগের ইতিহাসই হচ্ছে মুক্তমত ও গণতন্ত্রে বিশ্বাস না করা। সুতরাং তাদের কাছ থেকে অনুশোচনা আশা করাটাই বোকামি। দলটির নেতাকর্মীরা এখন পার্শ্ববর্তী দেশের উস্কানিতে ফের রক্তক্ষরণ ঘটানোর ক্ষেত্র তৈরির অপচেষ্টায় লিপ্ত বলে অভিযোগ তাদের।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী এ বিষয়ে দৈনিক ভোরের আকাশকে বলেন, আওয়ামী লীগের ইতিহাসই হচ্ছে দেশে ফ্যাসিজম প্রতিষ্ঠা করা। দলটি গণতন্ত্রের ছবক দিয়ে বারবার দেশকে গণতন্ত্রহীনতায় নিয়ে গেছে। দেশের মানুষকে হত্যাকাণ্ডের পর অনুশোচনার বিষয়ে তিনি বলেন, এটি আওয়ামী লীগের কাছ থেকে আশা করা যায় না। কারণ, তারা হত্যা, গুম খুন করেই অভ্যস্ত।
জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আব্দুল হালিম দৈনিক ভোরের আকাশকে বলেন, ইতিহাস থেকে যারা শিক্ষা নেয় না তাদের পরিণতি ভোগ করতেই হয়। সবশেষ গত ১৫ বছর আওয়ামী লীগ দেশে যেভাবে গুম, খুন ও হত্যা করলেও বিষয়গুলো দলটির নেতাকর্মীরা স্বাভাবিক ঘটনা হিসেবে ধরে নিয়েছে। কারণ, এ দলটি আসলে দেশ ও মানুষের জন্য রাজনীতি করে না। তারা রাজনীতির নামে এদেশে একদলীয় শাসন চালায়। মূলত, ভারতকে সন্তুষ্ট করতেই ব্যস্ত থাকে আওয়ামী লীগ। এবার পতনের পরও ফের দলটি ভারতের কথায় রক্তপাত ঘটানোর ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে। তিনি বলেন, যেকোনো ফ্যাসিষ্টের কাছেই অপরাধকে অপরাধ মনে হয় না। জঘন্যতম অপরাধ কর্মকাণ্ডকেও তারা জায়েজ কাজ বলে মনে করে।
জানা গেছে, এবার প্রথম ধাপে কোটাবিরোধী আন্দোলন চললেও পরে সেটি সরকার পতন আন্দোলনে রুপ নেয়। ৫ জুন থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত দীর্ঘ ৬১ দিনের ঘটনাপ্রবাহে যুক্ত হতে থাকে নতুন নুতন ঘটনা। জীবনহানি ঘটতে থাকে নিরীহ মানুষের। ক্ষণে ক্ষণে বাঁক নিতে থাকে ঘটনার মোড়। তবে, আন্দোলনের স্পৃহা ক্রমেই তীব্র থেকে তীব্রতর হতে থাকে। ৫ জুন শুরু হয়ে সমাপ্তি ঘটে ৫ আগস্ট। সৃষ্টি হয় নতুন এক ইতিহাস। ওই সময় দুই সহস্রাধিক ছাত্র-জনতা শহীদ হয়েছে বলে দাবি নাগরিক কমিটির। তবে সরকারি হিসাবে শহীদ হয়েছেন ৮৫৯ জন। আর এ সময় আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৩০ হাজার। যারমধ্যে চিরদিনের জন্য অন্ধত্ব বরণ করেছে ৯শ।
গত ৫ জুন কোটা বাতিলের সিদ্ধান্ত অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেন হাইকোর্ট। আদালতের রায়ের প্রতিবাদে বিক্ষোভে নামেন শিক্ষার্থীরা। আন্দোলন বাড়তে থাকলে ৯ জুন হাইকোর্টের রায় স্থগিত চেয়ে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। এরপর জুন-জুলাই মাস জুড়ে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের তীব্রতা বাড়তে থাকে। জুলাই মাসে একের পর এক ধাপে কর্মসূচি বাস্তবায়ন শুরু হয়। বিশেষ করে ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচি ছিল আন্দোলনের ‘টার্নিং পয়েন্ট’। এরমধ্যে কোটা পুনর্বহাল করে হাইকোর্টের আদেশের ওপর সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের চার সপ্তাহের স্থিতাবস্থাসহ নতুন নতুন ঘটনা ঘটে। ১৪ জুলাই এক সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীদের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘রাজাকার’ বলে গালি দেন। যার জেরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়। ১৫ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা চালায় ছাত্রলীগসহ সরকার সমর্থকরা। ছাত্রলীগের হামলায় নারী শিক্ষার্থীদের আহত হওয়ার ভিডিও প্রকাশ হতে থাকলে ফুঁসে ওঠে দেশব্যাপী। পরদিন ১৬ জুলাই সারাদেশে ব্যাপক সহিংসতার ঘটনা ঘটে এবং ছয়জনের প্রাণহানি হয়। রংপুরে পুলিশের ‘গুলিতে’ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী ও ছাত্র সমন্বয়ক আবু সাঈদ নিহতের ঘটনা ভিডিও প্রকাশ পায়। ওই ছবি বা ভিডিও প্রকাশের পর গোট দেশে যেন ‘অগ্নিগর্ভ রূপ’ ধারণ করে গোটা দেশ।
পরবর্তীতে জুলাই মাস জুড়ে ইন্টারনেট বন্ধ, কারফিউ আর ছাত্রদের নানা কর্মসূচিতে ক্ষণে ক্ষণে ঘটনার মোড় পরিবর্তন হতে থাকে। একেরপর এক কারফিউ আর সাধারণ ছুটি বাড়িয়ে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করে সরকার। সরকারের ওই কারফিউয়ের পর শিক্ষার্থীদের কর্মসূচি অব্যাহত থাকে। প্রতিদিন বাড়তে থাকে নিহতের ঘটনা। লোমহর্ষক ওইসব ঘটনা দেশ বিদেশেনর মানুষের বিবেককে নাড়া দেয়। বিশেষ করে আবু সাঈদের শাহাদাতের কিছুক্ষণ আগে মীর মুগ্ধের ‘পানি লাগবে, পানি’-স্লোগানের আওয়াজ দেশপ্রেমিক সব শক্তিকে যেন এককাতারে এনে দেয়। অন্যদিকে বেপরোয়া সরকার ও আওয়ামী লীগ মিরয়া হয়ে মারনাস্ত্র দিয়ে হামলে পড়ে নিরীহ ছাত্র-জনতার ওপর। চারদিক থেকে অসংখ্য শহীদ হওয়ার খবর আসতে থাকে। পরিস্থিতি চরম আকবার ধারণ করে ৪ আগস্ট। এদিন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সঙ্গে সংঘর্ষে সারাদেশে ব্যাপক সংঘাতে শতাধিক মানুষের প্রাণহানি হয়। নিহতদের মধ্যে অন্তত ১৪ জন পুলিশ সদস্য এবং আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের ১৯ নেতাকর্মী। ওইদিন শাহবাগে ব্যাপক জনসমাগামের মধ্যে ‘মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচি ঘোষণা করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
৫ আগাস্ট বেলা ১১টার পর থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বানে ‘মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচিতে যোগ দিতে ঢাকামুখী হন বিপুল সংখ্যক ছাত্র-জনতা। নানা বাধা-বিপত্তি পেরিয়ে তারা গণভবন অভিমুখে রওনা দেন। যেকারণে পদত্যাগ করে সামরিক বিমানযোগে ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। সেদিন ঢাকার পথে পথে আনন্দ মিছিল ও বিজয়ের উল্লাস চলে। স্বৈরাচার পতনে নতুন ইতিহাস রচনা করেন ছাত্র-জনতা।
৬১ দিনের ওই রক্তক্ষয়ী ঘটনার সাক্ষী এখন দেশবাসী। সেসময় ইন্টারনেট বন্ধ ও প্রশাসনের কড়াকড়িতে অনেক ঘটনা সামনে না আসলেও এখন সেটি প্রযুক্তির কল্যাণে মানুষের হাতে হাতে। কী নির্মমভাবে নিরীহ ছাত্র-জনতা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের হাতে মানুষ জীবন দিয়েছেন তা এখন ইতিহাসের অংশ। অনেকের জীবনদানের ইতিহাস দেখে এখন শরীরের লোম শিউরে উঠে। মিছিলে আর কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া কেউ যেন জীবনের পরোয়া করেননি। তাদের চোখে মুখে স্বপ্ন ছিল স্বৈরাচারমুক্ত বাংলাদেশে গড়ার।
সরকার পতনের সাড়ে চার মাস পার হতে চললেও এখন পর্যন্ত আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় একজন নেতাও জাতির কাছে তাদের সংগঠিত হত্যাকাণ্ডের জন্যে ক্ষমা চাননি। দলটির নেতারা মাঝে-মধ্যে অনলাইনে প্রতিক্রিয়া জানালেও কৌশলে এ বিষয়টি এড়িয়ে যান। কয়েকদিন আগে দলটির কেন্দ্রীয় যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাসিম বলেছেন, ‘যদি’ আওয়ামী লীগ ভুল করে থাকে তবে জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে তাদের সমস্যা নেই। জুলাই-আগস্ট বিপ্লব সংগঠিত হয়েছে মাত্র কিছুদিন আগে সেখানে তার বিবৃতিতে ‘যদি’ শব্দ যুক্ত থাকার অর্থ হচ্ছে আওয়ামী লীগ সংগঠিত অপরাধের দায় নিচ্ছে না। এছাড়া একমাত্র নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশের জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা সরকার পতনের পরপরই একদিন ভিডিও বার্তায় বলেছিলেন, দেশবাসী আওয়ামী লীগের সব কর্মকাণ্ডে সন্তুষ্ট ছিল না। এজন্য সারাদেশে এমন বিক্ষোভ হয়ে থাকতে পারে।
এখন পর্যন্ত দলটির কেন্দ্রীয় নেতা থেকে শুরু করে ওয়ার্ড পর্যায় পর্যন্ত আওয়ামী লীগের কোনো নেতাকর্মীর মাঝে অনুশোচনা বা অনুতপ্ত হওয়ার কোনো প্রবণতা দেখা যায়নি। পক্ষান্তরে তারা আগেই ‘ভালো ছিলাম’ বলে মানুষের মোটিভ ভিন্নদিকে নেওয়ার চেষ্টা করছেন। এছাড়া দলটির নেতাকর্মীরা নিজেদেরকে অপরাধী ভাবা তো দূরের কথা ফের ভারতের সহযোগিতা শেখ হাসিনা রাজনীতিতে ফিরে আসছে বলে প্রপাগান্ডা ছড়াচ্ছেন। দেশকে অস্থিতিশীল করতে নানা ছকও কষে আসছেন। বিশেষ করে সংখ্যালঘু ইস্যুকে তারা কাজে লাগানোর চেষ্টা করছেন। আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের এই নির্লিপ্ততা এখন সর্বস্তরে আলোচিত।
জুলাই-আগস্টে আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্র নেতাদের নিয়ে গঠিত হয়েছে জাতীয় নাগরিক কমিটি। জাতীয় নাগিরক কমিটির সদস্য সচিব আখতার হোসেন দৈনিক ভোরের আকাশকে বলেন, গত ১৫ বছরের আওয়ামী লীগ দেশে গুম, খুন ও হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে। এসব অপরাধের বিষয়গুলো তারা স্বাভাবিকভাবে নিয়েছিল। তাই জুলাই বিপ্লবে মানুষ যেভাবে জীবন দিয়েছে সেখানে দেশের বেশির ভাগ মানুষের হৃদয় কাঁদলেও সেটি আওয়ামী লীগকে স্পর্শ করেনি। দলটি যতবারই ক্ষমতায় এসেছে একনায়কতন্ত্র কায়েম করেছে।
সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য জয়নাল আবেদীন শিশির দৈনিক ভোরের আকাশকে বলেন, ৬১ দিনের ঘটনাপ্রবাহে ২ হাজারের বেশি ছাত্র-জনতা জীবন দিয়েছেন। আর ৩০ হাজারের মতো মুক্তিকামী মানুষের অঙ্গহানি ঘটেছে। কীভাবে তৎকালীন সরকারের পেটোয়া বাহিনী মানুষ মেরেছে সেটি সবার কাছে পরিষ্কার। এতোকিছুর পরেও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের মাঝে কোনো অনুশোচনা নেই। থাকার কথাও নয়। কারণ, শুরু থেকেই এ দলটি খুনি। তারা এখন ভারতের সহযোগিতায় দুঃস্বপ্নে লিপ্ত। তিনি আওয়ামী লীগের সব অপরাধীর বিচার দাবি করেছেন।
জুলাই বিপ্লবে নেতৃত্বদানকারী বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক আব্দুল কাদের বলেন, শেখ হাসিনা যেভাবে মানুষ মেরেছে চোখে না দেখলে সেটি হয়তো অনেকে বিশ্বাস করতেন না। মানুষ মারার দৃশ্য এখন সবার হাতে হাতে। এরপরও সামান্যতম কোনো অপরাধবোধ কাজ করে না এই দলটির। দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করে তিনি বলেন, এখন ফের ভারতকে কাজে লাগিয়ে দেশটে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে। কিন্তু কোনো লাভ হবে না। কারণ, ছাত্র-জনতা এদেরকে আর দাঁড়াতে দেবে না।
যশোর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব ও দলটির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু বলেন, আওয়ামী লীগের ইতিহাসই হচ্ছে অপরাধ করা। সুতরাং দলটির কর্মীরা অপরাধ করে অনুতপ্ত হবে এটি কেন মনে করতে হবে। জন্মের পর থেকে যে অপরাধী তার কাছে অপরাধ কোনো বিষয় নয়।
যশোর জেলা জামায়াতের আমীর অধ্যাপক গোলাম রসুল দৈনিক ভোরের আকাশকে বলেন, স্বাধীনতাযুদ্ধের পর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে গণতন্ত্রকে হত্যা করে বাকশাল গঠন করেছিল। চারটি পত্রিকা রেখে বাকি সবগুলো বন্ধ করে দিয়ে মত প্রকাশের স্বাধীনতা হরণ করে। এ দলটি ক্ষমতায় আসলে রাষ্ট্রীয় সব প্রতিষ্ঠানকে নিজের মনে করে। অতীতেও দলটির সব কর্মকাণ্ড ছিল পুরোপুরি স্বৈরাতান্ত্রিক। গত ১৫ বছরে তারা দেশকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে এসেছে। মানুষ হত্যা তাদের কাছে কোনো ব্যাপার মনে হয়নি কখনো। সুতরাং তাদের মধ্যে অপরাধবোধ মনে হবে এটা ভাবার কোনো কারণ আছে বলে আমি মনে করি না। তিনি আওয়ামী লীগের সব অপরাধের সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন।
ভোরের আকাশ/রন