পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলার দেউলবাড়ী ইউনিয়নে গাওখালী বাজার থেকে ত্রিগ্রাম মাধ্যমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত ৭ কিলোমিটার দীর্ঘ সড়কের বিভিন্ন অংশ ভাঙাচোরা এবং কোথাও ইটের সলিং আবার কোথাও মাটির রাস্তা। দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না হওয়ায় রাস্তার উত্তরাংশে হাজরা বাড়ির সংলগ্ন অংশটি ফসলি জমি থেকে নেমে আসা পানির তীব্র স্রোতে সরু হয়ে গেছে। এর ফলে স্থানীয় বাসিন্দারা কাঠ দিয়ে পুল বানিয়ে চলাচল করতে বাধ্য হচ্ছে। এতে কয়েক হাজার মানুষ ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, জনবহুল এই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন চার গ্রামের মানুষসহ স্কুল-মাদরাসার শত শত শিক্ষার্থী যাতায়াত করে। রাস্তার পাশেই রয়েছে ৬০টি পরিবারের একটি আবাসন প্রকল্প। এছাড়াও প্রতিদিন প্রায় শতাধিক ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেল এই রাস্তায় চলাচল করে। ফলে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ চরমে পৌঁছেছে।
শিক্ষার্থীদের চরম দুর্ভোগ
বিশেষ করে শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ বেশি। রাস্তার ভাঙাচোরা অংশ দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে তাদের স্কুলে যেতে হয়। শিক্ষার্থীরা জানান, জোয়ারের সময় রাস্তার কিছু অংশে পানি উঠে কাদা হয়ে যায়। এই কাদার মধ্য দিয়ে হাঁটতে গিয়ে তাদের জামাকাপড় মাটি মেখে যায়, যা অত্যন্ত কষ্টসাধ্য। তারা দ্রুত রাস্তার সংস্কার দাবি করেন।
স্থানীয়দের বক্তব্য
স্থানীয় বাসিন্দা প্রদীপ হালদার জানান, বর্ষা এবং শীত মৌসুমে কাঠের পুলে শেওলা জমে পিচ্ছিল হয়ে যায়, যা চলাচলের ক্ষেত্রে আরও বেশি বিপদ তৈরি করে। বিশেষ করে মোটরসাইকেল যাত্রীরা এ সময় দুর্ঘটনার শিকার হন।
ইউপি সদস্য সাইফুল ইসলাম জানান, রাস্তার চলাচল অনুপযোগী হওয়ায় স্থানীয়দের সহায়তায় কাঠের পুল নির্মাণ করা হয়েছে। তবে এটি অস্থায়ী ব্যবস্থা, এবং রাস্তার স্থায়ী সংস্কারের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে জোর দাবি জানানো হয়েছে।
প্রশাসনের প্রতিশ্রুতি
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অরূপ রতন সিংহ জানান, রাস্তাটি সংস্কারের উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে। দ্রুত কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি আশ্বাস দিয়েছেন।
নাজিরপুরের বাসিন্দারা এখনই রাস্তার উন্নয়নের জন্য কার্যকর পদক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন, যাতে তাদের দীর্ঘদিনের দুর্ভোগ লাঘব হয়।
ভোরের আকাশ/রন