logo
আপডেট : ৯ জানুয়ারি, ২০২৫ ২৩:৪১
সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে
জমি দখলের অভিযোগ
উদ্ধারে সাত গ্রামের বৈঠক
দিরাই (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি

জমি দখলের অভিযোগ

সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে সাবেক জেলা পরিষদ সদস্য ও উপজেলা যুবলীগ নেতা রায়হান মিয়া এবং আ.লীগ নেতা সাবেক ইউপি সদস্য গৌরাঙ্গ দাস, খোকা দাস, নেপাল দাস, নিরঞ্জন দাস, রানু দাস ও চন্ডিপুর গ্রামের জাকারিয়ার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে।

বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে তাড়ল গ্রামের তাড়ল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে গ্রামের মুরব্বি সিরাজুল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সাত গ্রামের বৈঠকে প্রকাশ্যে এ অভিযোগ তোলা হয় এবং জমি উদ্ধারের করণীয় নিয়ে বিশদ আলোচনা করা হয়। এ সময় তাড়ল গ্রামসহ পার্শ্ববর্তী সাত গ্রামের শতাধিক লোক উপস্থিত ছিলেন। আইনুল হকের পরিচালনায় বৈঠকে বক্তব্য রাখেন লিটন হাসান চৌধুরী, নাজিমুদ্দিন, নুরে আলম চৌধুরী, সিদ্দিকুর রহমান, তফুজ্জল চৌধুরী ও একলিম উদ্দিন প্রমুখ।

জানাগেছে, তাড়ল মৌজার অন্তর্গত জে এল নং-১২৯ এর ১নং ও ২নং সীটে প্রায় ১৩৪ একর বোরো জমি রয়েছে, যা তাড়ল গ্রামের যৌথ মালিকানাধীন মৌরশী সম্পত্তি।

গ্রামের লোকজন জানান, তাড়ল গ্রামের যৌথ মালিকানাধীন জমির মধ্যে অন্তত ৭-৮ একর বোরো জমি জোরপূর্বক অবৈধভাবে দখল করে রেখেছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক ও সাবেক মেয়র মোশাররফ মিয়ার আপন ভাতিজা, সাবেক জেলা পরিষদ সদস্য, যুবলীগ নেতা ভূমিদস্যু রায়হান মিয়া এবং আ.লীগ নেতা আছাব উদ্দিনসহ তার সন্ত্রাসী বাহিনী। বিগত আওয়ামী সরকারের আমলে সাবেক মেয়রের আশীর্বাদে অবৈধভাবেই যুবলীগ নেতা রায়হান ও তার বাহিনী জমি দখল করে নেয়।

এছাড়াও আ.লীগ নেতা সাবেক ইউপি সদস্য গৌরাঙ্গ দাস, খোকা দাস, নেপাল দাস, নিরঞ্জন দাস গংরা আমাদের মালিকানাধীন জমি অবৈধভাবে দখল করে রেখেছে। জমির মালিক তাড়ল গ্রামের লোকজন জানান, আমাদের জমি উদ্ধার করতে গেলে আওয়ামী রায়হানের সন্ত্রাসী বাহিনী অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হুমকি দেয়।

আওয়ামী সরকারের আমলে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের দ্বারস্থ হলেও কোনো প্রতিকার পাওয়া যায়নি বলে তারা অভিযোগ করেন।

সাবেক জেলা পরিষদ সদস্য যুবলীগ নেতা রায়হান মিয়া বলেন, "আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তোলা হচ্ছে। আমি কারো জমি দখল করিনি। কিছু জমি নিয়ে ঝামেলা থাকলেও উভয় গ্রামের লোকজন দায়িত্ব নিয়েছেন।"

চন্ডিপুর গ্রামের জাকারিয়া মিয়া বলেন, "আমি কারো সম্পত্তি দখল করিনি। আমি তাড়ল গ্রামের কয়েকজন মালিকের কাছ থেকে ক্রয় করেছি যার দলিল আমার কাছে রয়েছে।"

 

ভোরের আকাশ/রন