logo
আপডেট : ১১ জানুয়ারি, ২০২৫ ১৭:৫৭
চট্টগ্রাম
ইপিজেডে শ্রমিকদের সংঘর্ষ
আহত শতাধিক
চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি

ইপিজেডে শ্রমিকদের সংঘর্ষ

তুচ্ছ ঘটনার জেরে দুই পোশাক কারখানার শ্রমিকদের মধ্যে সংঘর্ষে রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে চট্টগ্রাম ইপিজেড। এ ঘটনায় প্রায় উভয় কারখানার শতাধিক শ্রমিক আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তবে সবার পরিচয় জানা যায়নি।

শনিবার (১১ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শ্রমিকদের মধ্যে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। এরপর বেলা ১২টা পর্যন্ত চলে এই সংঘর্ষ। সংঘর্ষের পর থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে সেখানে।

জানা যায়, সংঘর্ষে আহতরা চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, বেপজা হাসপাতালসহ বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।

এদিকে, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে যৌথবাহিনী। এ সময় কারখানা দুটি ৩ দিনের ছুটি ঘোষণা করা হয়।

ইপিজেড সূত্রে জানা গেছে, জেএমএস পোশাক কারখানার শ্রমিকরা বেতন বাড়ানোর দাবিতে গত বুধবার বিক্ষোভ করেন। এ সময় ইপিজেড এলাকার ৬ নম্বর সেক্টরের একটি ফটক আটকে দেওয়া হয়। জেএমএস কারখানার পাশেই মেরিমকো লিমিটেড কারখানা। মেরিমকোর শ্রমিকদের তাদের সঙ্গে আন্দোলনে যোগ দিতে বলে জেএমএসের শ্রমিকরা। এ নিয়ে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়। এর জেরে আজ (শনিবার) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে দুই কারখানার শ্রমিকরা সংঘর্ষে জড়ায়। এ সময় ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। এতে কারখানা দুটির শ্রমিকেরা নাক, মাথা, হাতসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে জখম হয়।

এছাড়া, দুই কারখানায় ভাঙচুর চালিয়ে লন্ডভন্ড করা হয় বিভিন্ন ফ্লোর। পরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

এদিকে, সংঘর্ষের ঘটনায় কারখানা দুটির শ্রমিকেরা একে অপরের ওপর দোষ চাপিয়েছে। তবে শ্রমিকদের এক পক্ষের দাবি, বহিরাগতরাও সেখানে ঢুকেছে।

এ ঘটনার বিষয়ে দুই কারখানা কর্তৃপক্ষের কারো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

চট্টগ্রাম রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলের নির্বাহী পরিচালক মো. আবদুস সোবহান বলেন, "দুই কারখানার শ্রমিকদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। মালিকপক্ষ তাদের বুঝিয়েছে। পরিস্থিতি এখন শান্ত। দ্রুত সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া হবে।"

নৌবাহিনীর কমান্ডার মনিরুল ইসলাম বলেন, "শ্রমিকদের মধ্যে ভুল বুঝাবুঝির কারণে এ ঘটনা ঘটেছে। এতে ১০০ জনের বেশি শ্রমিক আহত হয়েছে। যৌথ আহতদের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বেপজা ও কারখানা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে সমস্যা সমাধান করা হবে।"

চট্টগ্রাম টাস্কফোর্স-০৩ এর মেজর আরেফীন কবির বলেন, "পরিস্থিতি নিরসনে কারখানা দুটি আগামী ৩ দিন বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। পরবর্তীতে যাতে কোনো ধরনের উদ্ভূত পরিস্থিতি তৈরি না হয়, সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখা হচ্ছে।"

ইপিজেড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) মোহাম্মদ আখতারুজ্জামান বলেন, "দুই কারখানার শ্রমিকদের মধ্যে তর্কের জেরে এ সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। এতে অনেকে আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ৩০ জনকে চমেক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।"

 

ভোরের আকাশ/রন