logo
আপডেট : ১৪ জানুয়ারি, ২০২৫ ১৬:২৭
সিরাজগঞ্জে
অস্ত্র মামলায় ৪ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি

অস্ত্র মামলায় ৪ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে অস্ত্র মামলায় ৪ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। আজ মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) দুপুরে সিরাজগঞ্জের স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল-৪ (যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ ১ম আদালত)-এর বিচারক সুপ্রিয়া রহমান এ রায় প্রদান করেন। সিরাজগঞ্জের যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এ.পি.পি) মোঃ হাদীউজ্জামান সেখ (হাদী) এতথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, ১৮৭৮ সালের অস্ত্র আইনের ১৯-A ধারায় দায়ের করা মামলায় তাদেরকে এই রায় প্রদান করা হয়। আসামিরা পলাতক রয়েছেন। দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার পোতাজিয়া গ্রামের মৃত ওসমান ফকির সোনাউল্লাহর ছেলে মোঃ এরশাদ আলী, পাবনা জেলার অরেঙ্গাবাজ গ্রামের মৃত আকবর শেখের ছেলে মোঃ নজরুল, সুজানগর থানার নয়নামতি গ্রামের মৃত নেছার উদ্দিনের ছেলে মোঃ আবুল হাসেম এবং পাবনা জেলার জয়গ্রামের মোঃ নজরুল ইসলামের ছেলে মোঃ হাসান আলী প্রামানিক।

মামলার সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি সকালে শাহজাদপুরের সাজেদা ফাউন্ডেশনের ফিল্ড অফিসার মোঃ আশরাফুল ইসলাম অফিস থেকে বের হয়ে উপজেলার বাড়াবিল গ্রামের কিস্তির টাকা উত্তোলনের উদ্দেশ্যে বের হন। বিভিন্ন ব্যক্তির নিকট থেকে কিস্তির ১ লক্ষ ৫৬ হাজার ৬০০ টাকা উত্তোলন করে বেলা সোয়া ১২টার দিকে বাড়াবিল গ্রামের বড় ব্রিজের উত্তর পার্শ্বে রাস্তার উপর অটোভ্যান রিকশার জন্য অপেক্ষা করছিলেন। এ সময় আসামিরা তিনটি মোটরসাইকেলযোগে এসে ফিল্ড অফিসার মোঃ আশরাফুল ইসলামকে ঘিরে ধরে। তাদের হাতে থাকা পিস্তল মাথায় ঠেকিয়ে এবং শার্টারগান বুকে ঠেকিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে তারা তার প্যান্টের পকেটে থাকা কিস্তির নগদ ১ লক্ষ ৫৬ হাজার ৬০০ টাকা ছিনিয়ে নেয়। এ সময় আশরাফুল ইসলামের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে আসামিদের আটক করে গণপিটুনি দেয়। খবর পেয়ে শাহজাদপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক কে.এম রাকিবুল হুদা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আসামিদের হেফাজতে নেন এবং তাদের বিরুদ্ধে ১৮৭৮ সালের অস্ত্র আইনের ১৯-A ধারায় মামলা দায়ের করেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষ অভিযোগ প্রমাণের জন্য ১০ জন সাক্ষী উপস্থাপন করেন। দীর্ঘ সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় মঙ্গলবার দুপুরে আদালতের বিচারক এই রায় ঘোষণা করেন। রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন পাবলিক প্রসিকিউটর (এ.পি.পি) মোঃ হাদীউজ্জামান সেখ (হাদী) এবং আসামিপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট মোঃ আব্দুর রাজ্জাক (আতা)।

 

ভোরের আকাশ/রন