logo
আপডেট : ১৭ জানুয়ারি, ২০২৫ ১৭:৪৯
ব্রাহ্মণবাড়িয়া
জেলা বিএনপির সম্মেলন পুনরায় স্থগিত
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি

জেলা বিএনপির সম্মেলন পুনরায় স্থগিত

বামে। সর্বশেষ সম্মেলন পিছানোর বিজ্ঞপ্তি, ডানে। বিএনপির দলীয় পতাকা - ভোরের আকাশ

প্রায় এক দশক পর অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির সম্মেলনের তারিখ আবারো পেছানো হলো। এবার অনিবার্য কারণবশত সম্মেলন স্থগিত করার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। শনিবার (১৮ জানুয়ারি) এই সম্মেলন হওয়ার কথা ছিল। জেলা বিএনপির নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান নির্বাচন কমিশনার অ্যাড. আ জ ম মোরশেদ আল মামুন লিটন এক বিজ্ঞপ্তিতে জানান, পূর্ব ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী ১৮ জানুয়ারি সম্মেলন হচ্ছে না।

বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সম্মেলনের নতুন তারিখ (২০ জানুয়ারি) নির্ধারণ করা হবে। এর আগে ২৬ ডিসেম্বর, সম্মেলনের দু’দিন আগে, জেলা বিএনপির সদস্য সচিব এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করেন যে, ভোটারদের অনুরোধে এবং অধিকতর প্রস্তুতির লক্ষ্যে ২৮ ডিসেম্বরের পরিবর্তে ১৮ জানুয়ারি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।

সম্মেলন স্থগিত হওয়া নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে অস্তিত্বের লড়াই চলছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। পুনরায় সম্মেলন পিছিয়ে যাওয়ায় আয়োজনকারী পক্ষ কিছুটা বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়েছে। অন্যদিকে সম্মেলন প্রতিহতের ডাক দিয়ে দুই নেতাকে শোকজ করার ঘটনায় প্রতিপক্ষ আরও অস্থির হয়ে উঠেছে। বৃহস্পতিবার আয়োজিত প্রতিপক্ষের এক সমাবেশে একাধিক সাবেক এমপিসহ সিনিয়র নেতারা উপস্থিত না থাকায় তারাও বেকায়দায় পড়েছেন।

দলীয় নেতা-কর্মীরা জানান, প্রথমে ২৮ ডিসেম্বর সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা করা হয়। পরে তা পিছিয়ে ১৮ জানুয়ারি নির্ধারণ করা হয়। স্বচ্ছ ভোটার তালিকা প্রকাশ ও সম্মেলন পেছানোর দাবিতে এক পক্ষের দাবি মেনে নিয়ে নতুন তারিখ ঘোষণা করা হয়। তবে নতুন তারিখ ঘোষণার পরও একটি পক্ষ আবারো একই দাবি তুলেছে। অভিযোগ করা হচ্ছে, ভোটার তালিকা প্রণয়নে ত্যাগীদের মূল্যায়ন করা হয়নি।

জানা গেছে, কমিটি ও নেতৃত্ব নিয়ে বিরোধের জের ধরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপি দু’ভাগে বিভক্ত। জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র হাফিজুর রহমান মোল্লা কচি এবং সাবেক সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক খোকনের নেতৃত্বে বিএনপির একটি অংশ রয়েছে। তাঁরা দুজনেই ৩২ সদস্যের জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য। অন্যদিকে আহবায়ক আবদুল মান্নান ও সদস্য সচিব সিরাজুল ইসলামের নেতৃত্বে বিএনপির আরেক অংশ রয়েছে। প্রায় দুই বছর ধরে উভয় পক্ষই পৃথকভাবে দলীয় কর্মসূচি পালন করছে।

 

ভোরের আকাশ/রন