নব্বই দশকের শুরুর দিকে চালু হওয়া বাংলা দৈনিক সংবাদপত্র ‘ভোরের কাগজ’ প্রকাশনা বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। সোমবার (২০ জানুয়ারি) রাজধানীর মালিবাগে প্রধান কার্যালয়ের ফটকে টাঙানো এক নোটিশে বলা হয়, “ভোরের কাগজ কর্তৃপক্ষ বাংলাদেশ শ্রম আইন-২০০৬ এর ১২ ধারা অনুযায়ী মালিকের নিয়ন্ত্রণ বহির্ভূত কারণে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান কার্যালয় বন্ধের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন যা ২০-০১-২০২৫ থেকে কার্যকর হবে।”

এই ঘোষণার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পত্রিকাটির নির্বাহী সম্পাদক এ কে সরকার। তিনি বলেন, “যা শুনেছেন তা ঠিক আছে। এ বিষয়ে পরে বিস্তারিত বলব।”

এদিকে, পত্রিকার প্রধান প্রতিবেদক খোন্দকার কাওসার জানান, অষ্টম ওয়েজ বোর্ডের বেতন স্কেলের সুযোগ-সুবিধা এবং বকেয়া বেতনসহ সার্ভিস বেনিফিটের দাবিতে গত কয়েকদিন ধরে আন্দোলন করে আসছিলেন সংবাদকর্মীরা। “আমরা দীর্ঘ এক যুগের বেশি সময় বৈষম্যের শিকার। প্রতিষ্ঠানটি বন্ধের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। আমরা সাংবাদিক-কর্মচারীরা দ্রুত কর্মসূচি ঘোষণা করব।” তিনি আরও জানান, মালিকপক্ষ পত্রিকা চালানোর জন্য ৩০-৩৫ জন রেখে বাকিদের ছাঁটাই করবে বলে খবর পেয়েছেন।

কাওসার বলেন, “ছাঁটাই করতে হলে ওয়েজ বোর্ডের বেতন স্কেলের সকল সুযোগ-সুবিধাসহ সমস্ত বকেয়া বেতন ও সার্ভিস বেনিফিট দিতে হবে। আর যদি ছাঁটাই করা না হয়, তাহলে অবিলম্বে অষ্টম ওয়েজ বোর্ড বাস্তবায়ন করতে হবে।”

১৯৯২ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি ‘মুক্তচিন্তার দৈনিক’ স্লোগান নিয়ে যাত্রা শুরু করা ভোরের কাগজের এই ঘোষণা সংবাদমাধ্যমে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। উল্লেখ্য, পত্রিকার সম্পাদক শ্যামল দত্ত ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ময়মনসিংহের ধোবাউড়া সীমান্ত থেকে আটক হওয়ার পর থেকে কারাগারে রয়েছেন।