গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পরই রাজনীতির নিয়ামক হয়ে ওঠেন ছাত্ররা। অন্তর্বর্তী সরকারেও তাদের প্রতিনিধি রয়েছেন। এই সরকার তাদের ‘নিয়োগ করা’ বলে দাবি করেছিলেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি এও বলেছিলেন যে ছাত্ররা যতদিন চাইবে তিনি ততদিন থাকবেন। এর কিছুদিন পর ছাত্ররা নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করছেন বলে গুঞ্জন ওঠে। দেশের অন্যতম বড় দল বিএনপি বিষয়টি প্রকাশ্যে এনেছে। দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, দল গঠন করা গণতান্ত্রিক অধিকার। তবে তাদের (ছাত্রদের) যারা সরকারে আছেন; তাদের সেখান থেকে সরে আসা উচিত। বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। তিনি বলেন, উপদেষ্টাদের কেউ দল করলে সরকার থেকে বের হয়ে গিয়েই করবেন। অন্যদিকে সরকারের নিরপেক্ষতা নিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর যে প্রশ্ন তুলেছেন, তার জবাব দিয়েছেন সরকারের তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম। তিনি বলেছেন, মির্জা ফখরুল আরেকটি ১/১১ সরকারের প্রস্তাবনা তৈরি করছেন। এদিকে, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের বয়স ২১ বছর করার প্রস্তাব করেছে সংবিধান সংস্কারবিষয়ক কমিশন। তরুণ-তরুণীদের সংসদে যাওয়ার পথ সুগম করতেই এই প্রস্তাব করা হয়েছে জানিয়েছেন কমিশন সদস্যরা।
এক প্রশ্নে বিবিসি বাংলাকে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, এটা (ছাত্রদের দল গঠন) পত্র-পত্রিকায় আসছে এবং তারা বলেওছে। আরেক প্রশ্নে তিনি বলেন, করতেই পারে। এটা তো তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার এবং সেক্ষেত্রে আমরা তাদেরকে স্বাগত জানাবো। কিন্তু একটা কথা অলরেডি উঠে আসছে মিডিয়াতে। কিংস পার্টি বলে একটা কথা উঠছে। আমি মনে করি এখান থেকে তাদের বেরিয়ে আসা উচিত। অর্থ্যাৎ সরকারের কোনো সাহায্য না নিয়ে তারা যদি দল গঠন করতে চায়, সেটা তাদের জন্যই ভালো হবে। তিনি বলেন, তারা নিজেরাই দল গঠন করবে? কেন, অন্যান্য দলগুলো কীভাবে দল গঠন করেছে? সরকারে তাদের যারা আছেন, তাদের সেখান থেকে সরে যাওয়া উচিত? উচিত অবশ্যই এবং সরকারের কোনো সুবিধাই তাদের নেওয়া উচিত না। আপনি কি মনে করেন যে, সরকারের সুবিধা নিয়ে এখন তারা এটা করছে?
বিএনপি মহাসচিব বলেন, দল তো তারা গঠন করছে, তাদের প্রতিনিধিরা সরকারে আছে। দ্যাটস এনাফ। হেলিকপ্টারে করে গিয়ে আপনার শীতবস্ত্র দিচ্ছে বিভিন্ন এলাকাতে। আপনার অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের ওপরে, জেনারেল অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের ওপরে নানা রকম প্রভাব তো তারা বিস্তার করছেই।
এদিকে, গতকাল এক আলোচনা সভায় সরকারের নিরপেক্ষতার প্রসঙ্গ তুলে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘আমরা তো এ-ও শুনছি, সরকারের ভেতরে থেকে কেউ কেউ রাজনৈতিক দল গঠনের চেষ্টা করছেন। তাহলে তো সরকারের নিরপেক্ষতা নিয়ে জনগণ প্রশ্ন করতেই পারে।’ অন্তর্বর্তী সরকার কোনো ধরনের ‘মাস্টারপ্ল্যানের’ মধ্যে রয়েছে কি না, সেই প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। একই সঙ্গে ‘নির্বাচন নিয়ে সরকারের এত গড়িমসি কেন’- এমন প্রশ্নও তুলেছেন তিনি। বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘যখন শুনি আগে সংস্কার পরে নির্বাচন-এ যেন শেখ হাসিনার সেই কথারই প্রতিধ্বনি, আগে উন্নয়ন পরে গণতন্ত্র। এ ধরনের বক্তব্য অন্তর্বর্তী সরকারের কোনো উপদেষ্টার কাছ থেকে শোভা পায় না।’ এই বিএনপি নেতা বলেন, যদি এসব কথা আসে, তাহলে গণতন্ত্রের জন্য আন্দোলন করা অন্যান্য রাজনৈতিক দল মনে করবে, অন্তর্বর্তী সরকার কোনো ধরনের একটা মাস্টারপ্ল্যানের মধ্যে রয়েছে। তিনি বলেন, একটি মুক্ত পরিবেশে বিশুদ্ধ বাতাস গ্রহণ করতে বিগত ১৬ বছরে এত আত্মদান, এত রক্ত ঝরেছে। তার ফলে ৫ আগস্ট আমরা পৃথিবী কাঁপানো বিজয় দেখেছি। এই আন্দোলনের পর একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। সব গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল সেই সরকারকে সমর্থন দিয়েছে। জনগণের প্রত্যাশা, এই সরকার নিরপেক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করবে, গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করতে পদক্ষেপ নেবে। রিজভী বলেন, যে গণতন্ত্র ও অবাধ নির্বাচনের জন্য ১৬ বছর ধরে এ দেশের মানুষ অপেক্ষা করেছে, লড়াই করেছে, জীবন উৎসর্গ করেছে, সেই নির্বাচন নিয়ে এত দ্বিধা কেন, এত গড়িমসি কেন। এটাই জনগণের জিজ্ঞাসা। তিনি বলেন, পরিসংখ্যান ব্যুরো সরকারি সংস্থা। তাদের দিয়ে জরিপ করাচ্ছেন। তাতে নাকি জনগণ বলছে, আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন, পরে জাতীয় নির্বাচন। আপনি যদি সরকারি সংস্থা দিয়ে জরিপ করেন, তারা তো সরকারের মুখ চেয়ে কথা বলবে। কিন্তু আপামর জনসাধারণের সঙ্গে কথা বলেন, তারা কী বলে দেখেন। আপনাদের আচরণ নিরপেক্ষ না হলে তো সরকারের নিরপেক্ষতা নিয়ে জনগণ প্রশ্ন তুলবেই।
যা বলছেন যুব উপদেষ্টা : নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে এক স্ট্যাটাসে অন্তর্বর্তী সরকারের স্থানীয় সরকার এবং যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া লিখেছেন, উপদেষ্টাদের কেউ রাজনীতি করলে অন্তর্বর্তী সরকার থেকে বের হয়েই করবে। একই সঙ্গে রাজনৈতিক দলেরও সরকারের কাজে হস্তক্ষেপ করা অনুচিত। বিভিন্ন সরকারি ও সাংবিধানিক গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগে তদবির বা চাপ প্রয়োগ করা অনুচিত। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তিনি এসব কথা লেখেন। তিনি লিখেছেন, সরকারে থেকে রাজনৈতিক দলের সাথে কোনো প্রকার সংশ্লিষ্টতার বিরুদ্ধে আমরাও। উপদেষ্টাদের কেউ রাজনীতি করলে সরকার থেকে বের হয়েই করবে। একই সঙ্গে রাজনৈতিক দলেরও সরকারের কাজে হস্তক্ষেপ করা অনুচিত। বিভিন্ন সরকারি ও সাংবিধানিক গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগে তদবির বা চাপ প্রয়োগ করা অনুচিত।’ এর আগে নাহিদ ইসলামের পোস্টটিও শেয়ার করেন আসিফ মাহমুদ। নাহিদের স্ট্যাটাস শেয়ার করার সময় ক্যাপশনে আসিফ মাহমুদ লেখেন, ‘প্রফেশনালিজম (পেশাদারত্ব) রক্ষার্থে সরকারে থেকে আরও অনেক কিছুই বলতে পারি না। তবে জনগণকে অন্ধকারে রাখাটাও অনুচিত।’
মির্জা ফখরুলকে যে জবাব দিলেন নাহিদ : অন্তর্বর্তী সরকারের ‘নিরপেক্ষতা’ নিয়ে প্রশ্ন তোলা বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামের ‘নিরপেক্ষ’ সরকারের দাবি আরেকটা এক এগারো সরকার গঠনের ইঙ্গিত বহন করে বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম। গত বৃহস্পতিবার বিকালে ফেসবুকে পোস্টে তিনি এমন মন্তব্য করেন। মির্জা ফখরুলের বক্তব্যের কয়েক ঘণ্টা পর এর প্রতিক্রিয়ায় তিনি লেখেন, ছাত্ররাই এই সরকারের এবং বিদ্যমান বাস্তবতার একমাত্র ফ্যাক্টর যেটা ১/১১ এর সরকার থেকে বর্তমান সরকারকে সম্পূর্ণভাবে আলাদা করে। বিএনপি কয়েকদিন আগে মাইনাস টু এর আলোচনা করলেও এখন ক্ষমতায় যাওয়ার পথ সুগম করার জন্য নিরপেক্ষ সরকারের নামে আরেকটি ১/১১ সরকারের প্রস্তাবনা করছে। এ ধরনের পরিকল্পনা ‘গণতন্ত্র ও জাতীয় স্বার্থের’ বিরুদ্ধে যাবে এবং ছাত্র-জনতা কোনোভাবেই তা মেনে নেবে না বলে তুলে ধরে তিনি বলেন, ‘এবং আমি মনে করি এটা বিএনপির বিরুদ্ধেও ষড়যন্ত্র।’ এ সরকারের সুবিধা ‘নানান পক্ষ ভোগ’ করছে মন্তব্য করে তিনি লেখেন, সরকার গঠনের দুদিন আগে ৬ আগস্ট নিয়োগ হওয়া অ্যাটর্নি জেনারেল ও পুলিশের আগের আইজি ’মূলত বিএনপির লোক’।
গত বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক অনুষ্ঠানে অন্তর্বর্তী সরকারের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন মির্জা ফখরুল। আগের দিন বুধবার বিবিসি বাংলাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, সরকার নিরপেক্ষ থাকতে না পারলে নিরপেক্ষ সরকারের প্রয়োজন হবে। এ কথার জের টেনে বৃহস্পতিবারের অনুষ্ঠানে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমি এ কথা গতকালও বলেছি, আমাকে একজন সাংবাদিক ভাই এ নিয়ে প্রশ্ন করেছেন। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যদি নিরপেক্ষ না থাকে তাহলে একটা নিরপেক্ষ সরকার দরকার হবে নির্বাচনের সময়ে।’ তিনি বলেন, ‘আমি কথাটা বলছি যে, এর কারণ আছে। কারণ হচ্ছে, আমরা দেখছি যে, বেশ কিছু বিষয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নিরপেক্ষতা পালন করতে পারছেন না।’
এমন বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় উপদেষ্টা নাহিদ লেখেন, ‘১/১১ এর বন্দোবস্ত থেকেই আওয়ামী ফ্যাসিজমের উত্থান ঘটেছিল। বিএনপি মহাসচিবের বক্তব্যে সামনে আরেকটা ১/১১ সরকার, সংসদীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা ও নতজানু পররাষ্ট্রনীতির ধারাবাহিকতা এবং গুম-খুন ও জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচার না হওয়ার আলামত রয়েছে। আমাদের আপোষকামী অনেক জাতীয় নেতারা ক্যান্টনমেন্টে জনগণ কে বাদ দিয়ে নতুন সরকার করার পরিকল্পনায় ব্যস্ত ছিলেন (অনেকে ছাত্রদের কথাও বলেছেন সেখানে)। আমরা ৩ আগস্ট থেকে বলে আসছি আমরা কোনো প্রকারের সেনা শাসন বা জরুরি অবস্থা মেনে নিবো না। আমাদেরকে বারবার ক্যান্টেন্টমেন্টে যেতে বলা হলেও আমরা যেতে অস্বীকার করি। শেষ পর্যন্ত বঙ্গভবনে আলোচনা ও বার্গেনিং এর মাধ্যমে ড. ইউনূসকে প্রধান করে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের সিদ্ধান্ত হয়।’ তিনি বলেন, ‘ছাত্ররা ফ্যাসিবাদবিরোধী রাজনৈতিক দল ও নাগরিক সমাজের সমন্বয়ে একটা জাতীয় সরকার চেয়েছিলেন। সেটা হলে ছাত্রদের হয়তো সরকারে আসার প্রয়োজন হতো না। জাতীয় সরকার অনেকদিন স্থায়ী হবে এই বিবেচনায় বিএনপি জাতীয় সরকারে রাজি হয় নাই। কিন্তু অভ্যুত্থানের পরেই দেশে জাতীয় সরকারের প্রয়োজনীয়তা সবচেয়ে বেশি ছিল। অথচ বিএনপি জাতীয় সরকারের কথা বলতেছে সামনের নির্বাচনের পরে।’
নাহিদ ইসলাম বলেন, ছাত্রদের কোনো দলীয় দাবি না হলেও রাষ্ট্রপতির পরিবর্তন, সংস্কার, নতুন সংবিধান, জুলাই ঘোষণা সব ইস্যুতেই বিএনপি বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। দেশের স্থিতিশীলতা, বৃহত্তর স্বার্থ এবং জাতীয় ঐক্য ধরে রাখার জন্য ছাত্ররা বারবার তাদের অবস্থান থেকে সরে এসেছে।
কিন্তু এর মানে এই না যে গণতন্ত্রবিরোধী ও অভ্যুত্থানের আকাক্সক্ষা বিরোধী কোনো পরিকল্পনা হলে সেখানে আমরা বিন্দু পরিমান ছাড় দিবো।
আওয়ামী লীগের বিষয়ে ভারতের প্রধান দলগুলোর মধ্যে ঐক্য হয়েছে। এত হত্যা ও অপরাধের পরেও আওয়ামী লীগের বিষয়ে বাংলাদেশে কোনো ঐক্য গঠন করতে না পারায় আক্ষেপ জানিয়ে নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘হায় এই ‘জাতীয় ঐক্য’ লইয়া আমরা কি রাষ্ট্র বানাবো!’
তার অভিযোগ, এ দেশের বড় বড় লোকেরা অল্পমূল্যে বিক্রি হওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকে। বাংলাদেশকে দুর্বল করা সহজ কারণ বাংলাদেশকে সহজেই বিভাজিত করা যায়। আমি মনে করি না সমগ্র বিএনপি এই অবস্থান গ্রহণ করে। বরং বিএনপির কর্মী সমর্থকদের বড় অংশই অভ্যুত্থানের আকাক্সক্ষার বাস্তবায়ন চায়। বিএনপির দেশপ্রেমিক ও ত্যাগী নেতৃত্বকে আহ্বান করব, ছাত্র জনতার অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে না গিয়ে ছাত্র-জনতার সাথে বৃহত্তর ঐক্য ও সংহতির পথ বেছে নিন।’
সংসদেও তরুণদের প্রতিনিধিত্ব বাড়ানোর সুপারিশ : জাতীয় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার ন্যূনতম বয়স ২৫ বছর থেকে কমিয়ে ২১ বছর করার সুপারিশ করেছে সংবিধান সংস্কার কমিশন। এই সুপারিশ বাস্তবায়িত হলে ছাত্র থাকা অবস্থায় নির্বাচনে প্রার্থী হয়ে জাতীয় সংসদে জনগণের প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ তৈরি হবে তরুণ-তরুণীদের। সংবিধান সংস্কার কমিশনের সুপারিশে তরুণদের জন্য আরও সুখবর রয়েছে। প্রস্তাব অনুযায়ী, সংসদের যেসব প্রতিনিধি সরাসরি জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে আসবেন, সেসব প্রার্থী করার ক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলগুলোকে মোট আসনের ন্যূনতম ১০ শতাংশ তরুণ-তরুণীদের মধ্য থেকে মনোনীত করতে হবে। অধ্যাপক আলী রীয়াজের নেতৃত্বাধীন সংবিধান সংস্কার কমিশন ১৫ জানুয়ারি প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে তাদের সংস্কারের সুপারিশসংবলিত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। সেই প্রতিবেদনে এসব সুপারিশ রয়েছে।
সংস্কার কমিশন আইনসভা দ্বিকক্ষবিশিষ্ট করার প্রস্তাব করেছে। এর মধ্যে নিম্নকক্ষের ৩০০ জনকে একক নির্বাচনী এলাকায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে আসতে হবে। আর নিম্নকক্ষের ১০০ জন নারী সদস্য সারা দেশের সব জেলা থেকে নির্ধারিত ১০০ নির্বাচনি এলাকা থেকে কেবল নারী প্রার্থীদের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতার মাধ্যমে সরাসরি ভোটে নির্বাচিত হবেন। নিম্নকক্ষে দলগুলোর পাওয়া আসনের ভিত্তিতে তাদের মধ্যে উচ্চকক্ষের আসন বণ্টন হবে। এই সুপারিশ বাস্তবায়িত হলে নিম্নকক্ষের ৪০০ আসনের মধ্যে অন্তত ৪০টিতে তরুণ-তরুণীদের দেখা যাবে।
ভোরের আকাশ/মি