logo
আপডেট : ২৯ জানুয়ারি, ২০২৫ ১০:২৩
দুদিন ধরে ট্রেন চলাচল বন্ধ
চরম বিড়ম্বনায় যাত্রীরা
শিপংকর শীল

দুদিন ধরে ট্রেন চলাচল বন্ধ

দুদিন ধরে অব্যাহত রয়েছে রেলওয়ের রানিং স্টাফদের কর্মবিরতি। গতকাল মঙ্গলবারও (২৮ জানুয়ারি) হয়নি সমাধান। সমাধান ছাড়াই রেলের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক থেকে বেরিয়ে গেলেন রানিং স্টাফরা। সারাদেশে বন্ধ রয়েছে ট্রেন চলাচল। চরম বিড়ম্বনায় পড়েছে যাত্রীরা। গতকাল মঙ্গলবার সকালেও রাজধানীর কমলাপুর স্টেশনে ট্রেনের অপেক্ষায় অনেক যাত্রীকে বসে থাকতে দেখা গেছে। ট্রেনের খবর জানতে কমলাপুরে গেছেন অনেকে। ট্রেন চলবে না জেনে অনেকেই স্টেশন ছেড়ে চলে যান। তবে বয়স্ক ও নারীদের স্টেশনেই অপেক্ষা করতে দেখা গেছে। অনেকে বিকল্প পথে যাত্রা শুরু করেছেন। কিন্তু ট্রেন বন্ধের সুযোগে বাড়তি বাসভাড়া আদায়ের অভিযোগ উঠেছে।

ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকায় যাত্রীদুর্ভোগের সীমা নেই। গতকাল মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) সকালে কমলাপুর স্টেশনে গিয়ে দেখা গেছে, শত শত যাত্রী ট্রেনের অপেক্ষায় রয়েছেন। গত সোমবার (২৭ জানুয়ারি) রাত পৌনে ১টায় পঞ্চগড় এক্সপ্রেস ছেড়ে যাওয়ার পর আর কোনো ট্রেন যাত্রা করেনি। আগে থেকেই টিকিট কাটায় এবং ট্রেন চলাচল বন্ধের খবর না জানায় যাত্রীরা স্টেশনে আসেন। বাংলাদেশ রেলওয়ে প্রতিদিন ১০০টিরও বেশি আন্তঃনগর ট্রেনসহ ৩৫০টিরও বেশি যাত্রীবাহী ট্রেন পরিচালনা করে।

কমলাপুর স্টেশন থেকে খুলনার যাত্রী আব্বাস আলী ভোরের আকাশকে বলেন, ‘আগে থেকেই অনলাইনে টিকিট কেটে রেখেছিলাম। মধ্য রাত থেকে যে ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকবে এ খবর জানতাম না। রেল কর্তৃপক্ষ এ ধরনের কোনো বার্তা আমাদের জানায়নি। শিডিউল অনুযায়ী ট্রেন না চললে মোবাইলে এসএমএস পাঠিয়ে বিষয়টি জানানো উচিত ছিল। আবার টাকা কীভাবে ফেরত পাবো সেটাও জানি না।’

জুলেখা বেগম তার মাকে নিয়ে স্টেশনে ট্রেনের অপেক্ষায় আছেন। তারা যাবেন পঞ্চগড়। তিনি ভোরের আকাশকে বলেন, ‘মা ক্যান্সারের রোগী। ঢাকায় এসেছিলাম চিকিৎসার জন্য। ট্রেনের যাত্রায় কষ্ট কম হয়। কিন্তু এখন তো আরো বেশি ভোগান্তিতে পড়তে হলো। সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে সবাই দাবি আদায় করতে চায়। আমাদের কষ্টের কথা কেউ ভাবে না।’

মিরপুরবাসী মহিবুর রহমান নামের একজন যাত্রী বলেন, ‘আমি কাজ করি মতিঝিলে। কিন্তু স্টেশনে এসে দেখি ট্রেন চলাচল বন্ধ। নিয়মিত যাত্রায় ট্রেন ব্যবহার করি, না থাকায় সমস্যায় পড়ে গেলাম।’

পূর্ব রাজাবাজারবাসী আসমা খাতুন নামে এক যাত্রী বলেন, ‘বাচ্চাকে নিয়ে কিশোরগঞ্জে যাব। বাসে যানজট থাকায় ট্রেনে সুবিধা বেশি। কিন্তু এখন বন্ধ থাকায় ছোট বাচ্চাকে নিয়ে বাসায় চলে যাচ্ছি।’

ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকতে স্টেশন থেকে ফিরতে দেখা যায় লিয়াকত আলী নামে এক ব্যক্তিকে। তিনি বলেন, ‘ময়মনসিংহে যাতায়াত করতে অন্য বাহনের তুলনায় ট্রেনে কম টাকায় দ্রুত যাওয়া যায়। কিন্তু এসে দেখি ট্রেন নাই, তাই ফিরে যেতে হচ্ছে।’

পরিবার নিয়ে চট্টগ্রাম যেতে দুদিন আগেই টিকিট কেটেছেন উত্তর বাড্ডাবাসী আজমত আলী। তিনি ভোরের আকাশকে বলেন, ‘অফিস থেকে চারদিনের ছুটি নিয়েছি। বেড়াতে যাওয়ার জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুত সবাই। কিন্তু মঙ্গলবারও (২৮ জানুয়ারি) চালু হয়নি রেল। পরিবার নিয়ে বিপাকে পড়ে গেছি।’

বাড়তি বাস ভাড়া বৃদ্ধিতে ক্ষুব্ধ যাত্রীরা : রেলওয়ে কর্মচারীদের কর্মবিরতিতে ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকার সুযোগে বাস ভাড়া বাড়িয়ে দিয়েছেন পরিবহন শ্রমিকরা। গন্তব্যে পৌঁছাতে বেশতি বাস ভাড়ার কারণে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন যাত্রীরা।

গতকাল (২৮ জানুয়ারি) সকাল থেকে যাত্রীরা ময়মনসিংহ রেলওয়ে স্টেশনে এসে ট্রেন না পেয়ে ভিড় জমান শহরের বাসস্ট্যান্ডগুলোতে। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে বাস ভাড়া বৃদ্ধি করেছেন চালকরা। বিকালে নগরীর পাটগুদাম ব্রিজ মোড়, মাসকান্দা বাসস্ট্যান্ড ও বাইপাস মোড়ে গিয়ে এই চিত্র দেখা যায়।

ঢাকাগামী যাত্রী সাদেক হোসেন বলেন, ‘ব্রিজ থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া বাসগুলো সাধারণত ১৫০-২০০ টাকা ভাড়া নিয়ে থাকে। আজকে তারা ভাড়া ২৫০-৩০০ টাকা চাচ্ছেন। বাধ্য হয়ে প্রয়োজনের তাগিদে যেতে হচ্ছে।’

ময়মনসিংহ সদরের পাটগুদাম ব্রিজ মোড়ে বাসের জন্য দাঁড়িয়ে ছিলেন যাত্রী শফিকুল ইসলাম। তিনি বলছিলেন, ‘ব্রিজে যাত্রীর চাপ থাকার কারণে বাসে ভিড় বেড়েছে। অনেক হেলপার টেনে-হিঁচড়ে বাসে যাত্রী তুলছেন। ট্রেন বন্ধ থাকার কারণে আমাদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। তা দেখার কেউ নেই।’

শহরের বাইপাস মোড়ে ঢাকাগামী বাসের জন্য দাঁড়িয়ে থাকা আফসার উদ্দিন বলেন, ‘ট্রেনে টিকিট করেও ঢাকা যেতে পারিনি। তিন ঘণ্টা স্টেশনে অপেক্ষা করে টিকিটের টাকা নিয়ে ঢাকা যাওয়ার জন্য বাইপাস এসেছি। এখানে চরম অরাজকতা। এগুলো প্রশাসনের সামনেই হচ্ছে। আমরা চাই, সাধারণ মানুষের ভোগান্তি দূর করা হোক। আন্দোলনের নামে ট্রেন বন্ধ সেটা সুস্থ সমাজে হতে পারে না।’

খুলনা থেকে নওগাঁ যাওয়ার জন্য সকালে রেলওয়ে স্টেশনে এসেছিলেন কয়েকজন শ্রমিক। তারা জানান, খুলনা থেকে নওগাঁ যেতে তারা সোনাডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে কোনো টিকিট পাননি। বাসে দাঁড়িয়ে যেতে হবে। তাতে ভাড়া গুনতে হবে ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা পর্যন্ত। এ পথে নিয়মিত ভাড়া ৫০০ টাকার বেশি নয়।

শ্রমিকদের একজন সান্তনু বলেন, ‘সকাল থেকে আমরা কয়েকজন এখানে এসে বসে আছি। কয়েকজন গিয়ে বাসের খোঁজ নিয়েছে; কোনো ব্যবস্থা হয়নি। অতিরিক্ত ভাড়ায় আমরা যেতে পারছি না। বিকেল পর্যন্ত অপেক্ষা করে দেখি ট্রেন চালু হয় কি না। না হলে সন্ধ্যার দিকে বাসে করে রওনা দেব।’

সান্তনুর মতো অনেক দূরপাল্লার যাত্রীকে খুলনা রেলওয়ে স্টেশনে অপেক্ষা করতে দেখা যায়। তবে স্বল্প দূরত্বের যাত্রীরা বাসে করে গন্তব্যে চলে যাচ্ছেন।

রাজবাড়ী সদর উপজেলার বানীবহ থেকে আসা আছিয়া নামের এক ট্রেন যাত্রী বলেন, ‘স্টেশনে এসে জানলাম ট্রেন বন্ধ। আমি পোড়াদহ যাওয়ার জন্য এসেছিলাম। ট্রেনে গেলে ভাড়া অনেক কম লাগতো। এখন বাসে গেলে অনেক টাকা লাগবে। বাসে বাড়তি ভাড়া নেওয়া হচ্ছে। বাড়ি থেকে যে টাকা এনেছি সেটা বাস ভাড়া হবে না। এখন বাড়ি ফিরে যেতে হবে।’

রেজা নামের এক যাত্রী বলেন, স্টেশনে এসে দেখি ট্রেন বন্ধ। অনেক কিছু কিনেছি ভাইয়ের বাড়িতে নিয়ে যাব বলে। তবে এখন বাসে যেতে গেলে অনেক ভোগান্তি হবে। তাছাড়া দ্বিগুণ ভাড়া দিয়ে বাসে যাওয়ার টাকা নেই।’

এভাবে ময়মনসিংহ, খুলনা, রাজবাড়ীর মতো সারাদেশেই দ্বিতীয় সারির দূরপাল্লার বাসগুলোতে চুক্তি করে যাত্রী উঠানো হচ্ছে। নিজেদের মতো করে নেওয়া হচ্ছে বাড়তি ভাড়া। অসহায় হয়ে পড়েন যাত্রীরা।

বৈঠকে হয়নি সমাধান : কর্মবিরতির কারণে সৃষ্ট অচলাবস্থা নিরসনে আন্দোলনরত রেলের রানিং স্টাফ নেতাদের সঙ্গে গতকাল মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) বৈঠকে বসেছিলেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা। তবে কোনো সমাধান ছাড়াই ওই বৈঠক থেকে বেরিয়ে গেছেন রানিং স্টাফ নেতারা।

রানিং স্টাফদের নিয়ে গতকাল মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) দুপুরে কমলাপুর রেলস্টেশনে বৈঠকে বসেছিলেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. ফাহিমুল ইসলাম। ওই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী ও জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের সমন্বয়ক শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস। কিন্তু বৈঠকে কোনো সমাধান না হওয়ায় রানিং স্টাফরা বেরিয়ে যান।

বেলা দেড়টার দিকে কমলাপুর স্টেশনের ভিআইপি কক্ষে এই বৈঠক শুরু হয়। বেলা ২টা ৪৫ মিনিটের দিকে কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই রানিং স্টাফদের প্রতিনিধি সাইদুর রহমান সেখান থেকে বেরিয়ে আসেন। পরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা দীর্ঘক্ষণ রেলসচিব, মহাপরিচালকের সঙ্গে বৈঠক করেছি। তবে কোনো সিদ্ধান্তে আমরা পৌঁছাতে পারিনি বলে ওই বৈঠক চলাকালীনই আমি চলে আসছি। আমাদের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ যারা আছেন, বিষয়টি নিয়ে তাদের সঙ্গে আলোচনা করব। তবে আমরা আমাদের কর্মবিরতিতে অনড় আছি।’

এর আগে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব সাংবাদিকদের জানিয়ে ছিলেন, আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সরাসরি কোনো যোগাযোগ হচ্ছে না। তাদের সঙ্গে পরোক্ষভাবে (ইনডিরেক্টলি) যোগাযোগ হচ্ছে। তখন ফাহিমুল ইসলাম বলেছিলেন, ‘আমাদের আলোচনার দ্বার খোলা আছে। তারা আসলে তাদের সঙ্গে আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে যেকোনো সময় ট্রেন চলাচল শুরু হতে পারে।’

কর্মসূচির পরিপ্রেক্ষিতে অচলাবস্থার বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন কি না, এমন প্রশ্নে সচিব বলেন, ‘অর্থ বিভাগের সঙ্গে কথা হয়েছে। এ রকম একটা মুহূর্তে তারা তো কিছু বলতে পারছে না। এ বিষয়ে আলোচনার সুযোগ আছে। উপদেষ্টা বলেছেন আলোচনা করবেন, সেখানে তারা অর্থ বিভাগের প্রতিনিধি নিয়ে যাবেন।’

মূল বেতনের সঙ্গে রানিং অ্যালাউন্স যোগ করে পেনশন ও আনুতোষিক সুবিধা দেওয়ার বিষয়ে জটিলতা নিরসন না হওয়ায় কর্মবিরতিতে গেছেন বাংলাদেশ রেলওয়ের রানিং স্টাফরা। কর্মবিরতির অংশ হিসেবে গত সোমবার দিবাগত রাত ১২টার পর শিডিউলে থাকা ট্রেনগুলোতে ওঠেননি রানিং স্টাফরা। ফলে প্রারম্ভিক স্টেশন থেকে কোনো ট্রেন ছেড়ে যায়নি। ফলে সারা দেশে বন্ধ রয়েছে ট্রেন চলাচল। রানিং স্টাফের মধ্যে রয়েছেন ট্রেনচালক, গার্ড ও টিকিট চেকার পদধারীরা।

রানিং স্টাফদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হবে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব বলেন, ‘শাস্তিমূলক ব্যবস্থার বিষয়ে আমি এই মুহূর্তে বলতে পারছি না। আমরা বলেছি, আমাদের আলোচনার দ্বার খুলে রেখেছি। সরকার, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কী করবে, সেটা বলতে পারি না। তারা যদি না আসে, তাহলে তো আমাদের হাতে নাই ব্যাপারটা। সব সময় সব ব্যাপার কিন্তু রেল মন্ত্রণালয়ের হাতে নিয়ন্ত্রণ থাকে না।’

রানিং স্টাফদের দাবি যৌক্তিক কি না, এ প্রশ্নে সচিব বলেন, ‘তাদের দাবি যৌক্তিক মনে করেই আলোচনা করেছি। এটার জন্য আমরা কিছুটা অর্জন করেছি। ওরা চার বছর ধরে আন্দোলন করছে। আমরা একটা অর্জন নিয়ে এসেছি যৌক্তিক মনে করেই।’

এর আগে মূল বেতনের সঙ্গে রানিং অ্যালাউন্স যোগ করে পেনশন এবং আনুতোষিক সুবিধা দেওয়ার দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছিলেন রানিং স্টাফরা। গত বুধবার চট্টগ্রামে পুরোনো রেলস্টেশনে সংবাদ সম্মেলন করে ২৭ জানুয়ারির মধ্যে দাবি মানার শর্ত দেয় রেলওয়ে রানিং স্টাফ ও শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন। তাদের দাবি না মানলে ২৮ জানুয়ারি থেকে রেল চলাচল বন্ধ করে দেওয়ার ঘোষণা দেয় তারা।

রানিং স্টাফরা হলেন - গার্ড, ট্রেনচালক, সহকারী চালক ও টিকিট পরিদর্শক (টিটিই)। রানিং স্টাফরা সাধারণত দীর্ঘ সময় ট্রেনে দায়িত্ব পালন করে থাকেন। দৈনিক ৮ ঘণ্টার বেশি কাজ করলে বেসিকের (মূল বেতন) হিসেবে বাড়তি অর্থ পেতেন তারা। এছাড়াও অবসরের পর বেসিকের সঙ্গে এর ৭৫% অর্থ যোগ করে অবসরকালীন ভাতা পেতেন। তবে ২০২১ সালের নভেম্বর মাসে এই সুবিধা সীমিত করে অর্থ মন্ত্রণালয়।

ট্রেন বন্ধের পেছনে দুই মন্ত্রণালয়ের ‘ঠেলাঠেলি’ : অভিযোগ উঠেছে, রেলপথ মন্ত্রণালয় ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের ঠেলাঠেলিতে ট্রেনের রানিং স্টাফদের দাবি বাস্তবায়ন হচ্ছে না। অনড় কর্মীরা কর্মবিরতি থেকেও সরছেন না। দফায় দফায় রাজনৈতিক দলের শ্রমিক সংগঠনের নেতা, রেলের শ্রমিক সংগঠনের নেতা, মন্ত্রণালয় ও রেলওয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বৈঠক হলেও সুরাহা হচ্ছে না।

যেহেতু রেলকর্মীদের দাবির পেছনে বেতন-ভাতা-পেনশন জড়িত তাই রেল মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্তের দায় ঠেলে দিচ্ছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের দিকে।

আর অর্থ মন্ত্রণালয়ের পরিষ্কার জবাব, রেলকর্মীদের ‘অযৌক্তিক দাবি’ মানার সুযোগ নেই। এই ঠেলাঠেলি কয়েক বছর ধরেই চলছে।