ভারতে করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রনের সংক্রমন মোকাবিলায় রাজধানী দিল্লিতে বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে ঘর থেকে কাজ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে নির্দেশনা জারি করেছে দিল্লিতে আসীন কেজরিওয়াল সরকার। তবে সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে আগের মতোই ৫০ শতাংশ উপস্থিতি থাকবে। এছাড়াও জরুরি সেবাগুলো চলবে বরাবরের মতো।
আনন্দবাজার পত্রিকা জানিয়েছে, এতদিন ৫০ শতাংশ উপস্থিতি নিয়ে চালু ছিল সরকারি ও বেসরকারি অফিস। এ বার সেই নিয়মে বদল আনল দিল্লি ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অথরিটি (ডিডিএমএ)। নতুন নির্দেশিকায় সমস্ত বেসরকারি অফিস বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। বেসরকারি অফিসের ১০০ শতাংশ কর্মী বাড়ি থেকে কাজ করবেন। প্রত্যাশিত ভাবেই জরুরি পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থাগুলিকে এই নিয়মের আওতার বাইরে রাখা হয়েছে।
এর আগে গত সোমবার দিল্লিতে হোটেল রেস্তোরাঁ বন্ধ করে দেওয়া হয়। তবে চালু রয়েছে হোম সার্ভিস।
পত্রিকাটি জানিয়েছে, দিল্লিতে সোমবার ১৯ হাজারের বেশি নতুন করোনা আক্রান্তের সন্ধান মিলেছে। যা রবিবারের (২২,৭৫১) তুলনায় খানিকটা কম হলেও সামগ্রিক বিচারে প্রচুর। সোমবার রাজধানীতে সংক্রমণের হার ছিল ২৫ শতাংশ। যা গত ৫ মে-র পর সর্বোচ্চ। গত ২৪ ঘণ্টায় দিল্লিতে ১৭ জন করোনা রোগীর মৃত্যু নথিভুক্ত হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে কোনও ঝুঁকি নিতে চায়নি দিল্লি সরকার।
দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন বলেন, ‘আগামী দু-একদিনের মধ্যেই শহরে সংক্রমণ চূড়ায় পৌঁছবে। এমনও হতে পারে, আমরা বর্তমানে সংক্রমণের চূড়াতেই অবস্থান করছি। তারপর থেকে ক্রমশ নামবে সংক্রমণ।’
মন্তব্য