দ্বিতীয় তালেবান শাসনের পর এ-ই প্রথম সে দেশের সরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো মেয়েদের জন্য খুলে দেওয়া হলো।
গতকাল শুক্রবার বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, আফগানিস্তানে আবারও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে প্রবেশাধিকারের সুযোগ পাবে মেয়েরা। ফলে অনেক অনিশ্চয়তা কাটিয়ে আবার সর্বোচ্চ শিক্ষার চৌকাঠ পেরোতে পারবে আফগান মেয়েরা।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে ছেলে এবং মেয়েরা আলাদা আলাদা কক্ষে বসে ক্লাস করবে বলেও জানিয়েছেন নানগরহর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান খালিল আহমেদ।
তালেবান প্রশাসন অবশ্য বিষয়টি নিয়ে এখনো কোনো বিবৃতি জারি করেনি। তবে দেশের শিক্ষা অধিদপ্তর জানিয়েছে, শর্তসাপেক্ষে ছাত্রীদের আবার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আসার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
ছেলেদের থেকে আলাদা বসানোর শর্তেই মেয়েদের আবার স্কুলে প্রবেশের অধিকার দেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে দেশটির শিক্ষা অধিদপ্তর।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মধ্যে আলাদা আলাদা বসলেও কোনো পুরুষ শিক্ষক পাঠদান করতে পারবেন কিনা, বা প্রতিষ্ঠানের বাইরে মেয়েরা ছেলেদের সঙ্গে কথা বলতে পারবে কিনা তা নিয়ে স্পষ্টভাবে কিছু জানানো হয়নি।
আফগানিস্তান বিশ্বের একমাত্র দেশ, যেটি প্রকাশ্যে লিঙ্গ অনুসারে শিক্ষাকে সীমাবদ্ধ করে। তালেবান সরকার আন্তর্জাতিক বৈধতা অর্জনের জন্য যে চেষ্টা চালাচ্ছে তার একটি মুখ্য হাতিয়ার এটি।
তালেবান সরকার আসার পর থেকে মেয়েদের মাধ্যমিক শিক্ষাগ্রহণে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে, নারীবিষয়ক মন্ত্রণালয় ভেঙে দেওয়া হয়েছে এবং অনেক ক্ষেত্রে নারীদের কাজ করতে দেওয়া হয়নি।
মন্তব্য