মিয়ানমারে কোনো পক্ষকে খ্যাপাতে চায় না চীন

নিজস্ব প্রতিবেদক
মিয়ানমারে কোনো পক্ষকে
খ্যাপাতে চায় না চীন

মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানের এক বছর হয়েছে গত ১ ফেব্রুয়ারি। অভ্যুত্থানের পর থেকেই দেশটিত জান্তাবিরোধী বিক্ষোভ চলছে। চলমান এই বিক্ষোভ দমাতে স্টেট অ্যাডমিনিসট্রেশন কাউন্সিল (এসএসি) নিষ্ঠুর ও সহিংস কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। তাতেও দমাতে পারছে না আন্দোলনকারীদের। তাদের একটাই দাবি- জান্তার উৎখাত ও নির্বাচিত সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর। অভ্যুত্থানের এক বছর পূর্তির দিন জান্তাবিরোধীদের ডাকে দেশটিতে নীরব ধর্মঘট পালিত হয়।

মিয়ানমারে অব্যাহত সহিংসতা প্রতিবেশী’ বিশেষ করে এই অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতাকামী চীন ও আসিয়ান দেশগুলোতে বিরূপ প্রভাব পড়ছে। বর্ষপূর্তিতে মিয়ানমার নিয়ে চীন ও আসিয়ান দেশগুলোর সতর্ক দৃষ্টিভঙ্গির পাশাপাশি তাদের ত্রুটিগুলোও নতুন করে আলোচনায় উঠে এসেছে। প্রতিবেশী দেশগুলো সংঘাত নিরসনের মাধ্যমে মিয়ানমারে শান্তি ও স্থিতিশীলতা আনতে ব্যর্থ হয়েছে। জান্তা সরকার চায় যেকোনো মূল্য ক্ষমতা ধরে রাখতে। এ লক্ষে তারা অভু্যুত্থান বিরোধীদের ওপর নির্মম নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে। জাতিসংঘ ও পশ্চিমাদেশগুলোকে মোকাবিলায় জান্তা সরকার চীনকে ক‚টনৈতিক ও সামরিক ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে। এটা সংঘাতকে আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। জান্তার লক্ষ্য।

চীনের বর্তমান অবস্থান : মিয়ানমারে সর্বশেষ সামরিক অভ্যুত্থানকে ভালোভাবে নেয়নি চীন। তবে চলমান বিনিয়োগ প্রকল্পগুলোর কাজ পুনরায় শুরুর লক্ষ্যে গত বছরের মাঝামাঝি থেকে এসএসির সঙ্গে চীনের সম্পর্ক স্বাভাবিক হতে শুরু করে। বর্তমান পরিস্থিতিতে বেইজিং মিয়ানমারে সতর্ক নীতি গ্রহণ করছে বলেই মনে হচ্ছে। কারণ এসএসি বা বেসামরিক ন্যাশনাল ইউনিটি গভর্মেন্ট (এনইউজি)- চীনের যে কোনো পক্ষাবলম্বন সংঘাতকে আরো বাড়িয়ে দেবে। এতে চীনের রাষ্ট্রীয় বিনিয়োগ ছাড়াও ইউনান প্রদেশের ব্যবসায়ীরা চাপে পড়বেন। চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় ইউনান প্রদেশের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মিয়ানমারের সম্পর্ক বেশ পুরোনো। সীমান্ত এলাকায় কিছু সশস্ত্র জাতিগোষ্ঠীর সঙ্গেও তাদের লেনদেন রয়েছে। এসব কারণে চীন খুব সতর্কতার সঙ্গে পদক্ষেপ নিচ্ছে। বিশ্লেষক ও পর্যবেক্ষকদের মতে, মিয়ানমারে তিনটি কৌশলগত স্বার্থ রয়েছে চীনের। এসবের ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বিগ চীন। তাই তারা মিয়ানমারের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক রাখার পথে হাঁটছেন। এই তিনটি বিষয় হলো’ সীমান্ত নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখা, মিয়ানমারে চীনের বিনিয়োগ ও ব্যবসা ঠিক রাখা এবং চীনবিরোধী মনোভাব ঠেকানো।

সীমান্ত নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা : পশ্চিমা ক‚টনীতিক ও বিশ্লেষকরা প্রায়ই বলে, মিয়ানমারকে সমর্থন করার মূল কারণ হলো চীনের ভ‚-রাজনৈতিক উচ্চাকাক্সক্ষা ও অর্থনৈতিক স্বার্থ। যদিও চীনা বিশ্লেষকদেরও মতে, বেইজিংয়ের কাছে অর্থনীতির চেয়ে সীমান্ত নিরাপত্তা বা স্থিতিশীলতা বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এটা বলার কারণ হচ্ছে’ বেইজিং সবসময় পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশগুলো, বিশেষ করে ইউনানে অর্থনৈতিক উন্নয়নের চেয়ে সীমান্ত নিরাপত্তার বিষয়ে বেশি জোর দিয়ে আসছে। চীনের অন্যতম দরিদ্র প্রদেশগুলোর একটি হলো ইউনান।

মিয়ানমারে চীনা বিনিয়োগ ও বাণিজ্য : সীমান্তে যদি নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা বজায় থাকে তাহলে চীনেরই লাভ। এতে মিয়ানমারে চীনা বিনিয়োগ ও ব্যবসা আরো প্রসারিত হবে এবং সুরক্ষিত থাকবে।

চীনবিরোধী মনোভাব : মিয়ানমারে সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক রাখতে চীন রাজনৈতিক বা অর্থনৈতিক যে কোনো কৌশলই অবলম্বন করতে পারে। তবে দেশটির জনমনে যাতে কোনোভাবেই চীনবিরোধী মনোভাব জাগ্রত না হয় সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখছে বেইজিং। এ ধরনের মনোভাব দেশটিতে চীনা বিনিয়োগ ও বাণিজ্যে বিরূপ প্রভাব ফেলবে তা তারা খুব ভালোভাবেই জানে।

বিকল্প পথে চীন : সংঘাতপূর্ণ মিয়ানমারের সঙ্গে যে কোনো ধরনের কারবার করতে হলে চীনকে তিনটি ভিন্ন বিকল্পকে অবশ্যই মাথায় রেখে এগোতে হবে। একদিকে হচ্ছে এসএসি, অন্যদিকে রয়েছে মিয়ানমারের জনগণ এবং এনইউজে। এর বাইরে আরেকটা পন্থা আছে। সেটি হলো নিরপেক্ষ থাকা। চীনের সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ডে দেখে মনে হচ্ছে এই তিন বিকল্পের মধ্যে তারা সবশেষটাকে বেছে নিয়েছে। অর্থাৎ কোনো পক্ষ অবলম্বন করতে তারা ইচ্ছুক নয়।

মিয়ানমারের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে চীন বেশ সতর্ক দৃষ্টিভঙ্গি ও নীতিতে এগোচ্ছে। এ কারণে এসএসির সঙ্গে স্বাভাবিক সম্পর্ক বজায় রাখার পাশাপাশি অং সান সুচির দল ন্যাশনাল লীগ ফর ডেমোক্র্যাসির (এনএলডি) সঙ্গে সুসম্পর্ক রেখে চলছে। অবস্থান ধরে রাখতে হলে এই কৌশলই চীনকে নিরাপদ রাখত পারে। যাইহোক, চীনের এই নিরপেক্ষ ভ‚মিকাকে অনেকেই এসএসির পাশে থাকা মনে করছে। সংঘাত সংকুল মিয়ানমার অদূর ভবিষ্যতে তিনটি পরিস্থিতির একটিতে পৌঁছাতে পারে। এগুলো হলো- ১. জান্তাবিরোধীদের জয় ২. এসএসির জয় এবং ৩. অচলাবস্থার দীর্ঘায়তন। বর্তমানে দেশটিতে ৩ নম্বর পরিস্থিতি অর্থাৎ অচলাবস্থা বিরাজ করছে।

স্থিতিশীলতা পুনরুদ্ধারে চীনের করণীয় : চীনের বর্তমান অবস্থান এবং আচরণ মিয়ানমারের রাজনৈতিক নেতা ও সাধারণ মানুষের কাছে মোটেই গ্রহণযোগ্য নয়Ñ এটা বেশ পরিষ্কার। শিগগিরই মিয়ানমারে স্থিতিশীলতা আসতে পারে এমন কোনো আভাসও দেখা যাচ্ছে না। চীন যতই নিজেদের নিরপেক্ষ বা এসএসির সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক রাখার কথা বলার চেষ্টা করুক না কেন, তাদের এই অবস্থানকে জান্তাদের পাশে থাকা মনে করছে মিয়ানমারের সাধারণ জনগণ।

সাম্প্রতিক ইতিহাসে মিয়ানমারের সঙ্গে চীনের সম্পর্কের যে উন্নয়ন হয়েছে এসএসির সঙ্গে বন্ধত্বে তা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। বিশেষ করে এনএলডির শাসনামলে মিয়ানমারের সঙ্গে চীনের কষ্টার্জিত বোঝাপড়ায় এর প্রভাব পড়বে এটা নিশ্চিত। বর্তমান সংঘাতময় পরিস্থিতিতে চীনবিরোধী মনোভাব পুনরুজ্জীবিত হচ্ছে। সেনাবাহিনীর প্রতি মিয়ানমারের জনগণের প্রবল ঘৃণা এর পেছনে কাজ করছে। কয়েক দশক ধরে সেনাশাসনে দেশটির জনগণ চরম দারিদ্র্য ও নিপীড়নের মধ্যে ছিল। চীনকে জান্তা সরকারের ঢাল হিসেবে ব্যবহার, চীনের বন্ধুত্ব ও সমর্থন নিয়ে সেনাবাহিনীর প্রচারণা সাধারণ মানুষের মধ্যে চীনবিরোধী মনোভাবকে আরো বাড়িয়েছে। দিন দিন এসএসি বাহিনীর নিষ্ঠুরতা বৃদ্ধি এবং অব্যাহত নৃশংসতার ঘটনায় সেনাবাহিনীর প্রতি মিয়ানমারের জনগণ আর বিশ্বাস রাখতে পারছে না। অদূর ভবিষ্যতে জনগণের মনোভাবের পরিবর্তন ঘটবে এমন কোনো লক্ষণও নেই।

এটা ঠিক যে, অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য সীমান্ত নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এসএসির সঙ্গে চীনের মাঝারি বা দীর্ঘমেয়াদি সম্পর্ক অর্থনৈতিক উন্নয়নকে ঝুঁকিতে ফেলতে পারে। মিয়ানমারের বর্তমানে বিপরীতমুখী অবস্থা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে, এটি দীর্ঘায়িত হবে। রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা না আসা পর্যন্ত অর্থনৈতিক সমস্যার সমাধান সম্ভব নয়। চীনের সঙ্গে জান্তা সরকারের কোনো ধরনের অর্থনৈতিক সম্পর্ক চলমান সংকটকে দীর্ঘায়িত এবং এসএসিকে ক্ষমতায় থাকতে উৎসাহিত করবে। এতে ভুক্তভোগী হবে দেশটির সাধারণ জনগণ। চীনের লগ্নি অর্থনৈতিক বা রাজনৈতিকভাবে মিয়ানমারের জনগণের তাৎক্ষণিক বা দীর্ঘমেয়াদে সামন্য বা কোনো লাভই হবে না।

চীন হয় এসএসিকে সমর্থন করবে বা নিরপেক্ষ থাকবে। কিন্তু যে পথেই হাঁটুক, এতে চীন ও মিয়ানমারের সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত হবে। বিকল্পগুলোর একটি বেছে নিল এবং প্রতিপক্ষ জিতে গেল সংকটে পড়বে চীন। বর্তমান মিয়ানমার এবং এর জনগণ চীনকে অবিশ^স্ত বন্ধু হিসেবেই ভাববে। কারণ চীনকে যখন তাদের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন ছিল তখনই তারা মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। যদি এসএসি জিতে তাহলে পরিস্থিতি হবে আরো ভয়াবহ। সামরিক শাসনের ভয়াবহ অভিজ্ঞতা রয়েছে মিয়ানমারবাসীর। সেই শাসন যদি সমর্থন পায় এবং দীর্ঘায়িত হয় তাহলে চীনবিরোধী মনোভাব বাড়তেই থাকবে। স্থিতিশীলতা এবং উন্নতির পরিবর্তে যদি সংঘাত দীর্ঘায়িত হয় তাহলে চীন-মিয়ানমারের ভবিষ্যৎ সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

চীন সমর্থন করুক বা না করুক, মিয়ানমারের জনগণ জান্তা সরকারকে কখনোই বৈধতা দেবে না- দেশটির অতীত ইতিহাসও তাই বলে। ফলে বাড়বে সংঘাত, বিভক্তি। অর্থনৈতিক অব্যবস্থাপনার ফলে দেশটির অর্ধেকেরও বেশি জনগণ দারিদ্র্যের কষাঘাতে জর্জরিত হবে। গত বছর অভ্যুত্থানের পর থেকে কিছু দুর্নীতিগ্রস্ত সেনাসদস্য সামরিক শাসনের দোহাই দিয়ে নিরস্ত্র সাধারণ জনগণকে হত্যা করে যাচ্ছে। জনগণের সামনে বিকল্প নেই বললেই চলে। আন্দোলনের মাধ্যমে তারা নিঃস্ব বা নিহত হতে পারে। অথবা তারা সামরিক শাসনকে একেবারেই উৎখাত করে দিতে পারে।

তবে চীন মনে করতে পারে মিয়ানমারে জবরদস্তিমূলক যে কোনো পদক্ষেপ সংঘাতকে আরো বাড়িয়ে তুলবে। সেক্ষেত্রে মিয়ানমারের জনগণকে সমর্থন করাটাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে। এতে মিয়ানমারে শান্তি ও স্থিতিশীলতা পুনরুদ্ধার অনেক বেশি ত্বরান্বিত হবে।

প্রথমত, ৭০ বছর ধরে চলা গৃহযুদ্ধে দেখা গেছে সেনাবাহিনী কখনোই মিয়ানমারে শান্তি ও স্থিতিশীলতা আনতে পারেনি। উল্টো সীমান্ত নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার ওপর চীনের কৌশলগত স্বার্থকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করবে। দ্বিতীয়ত, চীনের জ্ঞাতসারে হোক বা না হোক এসএসি জাতিসংঘ এবং আন্তর্জাতিক মহলের চাপ থেকে নিজেকে রক্ষার্থে চীনকে সবসময় ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে আসছে। চীনকে সামনে রেখেই জান্তা ক‚টনৈতিক ও সামরিক মর্যাদা বৃদ্ধি করতে চায়। চীনের সমর্থন মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীকে সাহসী করে তুলবে যা চলমান সংঘাতকে আরো বাড়াবে।

একদা এসএসি চীনকে বাদ দিয়েই চলার চেষ্টা করে। এতে মিয়ানমার সেনাবাহিনী নজিরবিহীন চাপের মুখে পড়ে। তখন তারা অনুধাবন করতে পারে ক‚টনৈতিক বা সামরিক উভয় ক্ষেত্রেই তাদের একার পক্ষে জয়ী হওয়া সম্ভব না। এসএসিকে সমর্থন দেওয়ার চেয়ে চীন যদি তাদের আলোচনার টেবিলে আনতে পারে তাহলে তা রাজনৈতিক ও কৌশলগত দিক থেকে অনেক বেশি ফলপ্রসূ হবে।

তৃতীয়ত, সীমান্তে দীর্ঘমেয়াদি নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার জন্য মিয়ানমারের সঙ্গে সুসম্পর্ক স্থাপন জরুরি। মিয়ানমারের সংকটময় এই মুহূর্তে দেশটির জনগণ এবং জনসমর্থিত বেসামরিক সরকার অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ’ এটাকে মাথায় রেখে চীনকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।

মিয়ানমারের বর্তমান পরিস্থিতি দেশটির জনগণের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করার ক্ষেত্রে চীনকে বিশাল সুযোগ এনে দিয়েছে। জান্তা সরকারের নিষ্ঠুর শাসনের বিরুদ্ধে চলমান আন্দোলনে সমর্থন দিয়ে মিয়ানমারে দ্রুত স্থিতিশীলতা পুনরুদ্ধারে সহযোগিতার মাধ্যমে টেকসই ও উন্নত সম্পর্ক গড়া সম্ভব। সীমান্ত নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা আসলে চীন-মিয়ানমার ইকোনমিক করিডোর অ্যান্ড বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ প্রকল্পগুলোর কাজ দ্রুত এগিয়ে যাবে। এজন্য সবার আগে প্রয়োজন মিয়ানমারে স্থিতিশীলতা পুনরুদ্ধার। চীনের সমর্থন মিয়ানমারের জনগণ কৃতজ্ঞচিত্তে মনে রাখবে। এতে অদূর ভবিষ্যতে সফল অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড ও ক‚টনৈতিক সহযোগিতার পথ উন্মুক্ত হবে।

মোমেনা আক্তার পপি; দ্য ইরাবতি অবলম্বনে।

মন্তব্য