যুদ্ধের উত্তেজনা নিরসনে রাশিয়ার সঙ্গে জরুরি বৈঠক করতে চায় ইউক্রেন। এ বৈঠকে ইউরোপীয় নিরাপত্তা পক্ষগুলোর সদস্যরাও উপস্থিত থাকবে। তবে ইউক্রেনের এ আহ্বানে এখনো সাড়া দেয়নি রাশিয়া।
ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্র কুলেবা বলেছেন, সীমান্তে রাশিয়া কেন এত সৈন্য সমাবেশ ঘটিয়েছে, তা জানতে চেয়ে আনুষ্ঠানিক অনুরোধকে উপেক্ষা করেছে ক্রেমলিন সরকার। তিনি বলেন, ‘পরবর্তী পদক্ষেপ হিসেবে একটি বৈঠকের আহ্বান জানানো হয়েছে, যা আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে হতে হবে। আমরা সুস্পষ্টভাবে জানতে চাই, রাশিয়ার পরিকল্পনা কী।’
ইউক্রেন সীমান্তে এক লাখের বেশি সৈন্য মোতায়েন রয়েছে রাশিয়ার। এতে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলোর অভিযোগ, রাশিয়া ইউক্রেনে সামরিক হামলা চালিয়ে দেশটি দখলে নিতে পারে। তবে এমন অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করে আসছে মস্কো।
এ নিয়ে রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে তা স্নায়ুযুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি করে। এমন অবস্থায় পূর্ব ইউরোপে অতিরিক্ত সেনা পাঠায় যুক্তরাষ্ট্র। অবস্থান শক্তিশালী করে ন্যাটো। এরইমধ্যে শুক্রবার হোয়াইট হাউস জানায়, ইউক্রেনকে রুশ সেনারা এমনভাবে ঘিরে রেখেছে, তারা যেকোনো সময় হামলা চালাতে পারে।
এরপর যুদ্ধের আশঙ্কায় যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, ফ্রান্স, জার্মানি, সৌদি আরব, ইসরায়েলসহ এক ডজনের বেশি দেশ ইউক্রেন থেকে নিজ দেশের নাগরিকদের সরে আসতে নির্দেশ দেয়। কয়েকটি দেশ দূতাবাস কর্মীদেরও সরিয়ে আনে কিয়েভ থেকে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন শনিবার রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে ফোন করেন। ভিডিওকলে বাইডেনে বলেন, রাশিয়া ইউক্রেনে আগ্রাসন চালালে তার জন্য কড়া শাস্তি পেতে হবে।
সর্বশেষ রবিবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে আশ্বস্ত করে বলেছেন, রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা চালালে ‘অতিদ্রুত ও ভয়ানকভাবে’ তার জবাব দেবে যুক্তরাষ্ট্র।
সূত্র: বিবিসি।
মন্তব্য