ভারতের পাঁচ রাজ্যে চলমান বিধানসভা নির্বাচনে ‘রাজনৈতিক উদ্দেশ্য’ পূরণের অপচেষ্টা হিসেবেই কর্নাটকে হিজাব বিতর্ক উস্কে দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার কর্নাটক হাইকোর্টে শুনানিতে এ কথা বলেছেন নিগৃহীত ছাত্রীদের পক্ষের আইনজীবী। তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ মামলার শুনানি আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মুলতবি করা হয়েছে।
কর্নাটক রাজ্যের উদুপিতে হিজাব পরা নিয়ে ভুক্তভোগী ছাত্রীদের আইনজীবী মোহাম্মদ তাহির মঙ্গলবার শুনানির আবেদনে বলেন, রাজনৈতিভাবে গুরুত্বপূর্ণ উত্তরপ্রদেশসহ পাঁচ রাজ্যে চলমান বিধানসভা নির্বাচনে বিশেষ সুবিধা পেতে ধর্মীয় বিভাজন উস্কে দিতে চেয়েছে রাজনৈতিক দলগুলো। এই ইস্যুটিকে ব্যবহার করে তারা ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মধ্যে মেরুকরণ ও সংঘাত উস্কে দিতে চেয়েছে।
আইনজীবী তাহির আদালতকে আরো বলেন, কোনো ব্যক্তির কোনো ধরনের দুষ্কৃতিকর্ম আবার জাতিগত বিভাজন বাড়িয়ে দেবে।
সম্প্রতি উদুপির সরকারি হাইস্কুল শ্রেণিকক্ষে হিজাব নিষিদ্ধ করে। তারা কয়েকজন মুসলিম ছাত্রীকে ক্যাম্পাসে ঢুকতে দেয়নি। এ নিয়ে কর্নাটকসহ ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে পক্ষে-বিপক্ষে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। এমন পরিস্থিতিতে হিজাব নিষিদ্ধের বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ভুক্তভোগী কয়েক ছাত্রী।
একদল হিন্দুত্ববাদীর বিক্ষোভ মিছিলের সামনে পড়ে মুসকান নামে বোরকা পরা এক ছাত্রী ‘আল্লাহু আকবার’ স্লোগান দিয়ে ভাইরাল হন।
হিজাবের পক্ষ-বিপক্ষে বির্তকে জড়িয়েছেন ভারতের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-নেত্রীরাও। এ নিয়ে কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বলেছেন, ‘ঘুমটা, হিজাব, বিকিনি, জিন্স প্যান্ট- এগুলো নারীর অধিকার যে সে কী পরবে। ভারতীয় সংবিধান দ্বারা এ অধিকার প্রতিষ্ঠিত।’
অন্যদিকে মুসলিম নেতা ও এমপি আসাদউদ্দিন ওয়াইসি বলেছেন, একদিন হিজাব-বোরকা পরা কোনো নারীও ভারতের প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন।
তার এমন বক্তব্যের পাল্টা জবাব দিতে গিয়ে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ বলেছেন, দেশ চলবে ভারতের সংবিধান অনুযায়ী, ইসলামিক আইনে নয়।
সূত্র: এনডিটিভি।
মন্তব্য