সেনা সরানো তো দূরের কথা, উল্টো ইউক্রেন সীমান্তে ৭ হাজার সেনা বাড়িয়েছে রাশিয়া। যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ, রাশিয়ার সেনা সরানোর দাবি মিথ্যা। দেশটি যেকোনো সময় ইউক্রেনে আগ্রাসন চালাতে যেকোনো অজুহাতের আশ্রয় নিতে পারে।
এদিকে নতুন স্যাটেলাইট ইমেজে দেখা গেছে, বেলারুশ, ক্রিমিয়া ও পশ্চিম রাশিয়ায় সেনা গতিবিধি আরো বাড়িয়েছে মস্কো। এতে ইউক্রেনে আগ্রাসনের আশঙ্কা রয়েই গেছে।
ইউক্রেন সীমান্তে সাম্প্রতিক সময়ে এক লাখের বেশি রুশ সেনা মোতায়েন করে রাশিয়া। এছাড়া বেলারুশে সামরিক মহড়া এবং কৃষ্ণসাগরে যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন করে প্রায় তিনদিক থেকেই ইউক্রেনকে ঘিরে রাখে রাশিয়া। এতে রাশিয়া ইউক্রেন দখল করে নিতে পারে বলে আশঙ্কায় যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমাবিশ্বের সঙ্গে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে রাশিয়ার। যদিও রাশিয়া সবসময়ই বলে আসছে, তারা পূর্ব ইউরোপে যুদ্ধ বাধাবে না।
যুদ্ধ এড়াতে কূটনৈতিক প্রচেষ্টা চালায় ফ্রান্স, জার্মানিসহ কয়েকটি দেশের নেতারা। একপর্যায়ে রাশিয়ার প্রতিরক্ষামন্ত্রণালয় ঘোষণা দেয়, ইউক্রেন সীমান্ত থেকে কিছু সেনা সরিয়ে আনা হচ্ছে। মস্কোর এমন ঘোষণা বিশ্বাস করতে পারছিল না মার্কিন প্রশাসন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক যুক্তরাষ্ট্রের উর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বলেন, ‘রুশ সরকার বলেছে, তারা ইউক্রেন সীমান্ত থেকে সেনা সরিয়ে নিচ্ছে। এ দাবির মাধ্যমে তারা যুক্তরাষ্ট্রসহ সারাবিশ্বের মনোযোগ আকর্ষণ করেছে। কিন্তু আমরা এখন জানি, এটা ছিল মিথ্যা দাবি।’
রাশিয়ার দাবি যে মিথ্যা, তার কোনো প্রমাণ দেননি যুক্তরাষ্ট্রের ওই কর্মকর্তা। তবে তিনি বলেন, ইউক্রেন সীমান্তে রাশিয়া যে তার সেনা উপস্থিতি বাড়িয়েছে, সে ব্যাপারে বাইডেন প্রশাসন নিশ্চিত। তার দাবি, ইউক্রেন সীমান্তে সাত হাজার অতিরিক্ত রুশ সেনা পাঠানো হয়েছে, যাদের বেশির ভাগই বুধবার পাঠানো হয়।
পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোর প্রধান ইয়েন্স স্টলটেনবার্গ বলেছেন, তারা রুশ বাহিনী প্রত্যাহার দেখেননি। মাঠ পর্যায়ে উত্তেজনার কোনো প্রশমনও নজরে আসেনি। বরং উল্টো মনে হয়েছে রাশিয়া সেনা সমাবেশ করেই চলেছে।
তিনি জানান, মাক্সার স্যাটেলাইট ফুটেজে দেখা গেছে, বেলারুশের একটি নদীতে সেতু বানিয়ে পার হচ্ছে রুশ সেনারা। যা ইউক্রেন সীমান্ত থেকে মাত্র ৬ কি.মি. দুরে।
সূত্র: বিবিসি ও এনডিটিভি।
মন্তব্য