-->
শিরোনাম

পুতিনের তদারকিতে পারমাণবিক মহড়া দিচ্ছে রাশিয়া

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
পুতিনের তদারকিতে পারমাণবিক
মহড়া দিচ্ছে রাশিয়া

রাশিয়ার সম্ভাব্য ইউক্রেন হামলার চলমান উত্তেজনার মধ্যে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের তদারকিতে কৌশলগত পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র মহড়া শুরু করেছে রাশিয়া। রাশিয়া শনিবার এই মহড়া শুরু হয়েছে এবং পুতিন ক্রেমলিনে মহড়া তদারকি করছেন।

ওয়াশিংটন বলছে, ইউক্রেন সীমান্তের কাছে জড়ো হওয়া রাশিয়ান সেনারা আগ্রাসন চালাতে প্রস্তুত হয়ে আছে। যে কোনো সময়ই সেনাদের হামলার নির্দেশ দিতে পারেন পুতিন।

ক্রেমলিন জানায়, মহড়ায় সাগরে এবং স্থলভাগের নিশানায় হাইপারসনিক ও ক্রুজ-- দুই ধরনের ক্ষেপণাস্ত্রেরই সফল পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ করেছে রাশিয়ার বাহিনী। প্রতিবেশী বেলারুশের প্রেসিডেন্টকে পাশে নিয়ে স্ক্রিনে সেই মহড়া দেখেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন।

যুক্তরাষ্ট্র পূর্ব ইউরোপে সেনা উপস্থিতি বাড়ানোর এই সময়ে রাশিয়া এমন ক্ষেপণাস্ত্র মহড়া শুরু করল। তবে ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, এ মহড়া নিয়মিত প্রশিক্ষণের অংশ। এতে উদ্বেগের কোনো কারণ নেই। গুরুত্বপূর্ণ এ মহড়া পুতিন ‘সিচুয়েশন রুমে’ বসে পর্যবেক্ষণ করছেন বলে জানান পেসকভ।

রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এ মহড়ার মাধ্যমে সামরিক কমান্ড ও নিয়ন্ত্রণ, সেনা, যুদ্ধজাহাজ, ক্ষেপণাস্ত্র কতটা প্রস্তুত তা পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। সেইসঙ্গে পারমাণবিক এবং অপারমাণবিক অস্ত্রের নির্ভরযোগ্যতাও যাচাই করা হবে এ মহড়ায়। তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, শক্তি প্রদর্শন করতেই রাশিয়া এ মহড়া চালাচ্ছে এবং পারমাণবিক শক্তির মহড়া চালিয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে বার্তা দেওয়া হচ্ছে।

ইউক্রেনে সম্ভাব্য রাশিয়ার হামলার মধ্যে পূর্ব ইউক্রেনের দনবাস অঞ্চলের দোনেস্ক ও লুহানস্ক থেকে প্রায় ৭ লাখ মানুষকে রাশিয়ায় সরিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা ঘোষণা করছে রাশিয়ার সমর্থনপুষ্ট বিচ্ছিন্নতাবাদীরা।

ইতোমধ্যেই ইউক্রেনের বিচ্ছিন্ন ওই অংশ দুটি থেকে বাসে করে বেসামরিক সরিয়ে নেওয়া শুরু করেছে তারা।

প্রতিবেশী ইউক্রেনে হামলা চালানোর পরিকল্পনার কথা বরাবরই অস্বীকার করে আসছে রাশিয়া। তবে পশ্চিমা সরকারগুলো বলছে, ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় সীমান্তে কোনো ধরনের ‘নাটক’ সাজানোর পরিকল্পনায় আছে রাশিয়া, যাতে হামলার জন্য একটা ‘অজুহাত’ পাওয়া যায়।

স্বঘোষিত ‘গণপ্রজাতন্ত্রী’ দোনেস্ক ও লুহানস্ক শুক্রবার ওই পরিকল্পনা ঘোষণা করেছেন বলে জানিয়েছে আল জাজিরা। এই ঘোষণায় বলা হয়েছে, প্রথমে নারী, শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তিদের সরিয়ে নেওয়া হবে।

যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, ইউক্রেইন সীমান্তের কাছে ১ লাখ ৬৯ হাজার থেকে ১ লাখ ৯০ হাজার সৈন্য সমাবেশ ঘটিয়েছে মস্কো, যাদের মধ্যে ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলের স্বঘোষিত প্রজাতন্ত্র দোনেৎস্ক ও লুহানস্কের রাশিয়ার সমর্থিত বিচ্ছিন্নতাবাদী যোদ্ধারাও আছে।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর আর কখনো এত বেশি সৈন্য সমাবেশ ঘটায়নি রাশিয়া। আর এই বাহিনীর অর্ধেকই ‘অ্যাটাক পজিশনে’, অর্থাৎ হামলার জন্য প্রস্তুত হয়ে আছে, বলে ভাষ্য যুক্তরাষ্ট্র কর্মকর্তাদের।

রয়টার্স থেকে অনূদিত

মন্তব্য

Beta version