-->
শিরোনাম

রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিতে যাচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিতে যাচ্ছে  ইউরোপীয়
ইউনিয়ন

পূর্ব ইউক্রেনে শান্তি রক্ষার কথা বলে রাশিয়ান সেনা পাঠানোর নির্দেশ ও দুই ‘বিচ্ছিন্নতাবাদী’ নিয়ন্ত্রিত অঞ্চল দোনেৎস্ক ও লুহানস্ককে স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেওয়ার প্রতিবাদে ইউরোপীয় ইউনিয়ন আজ রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাঙ্গা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের উচ্চ প্রতিনিধি জোসেফ বোরেল মঙ্গলবার সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘আজ বিকেলে (ইউরোপ সময়) রাশিয়ার ওপর কি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে সে বিষয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন সিদ্ধান্ত নেবে।’

বোরেল বলেন, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিন পূর্ব ইউক্রেনের দুটি বিচ্ছিন্নতাবাদী নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলকে স্বাধীনতার স্বীকৃতি দিয়ে ওই অঞ্চলে সেনা পাঠানোর আদেশের পর তার প্রতিক্রিয়া কি হবে তা ঠিক করতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের একটি জরুরি অনানুষ্ঠানিক বৈঠকের আহ্বান করা হয়েছে।

‘অবশ্যই আমাদের প্রতিক্রিয়া হবে নিষেধাজ্ঞা আরোপের মতো কিছু’ বোরেল বলেন। বোরেল আরো বলেন, ‘আমাদের দ্রুত কাজ করতে হবে এবং এই কাজ করতে হবে আজ বিকেলের মধ্যে।’ ‘আমি বলব না যে, এটা একটি পরিপূর্ণ আক্রমণ কিন্তু রাশিয়ান সেনারা ইউক্রেনের মাটিতে রয়েছে’ বলেন বোরেল।

এই সপ্তাহের শুরুর দিকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নির্বাহী কমিশনের প্রধান উরসুলা ভন ডার লেয়েনে বলেন, রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণ করলে দেশটিকে ইউরোপের আর্থিক বাজার এবং উচ্চপ্রযুক্তি পণ্যগুলোতে রাশিয়ার প্রবেশাধিকার সীমিত করা হবে।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের নির্বাহী কমিশনের প্রধান উরসুলা ভন ডার লেয়েনের এই মন্তব্য এমন সময় এসেছে যখন ইউক্রেনের সঙ্গে রাশিয়ার উত্তেজনা তীব্র হচ্ছিল।

তিনি বলেন, ‘যদি রাশিয়া হামলা চালায়, আমাদের (ইউ) আর্থিক বাজারে আমরা রাশিয়ার অর্থনীতির প্রবেশাধিকার সংকুচিত করব। ইউরোপের বাজারে রাশিয়ার রপ্তানি ও নিয়ন্ত্রণ করা হবে যা দেশটির অর্থনৈতিক আধুনিকীকরণ এবং বৈচিত্র্যকরণের সম্ভাবনাকে বন্ধ করে দেবে।

‘আমাদের প্রচুর উচ্চপ্রযুক্তির পণ্য রয়েছে যেগুলোর বিশ্বব্যাপী আধিপত্য রয়েছে এবং এই পণ্যগুলো রাশিয়ার জন্য একেবারে অপরিহার্য সহজেই বিকল্প পাওয়া যায় না’ বলেন ভন ডার লেয়েন।

প্রেসিডেন্ট পুতিন সোমবার রাতে টেলিভিশনে এক ভাষণে পূর্ব ইউক্রেনের দোনেৎস্ক ও লুহানস্ককে স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেন। পুতিন বলেন, ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চল রাশিয়ার ইতিহাসের অবিচ্ছেদ্য অংশ। ইউক্রেনের সত্যিকারের জাতিরাষ্ট্র হওয়ার কোনো ইতিহাস নেই।

পূর্ব ইউক্রেনের দোনেৎস্ক ও লুহানস্কে ২০১৪ সালে স্বাধীনতা ঘোষণা করেন সেখানকার স্বাধীনতাকামীরা। এরপর থেকেই ওই দুই অঞ্চলে ইউক্রেনীয় সেনাদের সঙ্গে তাদের লড়াই চলছে। এই বিচ্ছিন্নতাবাদীরা রুশপন্থি হিসেবেই পরিচিত।

যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, ইউক্রেইন সীমান্তের কাছে ১ লাখ ৬৯ হাজার থেকে ১ লাখ ৯০ হাজার সৈন্য সমাবেশ ঘটিয়েছে মস্কো, যাদের মধ্যে ইউক্রেইনের পূর্বাঞ্চলের স্বঘোষিত প্রজাতন্ত্র দোনেৎস্ক ও লুহানস্কের রাশিয়ার সমর্থিত বিচ্ছিন্নতাবাদী যোদ্ধারাও আছে। সিএনএন থেকে অনূদিত।

মন্তব্য

Beta version