-->

যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমাদের নিষেধাজ্ঞায় রাশিয়া

অনলাইন ডেস্ক
যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমাদের নিষেধাজ্ঞায় রাশিয়া
কিয়েভে যুদ্ধবিরোধী বিক্ষোভ

পূর্ব ইউক্রেনে ‘বিচ্ছিন্নতাবাদীদের’ নিয়ন্ত্রণে থাকা দুটি অঞ্চল ডোনেস্ক ও লুহানস্ককে স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি এবং ওই অঞ্চলে শান্তি রক্ষার নামে সেনা পাঠানোয় একের পর এক পশ্চিমাদের নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়ছে রাশিয়া। মঙ্গলবার রাতে রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। 

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন হোয়াইট হাউস থেকে দেওয়া ভাষণে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের পদক্ষেপের তীব্র সমালোচনা এবং রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দেন। 

এর কিছুক্ষণ আগেই যুক্তরাজ্য নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দেয়। যুক্তরাষ্ট্রের পথ ধরে কানাডা, জাপান ও অস্ট্রেলিয়াও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে বলে ঘোষণা দিয়েছে।

ইউক্রেন সীমান্ত ঘিরে রুশ সেনা মোতায়েন নিয়ে পশ্চিমাদের আগ্রাসনের অভিযোগের উত্তেজনার মধ্যেই গত সোমবার দোনেৎস্ক ও লুহানস্ককে স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেন রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন। এরপর সেখানে শান্তিরক্ষী মোতায়েনের নির্দেশ দেন তিনি। এরপরই নিষেধাজ্ঞা আরোপ শুরু করে পশ্চিমা বিশ্ব। প্রথমে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাজ্য। এরপর ঘোষণা আসে যুক্তরাষ্ট্রের।

হোয়াইট হাউস থেকে দেওয়া ভাষণে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেন, ইউক্রেনে আক্রমণ শুরু করেছে রাশিয়া... সুতরাং আমি এর জবাবে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করছি।

বাইডেন বলেন, রাশিয়ার বড় দুটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে এবং রাশিয়ান সোভেরিন ডেবটের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। রাশিয়ার ভিইবি ব্যাংক ও রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর ব্যাংক প্রোমসভায়াজের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। ধনকুবের ও তাদের পরিবারের সদস্য এবং একাধিক রুশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধেও নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তারা যুক্তরাষ্ট্রের কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ব্যবসা করতে পারবেন না। একই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের থাকা ওই ব্যক্তিদের সম্পদ জব্দ করা হবে। এসব নিষেধাজ্ঞা আমাদের প্রতিরক্ষামূলক পদক্ষেপ।

ইউক্রেনকে সহযোগিতা অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাইডেন বলেন, রাশিয়ার সঙ্গে যুদ্ধে জড়ানোর ইচ্ছে নেই যুক্তরাষ্ট্রের। প্রয়োজনে আরো কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপের হুশিয়ারি দেন বাইডেন। তিনি বলেন, রাশিয়া পরবর্তী পদক্ষেপের কথা বিবেচনা করছে। আমরাও পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত। রাশিয়া যদি আগ্রাসন অব্যাহত রাখে, তবে দেশটিতে আরো মূল্য চুকাতে হবে।’

ইউক্রেন সংকটের শুরু থেকেই যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছিল, দেশটিতে আক্রমণ চালানো হলে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে রাশিয়ার বিরুদ্ধে। শেষ পর্যন্ত সে পথেই হাটতে হলো যুক্তরাষ্ট্রকে।  

সূত্র: সিএনএন ও বিবিসি।

 

মন্তব্য

Beta version