বিশ্ব নেতৃবৃন্দরা যখন রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণের কঠোর নিন্দা ও অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করছে তখন সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদ পুতিনের প্রশংসা নিয়ে হাজির হয়েছেন বিশ্বের সামনে।
শুক্রবার ভ্লাদিমির পুতিনের সাথে এক টেলিফোন আলাপে সিরিয়ার রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘রাশিয়ার এই ইউক্রেন আক্রমণ হচ্ছে ইতিহাস সংশোধন করা।’
ক্রেমলিনের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে পোস্ট করা এক বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, আসাদ ‘যুক্তরাষ্ট্র এবং ন্যাটোর মধ্যপ্রাচ্যের অস্থিতিশীল নীতির নিন্দা করেছেন যা এই অঞ্চলে সার্বিক পরিস্থিতির গুরুতর অবনতি করেছে।’
সিরিয়ায় বাশার আল আসাদ যখন বিদ্রোহীদের নিয়ে গৃহযুদ্ধ মোকাবেলা করছে তখন পুতিন আসাদপন্থি সরকারি বাহিনীকে গুরুত্বপূর্ণভাবে সমর্থন দিয়ে তার সরকার টিকিয়ে রাখার ব্যবস্থা করেছিলেন।
স্থানীয় সময় গতকাল বৃহস্পতিবার ভোরে ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের নির্দেশ দেন পুতিন। তার এ নির্দেশের পরই ইউক্রেনে পূর্ণমাত্রায় হামলা শুরু করে রুশ বাহিনী। আজ দ্বিতীয় দিনের মতো ইউক্রেনে হামলা অব্যাহত রেখেছে রাশিয়া।
ইউক্রেনে পূর্ণমাত্রার সামরিক অভিযানের প্রথম দিনটি সফল হয়েছে বলে দাবি করেছেন রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইগর কোনাশেনকভ।
অন্যদিকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, রুশ হামলায় তার দেশের অন্তত ১৩৭ জন সেনা নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৩১৬ জন।
পূর্ব ইউক্রেনে ‘বিচ্ছিন্নতাবাদীদের’ নিয়ন্ত্রণে থাকা দুটি অঞ্চল দোনেস্ক ও লুহানস্ককে স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি এবং ওই অঞ্চলে শান্তিরক্ষার নামে সেনা পাঠানোয় একের পর এক পশ্চিমাদের নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়ছে রাশিয়া।
মঙ্গলবার রাতে রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন হোয়াইট হাউস থেকে দেওয়া ভাষণে রুশ প্রেসিডেন্ট ভøাদিমির পুতিনের পদক্ষেপের তীব্র সমালোচনা এবং রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দেন।
এর কিছুক্ষণ আগেই যুক্তরাজ্য নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দেয়। যুক্তরাষ্ট্রের পথ ধরে কানাডা, জাপান ও অস্ট্রেলিয়াও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবে বলে ঘোষণা দিয়েছে।
ইউক্রেন সীমান্ত ঘিরে রুশ সেনা মোতায়েন নিয়ে পশ্চিমাদের আগ্রাসনের অভিযোগের উত্তেজনার মধ্যেই গত সোমবার দোনেস্ক ও লুহানস্ককে স্বাধীন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেন রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন। এরপর সেখানে শান্তিরক্ষী মোতায়েনের নির্দেশ দেন তিনি।
এরপরই নিষেধাজ্ঞা আরোপ শুরু করে পশ্চিমা বিশ্ব। প্রথমে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাজ্য। এরপর ঘোষণা আসে যুক্তরাষ্ট্রের।
সূত্র: বিবিসি
মন্তব্য