ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি গতকাল শুক্রবার দেশবাসীর প্রতি দেওয়া এক ভাষণে শঙ্কা প্রকাশ করে বলেছেন, ‘আজকের রাত কাটানো হবে সবচেয়ে কঠিন কাজ। ‘এই রাতটিই হবে খুব কঠিন।’
শত্রুরা ইউক্রেনের মানুষের গড়া প্রতিরোধ ভাঙতে সব রকমের শক্তি ব্যবহার করবে।’ খবর সিএনএন
ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘সবাইকে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হতে হবে। এই সময়ের মধ্যেই ইউক্রেনের ভাগ্য নির্ধারিত হবে। আমরা কঠিন কিন্তু সাহসী দিন পার করেছি।
আমরা দেশের জন্য যুদ্ধ করছি। দক্ষিণে, পূর্বে, উত্তরে আমাদের সুন্দর এ দেশকে রক্ষায় যুদ্ধ করে যাচ্ছি।’ তিনি আরো বলেন, ইউক্রেন কূটনৈতিক যুদ্ধও চালিয়ে যাচ্ছে।
এদিকে হামলার দ্বিতীয় দিন গতকাল শুক্রবার ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের কাছে পৌঁছে গেছে রাশিয়ার সেনারা। রাজধানীসহ বিভিন্ন শহরে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাচ্ছে তারা। মুহুর্মুহুর বিস্ফোরণে প্রকম্পিত হচ্ছে রাজধানী
কিয়েভ। ইউক্রেন সেনাদের পাশাপাশি কিয়েভ রক্ষায় সাধারণ নাগরিকেরাও অস্ত্র হাতে তুলে নিয়েছেন বলে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ পেয়েছে। কয়েকটি শহরেও দুই পক্ষের মধ্যে চলছে তুমুল লড়াই।
বিশ্বের প্রায় সব নেতার সঙ্গে কথা বলেছেন উল্লেখ করে জেলেনস্কি বলেন, হাতেগোনা কয়েকজনের সঙ্গে এখনো কথা বলা হয়নি। এর আগে জেলেনস্কির এক মুখপাত্র দাবি করেন, ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে যুদ্ধ বিরতির
বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আনুষ্ঠানিক বৈঠকে বসতে দুই পক্ষই এখন সময় এবং স্থান নির্ধারণে আলোচনা করছে। তবে রাশিয়ার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তারা বৈঠকে বসতে রাজি।
এ ক্ষেত্রে ইউক্রেনের সব সশস্ত্রবাহিনীকে আত্মসমর্পণ করতে হবে।
এই পরিস্থিতিতে যুদ্ধ বন্ধে রাশিয়াকে আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট। অবিলম্বে ইউক্রেন থেকে রুশ সেনা প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়ে প্রস্তাব উঠছে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে। এরই মধ্যে নিউইয়র্ক,
প্যারিস, বার্লিন, লন্ডন, মস্কোসহ বিভিন্ন দেশের প্রধান শহরগুলোতে যুদ্ধবিরোধী বিক্ষোভ হয়েছে।
মন্তব্য